চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ওরস থেকে ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১ জন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শাহ রাহাত আলীর মাজারের ওরস দেখতে এসে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কলেজপাড়ার জুয়েল মিয়ার ছেলে মিরাজুল ইসলাম (১৮) ও বাঙ্গরা থানার আমিননগর গ্রামের আতশ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮)। আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের কাজী আজাদ মিয়ার ছেলে ইকরামকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার শাহ রাহাত আলীর ওরস থেকে মোটর সাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়কের পাড়াতলি মোড়ে সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান মিরাজুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল কবির জয় বলেন, ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করি।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যান। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে। বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো যেমন ভাঙন ঝুঁকিতে, তেমনি বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়া চড়া মূল্যে বালুমহাল ইজারা নেওয়া বৈধ ইজারাদার প্রতিষ্ঠানও বিপাকে পড়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও নৌপুলিশকে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে বালু লুট। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায়ও মেঘনা নদী থেকে বালু লুট করছে রায়পুরার আরেকটি চক্র।
আরও পড়ুন
শীগ্রই ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি বালুখেকো চক্র। প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। যার বাজারমূল্য অন্তত প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবাধে বালু লুট করে বিক্রি করছে ওই চক্রটি। রীতিমতো অস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর পাহারায় দিনভর চলে বালু উত্তোলন। বালুখেকো চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কাইয়ূম মিয়া। তার সাথে আছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। অবাধে বালু তোলার কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি, কানাইগর ও শান্তিনগর গ্রাম।
অপরদিকে, নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায় মেঘনা নদীতে ৫-৭টি ড্রেজার দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে রায়পুরা উপজেলার অপর একটি চক্র। স্থানীয় বিএনপির কয়েকজনকে নিয়ে এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম। এই চক্রটি কয়েক মাস আগে নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকা থেকেও বালু উত্তোলন করে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচটি ড্রেজার জব্দ করে। সম্প্রতি ড্রেজারগুলো ছাড়ানোর পর আবারও ধরাভাঙ্গা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। এসব গ্রামের বাসিন্দারা নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্কে আছেন।
আরও পড়ুন
কসবায় ৫শ টাকার জন্য ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন
এদিকে, মেঘনা নদীর জাফরাবাদ বালু মহালটি প্রায় ৭৫ কোটি টাকায় ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইজারার এক বছরের মধ্যে ইতোমধ্য ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। মূলত এই মহালে বালুর জন্য আসা ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রায়পুরার বালুখেকো চক্রটি নিজেদের কাছ থেকে বালু কেনার জন্য বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। এর প্রতিবাদ করায় বালুমহাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মুন্সি এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ওই চক্রটি কয়েকবার এসে হামলাও চালিয়েছে।
মুন্সি এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন জানান, বৈধ ইজারাদার হয়েও আমরা নদী থেকে ঠিকমতো বালু উত্তোলন করতে পারছি না। সরকারি কোষাগারে যে টাকা দিয়ে মহাল ইজারা নিয়েছি, মেয়াদ ফুরিয়ে আসলেও সেই টাকা তুলতে পারছি না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি রায়পুরার ওই চক্রটি ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বালু কিনতে বাধ্য করে। যেহেতু তাদের ইজারা মূল্য দিতে হয়নি, সেহেতু তাদের পুরোটাই লাভ।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা বড় রকমের অপারেশনে যাব। যেহেতু এটি বারবার হচ্ছে, সেজন্য শাস্তিও দ্বিগুণ হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র মানুষদের ভূমিসহ বসতবাড়ি নির্মাণ করে প্রমাণ করছে আওয়ামী লীগ গণমানুষের সরকার। এই প্রথম ভূমিহীন ঘরহীন লোকগুলো সামনের ঈদটিতে নিজ ভূমি ও ঘরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করবে। বাংলার সাধারণ মানুষের আশার এবং ভরসার শেষ আশ্রয় হিসেবে শেখ হাসিনাকেই পাশে পায়।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আয়োজিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সহকারি কমিশনার কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম, উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি স্মাট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন ফারজানা ইয়াসমিন শিল্পী (৪৬) নামের একজন স্কুল শিক্ষিকা। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বটতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফারজানা বাঞ্ছারামপুর এস এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শাজাহান আলমের মেয়ে। নিহত ফারজানা ইয়াসমিন শিল্পী দুই সন্তানের জননী। জানা গেছে, বুধবার রাতে ওই শিক্ষিকা তার এক আত্মীয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে বাঞ্ছারামপুর আসতেছিলেন।
এসময় বাঞ্ছারামপুর হোমনা সড়কের বটতলী মোড়ে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কা দেয়। এসময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকেই ওই ট্রাকের ড্রাইভার পলাতক রয়েছেন। ট্রাকটি বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি ফারজানা ইয়াসমিন শিল্পী বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমাদের বিদ্যালয় তার মতো একজন মেধাবী শিক্ষককে হারিয়ে গভীর শোকাহত।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, এনিয়ে নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে গেছেন স্বজনরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস নদী দখল করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণকাজ চলছে। এতে নদী সংকুচিত হয়ে নৌ চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদী দখলের ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের ঝুনারচর গ্রামে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে মেঘনা নদী থেকে উৎপন্ন হয় তিতাস নদী। এর পর হোমনা সদর হয়ে রামকৃষ্ণপুর-রামচন্দ্রপুর হয়ে তিতাস উপজেলায় গিয়ে আবার তিতাস নদীর সঙ্গে মিলিত হয় নদীটি। রামকৃষ্ণপুর অংশ থেকে আরেকটি শাখা নদী ভুরভুরিয়া, ঝুনারচর, কলাকান্দি, নিজকান্দি, ফরদাবাদ, পূর্বহাটি, পিপিরিয়াকান্দা, দূবাচাইল, বাজেভিশারা, ভিটিভিশারা গকুলনগর ও ইমামনগর গিয়ে শেষ হয়। এই নদী ব্যবহার করে হাট-বাজারে পণ্য পরিবহন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রামকৃষ্ণপুর ওয়াই সেতুর উত্তরে ঝুনারচর গ্রামে নদীর জায়গা দখল করে বালু ফেলে ভরাট করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণ করা হচ্ছে। ঝুনারচর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে এ নির্মাণকাজের অভিযোগ উঠেছে।
ঝুনারচর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, রামকৃষ্ণপুর থেকে ফরদাবাদ গ্রামের দিকে গেছে তিতাস নদীর একটি শাখা। রামকৃষ্ণপুর থেকে ৫০০ মিটার উত্তরে ঝুনারচর গ্রামের দক্ষিণ পাশে নদী দখল করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণকাজ চলছে। তীর থেকে নদীর ভেতরে ৭-৮ ফুট দখল করে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর পরও আরেকটি দেয়াল নির্মাণের জন্য নদীতে কয়েকটি কলাম নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকাজ করছেন ৪-৫ জন শ্রমিক। কার নির্দেশে কাজ করছেন জানতে চাইলে ঝুনারচর গ্রামের মোখলেসুর রহমানের কথা বলেন তারা।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, ‘আমাদের যেভাবে বলা হচ্ছে, সেভাবে কাজ করছি আমরা। তবে এখানে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণ করা হলে বর্ষাকালে নৌ চলাচল ব্যাহত হবে। পাশাপাশি দুটি বড় নৌকা চলাচল করতে পারবে না।’
ট্রলারের মাঝি জানান, তিতাস নদীর এই অংশটি এমনিতেই সরু। তার ওপর এভাবে নদী ভরাট করে দেয়াল ও ঘাটলা নির্মাণ করা হলে নৌযান চলাচল কঠিন হয়ে পড়বে।
ফরদাবাদ বাজারের ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, ‘আমরা এই নদী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে মালপত্র নিয়ে আসি। যে জায়গাটি ভরাট করা হয়েছে, সেখানে দুটি নৌকা পাশাপাশি যেতে পারবে না। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।’
নদী দখলের অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখানে বাড়ি করার জন্য আমার ধানের জমি ভরাট করেছি। আমার জায়গায় ওয়াল দিচ্ছি, ঘাটলাও আমার জায়গায় করতেছি। নদীর মধ্যে আমি আরও জায়গা পাবো।’ আপনি পরিমাপ করেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমার জায়গা আমি ভরাট করেছি, পরিমাপের কী দরকার।’
ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলামের ভাষ্য, তিতাস নদী দিয়ে নৌকায় পণ্য পরিবহন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে নদী ভরাট করা হলে নৌ চলাচল ব্যাহত হবে। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হবে।
সলিমাবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হেলাল হোসেন জানান, নদী দখলের বিষয়টি শুনেছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সরেজমিন দেখে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখনই খবর নিচ্ছি। নায়েবকে পাঠিয়েছি। নদী দখলের সত্যতা পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ মার্চ শুক্রবার বিকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন রাধানগর মাদ্রাসা মাঠে এ দোয়া ও ইফতার মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুইয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, হোমনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক ও সিনিয়র সহসভাপতি আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু লাঈম, সহসভাপতি হাজী আব্দুল মতিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম মূসা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান মাসুম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএইচজেড শুকরী সেলিম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সাংগঠনি সম্পাদক হারুন আকাশ, বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক সাঈদ, পৌর বিএনপি সদস্য সচিব সালে মূসা, বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন সরকার রাজিব, উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ, পৌর বিএনপির সহসভাপতি শামিম আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসূফ, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু কালাম, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বাঞ্ছারামপুর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকার, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আশিকুর রহমান অন্তু, কলেজ ছাত্রদল নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন এবং ইফতি।