চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের কুলপালা গ্রামে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ ৩০ জুলাই রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক নজরুল ইসলাম (৫৮) ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক সাইদুর রহমান (৩৫)। দুজন একটি মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।
নিহতদ্বয়ের বাড়ি পাশের মেহেরপুর জেলায়। নিহত নজরুল ইসলাম মেহেরপুর পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড পাড়ার ইউনুস আলী শেখের ছেলে এবং নিহত সাইদুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মেহেরপুরের দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার দ্রুতগতিতে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসছিল। প্রাইভেটকারটি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামে পৌছুলে প্রাইভোটকারের একটি চাকা পাংচার হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওই মোটরসাইকেলে ছিলেন নজরুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান। দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে।
ওসি আরো জানান, নিহতদ্বয়ের ব্যাপারে আইনগত পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুগদায় ট্রাকে গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাদ্দাম সর্দার (২৬) নামে এক যুবক মারা গেছেন। ট্রাকের হেলপার ছিলেন ওই যুবক। এ ঘটনায় মো. হিমেল নামে একজন আহত হন।
আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে মুগদার একটি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, মুগদার দেশ সিএনজি পাম্প স্টেশনে ভোর পাঁচটার দিকে ট্রাকে গ্যাস নেওয়ার সময় ট্রাকের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে হেলপার সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হিমেল নামে আরো একজন আহত হন। হিমেলকে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে হিমেলকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত যুবকের নাম ছাড়া পুরো পরিচয় জানা যায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢামেকের মর্গে রয়েছে। আহত হিমেল জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ ব্যাটারিচালিত ভ্যানের চার আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার গাংগাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মাঈনুদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী তাহেরা বেগম (৩০) ও একই গ্রামের দরদ আলীর ছেলে ফরহাদ (৪৫)। এ ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে, তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মধুপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার হেমাইল কবির বলেন, মধুপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পরিবহণের একটি বাস ঘাটাইল থেকে মধুপুরের দিকে যাওয়া একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাঈনুদ্দিন, তাহেরা বেগম ও ফরহাদ নিহত হন। গুরুতর আহত হয় এক শিশু। তাকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন বলেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মীয়মাণ ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. শাকিল খান (২০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাকিল খান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আশার কোটা গ্রামের নবির হোসেনের ছেলে।
তিনি কদমতলীর মুজাহিদনগরে থাকতেন।
সহকর্মী ইকরামুল ও মৃতের খালাতো ভাই মো. সুজন বলেন, কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ ভবনের তৃতীয় তলায় ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিানইদহের কালীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপ্লব খাঁ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক উপজেলার বারবাজারের বাডেদিহি গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে মটরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বিপ্লব মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বারোবাজার সুবর্ণসরা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার আদর্শ সদর এবং সদর দক্ষিণ উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যম বিজয়পুর ষাটকলোনি এলাকায় বাড়ির পাশে জলাশয়ে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো- ষাটকলোনি এলাকার রওশন আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন (৮) ও মনির হোসেনের ছেলে সায়েম (৭)।
রওশন আলী জানান, দুপুরে তাঁর সঙ্গে ওই জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল ছেলে আরাফাত এবং একই বাড়ির সায়েম। অসাবধানতায় দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়। পরে লোকজন নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের লাশ পাওয়া যায়।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির মরদেহ দাফন করেছে পরিবার।
এদিকে নগরীর উজিরদীঘিতে ডুবে মো. আরাবী নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটির মামা কাজী অনিক ইসলাম জানান, তাঁর বোন ও ভাগনি আরাবী গত সোমবার কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সকালে খেলতে গিয়ে দিঘিতে ডুবে ভাগনির মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, পরিবার আবেদন করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।