চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমপাউন্ড থেকে সরকারি ইনজেকশন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ ৩১ জুলাই সোমবার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালে উত্তর পাশের গেটের সামনে থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করেছে।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ইনজেকশন উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আশুগঞ্জ স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চারলেন প্রকল্পের কারণে বিতরণ পাইপ লাইনের ত্রুটি সংশোধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কিছু অংশে এবং সরাইল উপজেলায় ৯ দিন গ্যাস সরাবরাহ বন্ধ থাকবে।
আগামী ২০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল উপজেলা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শঙ্কর মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ককে চারলেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ইউটিলিটি সিফটিংয়ের আওতায় ঘাটুরা টিবিএস থেকে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত নির্মিত ছয় ইঞ্চি ব্যাসের চার বার চাপের মূল বিতরণ গ্যাস পাইপ লাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ ত্রুটি সংশোধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেজন্য ওই সময়ে ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। বিশেষ কারণে নির্ধারিত সময় পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দুই-গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল হাসান ও সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুই মামলায় ৮২জন নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়।
এস.আই রাকিবুল হাসানের দায়েরকৃত মামলায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ ওরফে ভিপি শামীম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল, সাবেক সদস্য সচিব মহসীন মিয়া, যুবদল কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম (ভিপি তাজু), জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর কাউছার মিয়া, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রুমেল উদ্দিন, আশুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আলমগীর খাঁ, সদস্য সচিব সেলিম পারভেজ, সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শেখ জামাল হোসেন লস্কর ও যুগ্ম আহবায়ক শেখ জুনায়েদ আহমেদ উল্লেখযোগ্য। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৩০ থেকে ১৫০জনকে আসামী করা হয়েছে।
এস.আই সাইফুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল, সাবেক সদস্য সচিব মহসীন মিয়া, বর্তমান আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, যুবদল নেতা তাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির আহাম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ, আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মারুফ আহম্মেদ ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাঈম, আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আরাফাত উল্লেখযোগ্য। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫০-৬০জন নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদ মর্যাদা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমান শাহীনকে আহবায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ৫জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। এরা হলেন এলভিন লস্কর, সাজিদ আহমেদ, রেজাউল হক শীষ, আবদুল গাফফার রিমন ও সাইফুল ইসলাম ফাহিম।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। কমিটিকে আগামী ১ মাসের মধ্যে আহবায়ক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়া নির্দেশ দেয়া হয়।
আহবায়ক কমিটিতে পদ পাওয়া ছাত্রদলের নেতারা সবাই লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রহমান ওরফে সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারী। কবির আহমেদ ভূইয়া সদর উপজেলার বরিশল গ্রামের বাসিন্দা।
গত রবিবার রাতে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোমবার সকাল ১০টা শহরের লোকনাথ উদ্যানের সামনে (টেংকেরপাড়) সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের কমিটি আনন্দ মিছিল ও সদ্য বিদায়ী কমিটি সীমাহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পাল্টা-পাল্টি কমিটির ঘোষনা হওয়ায় সোমবার সকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) মোতায়েন থাকায় সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরাও সেখানে এসে জড়ো হয়।
পরে সেখান থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় বেলা ১১ টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির আহবায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েলের নেতৃত্বে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ শুরু করে। তখন সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সদ্য ঘোষিত কমিটির অনুসারীরা পুনরায় জড়ো হয়ে বিক্ষুব্ধদের ধাওয়া করে। সেখান থেকে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পুনরায় খৈয়াসার-বিরাসার সড়কে আসার পর আবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পুনরায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটাতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পরে জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি, জেলা কৃষক দল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা শহরের মধ্যপাড়ার শান্তিবাগ এলাকায় একটি আনন্দ মিছিল বের করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি নিয়ে সোমবার নতুন কমিটি ও আগের কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবারের ঘটনায় নতুন করে আরো দুটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত মামলার ৭ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার একটানা ২২ বছরের সফল পৌর চেয়ারম্যান মৌড়াইল এর কৃতিসন্তান, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাবেক এন এম এ, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব গণ মানুষের নেতা আজিজুর রহমান মোল্লা ওরফে জারু মোল্লার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৪ মার্চ পালিত হয়েছে। মরহুমের পরিবারবর্গ কোরানখানি ও মিলাদ মাহফিল এর মাধ্যমে উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মরহুম জারু মোল্লা ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম জারু মোল্লার সুযোগ্য পুত্র সাবেক সফল পৌর মেয়র ও জেলা বি এন পির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি জেলাবাসীর কাছে উনার পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুরে বৃক্ষরোপন, বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এম.পি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ছাদেকুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়া, উপদেষ্টা গুলশান আরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সদস্য গোলাম মোস্তফা, মাহবুবুর রহমান নসিম, পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা বৃক্ষ রোপন করেন এবং কৃষকের মাঝে এক হাজর ২০০ বনজ, ফলজ সহ বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ বিতরণ করেন।