অনলাইন ডেস্ক :
সোশ্যাল মিডিয়ায় কত রকম ঘটনাই না সামনে আসে। এক কথায় বিস্ময়ের শেষ নেই নেটদুনিয়ায়। সম্পর্কের জটিলতা থেকে অদ্ভূত সমীকরণ, সব ঘটনারই নজির মেলে সেখানে। তবে সাবেক প্রেমিকের জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে ডেলিভারি কোম্পানির তিরস্কারের মুখে পড়ার ঘটনা খুব একটা চোখ পড়ে না। তবে ভারতের ভোপালে এমন একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে।
একবার নয়, তিন-তিন বার সাবেক প্রেমিকের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন ভোপালের অঙ্কিতা নামের এক তরুণী। কিন্তু এক্স গার্লফ্রেন্ড অর্থাৎ, সাবেক প্রেমিকার সেই খাবার নিতে নারাজ যুবক। এদিকে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’তে অর্ডার দেওয়ায় বার বার সমস্যায় পড়তে হয়েছে ফুড ডেলিভারি কোম্পানি জোমাটোকে।
ক্যাশ অন ডেলিভারি অনেকের কাছে সুবিধাজনক হলেও, এর কিছু সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় শেষ পর্যায়ে এসে গ্রাহক খাবার নিতে চান না। ফলে একে তো খাবার নষ্ট হয়, সেই সঙ্গে খাবারের দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয় খাবার ডেলিভারি কোম্পানিকে। অঙ্কিতার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে আসছিল। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্যেই তার নাম ও ঠিকানা উদ্ধৃত করে টুইট করে বসে জোমাটো।
জোমাটোর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ভোপালের অঙ্কিতা, দয়া করে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে আপনার সাবেক প্রেমিককে খাবার পাঠানো বন্ধ করুন। এই নিয়ে তিনবার খাবারের দাম দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তিনি!
জোমাটোর এ পোস্টটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও এর ফলে অঙ্কিতা তার সাবেক প্রেমিকের পিছু ছেড়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে জোমাটোর টুইট বেশ ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
পোস্টটিতে অসংখ্য নেটিজেন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অঙ্কিতা এক্সকে বিরক্ত করা বন্ধ করুন।’ আবার তরুণীর এমন কাণ্ডে হাসি থামছিল না অনেকের। যেমন একজন লিখেছেন, ‘অঙ্কিতার বয়ফ্রেন্ড ভাবছেন, আমি ব্রেকআপের আগে টাকা দিতাম, আবার ব্রেকআপের পরেও দেবো!’ আবার কারও মতে, এটা জোমাটোর মার্কেটিং কৌশল।
সূত্র: এবিপি লাইভ
অনলাইন ডেস্ক :
ইতোমধ্যে এক বছরে বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে ধ্বংস হচ্ছে শত শত বাড়ী-ঘর ও স্থাপনা। পাশাপাশি নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।
জানা যায়, গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ৫০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে যুদ্ধ চলাকালীন সঠিক বের করা সম্ভব হয় না।
এদিকে জাতিসংঘের একটি সংস্থা মঙ্গলবার জানায়, ইউক্রেনে আরো হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কারণ যুদ্ধে গতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস ‘ওএইচসিএইচআর’ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২। আর ৯ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত মোট আট হাজার ৫০০ জনের বেশি নিহত এবং ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তবে ‘ওএইচসিএইচআর’ বিশ্বাস করে যে প্রকৃত সংখ্যা এই সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। কারণ কিছু স্থানে সংঘাত অব্যাহত থাকায়, সেসব স্থান থেকে তথ্য পেতে দেরি অথবা পাওয়া সম্ভব হয়নি।
অনেক প্রতিবেদন এখনো প্রমাণের অপেক্ষায় রয়েছে। আবার অনেকে স্থানে সংঘাতের তিব্রতায় সংস্থাটির কেউ সেখানে যেতেও পারেনি। তবে কিছু কিছু অঞ্চলে গণহারে মানুষ মারা যাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে মারিওপোল (দোনেৎস্ক অঞ্চল) লিসিচানস্ক, পোপাসনা, সিয়েভিরোডতেস্ক (লুহানস্ক অঞ্চল)-এর কথা উল্লেখ করা যায়। ওই সব অঞ্চলে বহুসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, এপ্রিলের প্রথম ৯ দিনে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা গেছে। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই ‘ব্যাপক এলাকায় প্রভাব ফেলতে সক্ষম বিস্ফোরক অস্ত্র’ ব্যবহারের কারণে নিহত হয়েছেন।
রুশ বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে ভারী বোমাবর্ষণ করেছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, গত মাসে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। যদিও রুশ বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এদিকে আবার রাশিয়া যুদ্ধ ঘিরে বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সূত্র : রয়টার্স
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫ মেঃ টন আদা আমদানি করা হয়েছে।
আজ ১০ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে আদা নিয়ে একটি পিক-আপ আখাউড়া স্থলবন্দর এসে পৌঁছে। আদাগুলো আমদানি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ।
সিএন্ডএফ এজেন্ট সোয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকার মো: রাজিব উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মোট ১০ মেঃ টন আদা এলসি করা হয়েছে।
প্রতি টন আদার মূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার করে মোট ৪ হাজার ৫শত মার্কিন ডলার আমদানি করা হচ্ছে। আজ ৫ মেঃ টন আদা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে সেনাবাহিনী আতঙ্কিত। তিনি অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা’ পাকিস্তানকে অন্ধকার যুগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তেহরিক-ই–ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান।
২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইমরান খান। মাত্র চার বছরের কম সময় দেশ শাসন করেছিলেন। এরপর গত বছর সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার একটি বড় কারণ ছিল। মূলত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দেশ পরিচালিত হচ্ছে।
ইমরান খানের দাবি, তার দল পিটিআই দেশটির একমাত্র দল যারা সামরিক স্বৈরশাসকদের দ্বারা তৈরি হয়নি। এ কারণেই দলটিকে ভেঙে দেওয়ার জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
তবে অনেক সমালোচক বলেছেন, ইমরান খানের ক্ষমতায় উত্থানের সময় সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল।
গত কয়েক মাসে দলটির বেশ কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে জানান, তার দল অক্ষত রয়েছে।
বিবিসির স্টিফেন স্যাকুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসেও ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হয়েছি।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার আশা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত পিটিআই দলকে দুর্বল করবে। উল্টো আমাদের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
ইমরান আরও বলেন, আমার দলকে ধ্বংস করার সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তারা নারী ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীসহ ১০ হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর চেয়ে খারাপ হচ্ছে, তারা জনগণকে নির্যাতন করেছে।
তিনি আরো বলেন, সামরিক বাহিনী ভয় না থাকলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতো।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের শাস্তি হিসেবে বোনের শিরচ্ছেদ ঘটিয়েছেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরের মিথুয়ারা গ্রামের তরুণী আসিফা, বয়স ১৮। চাঁদ বাবু নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান তিনি। এরপর তার সঙ্গে পালিয়েও যান। এতে ক্ষুব্ধ হন তরুণীর বড় ভাই রিয়াজ (২২)। এ কারণে শুক্রবার নিজের আপন ছোট বোনকে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেন ওই যুবক। এরপর সেই খণ্ডিত মাথা নিয়ে নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেন।
আসিফার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিক চাঁদকেও পুলিশ আটক করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আসিফার বড় ভাই রিয়াজ ভীষণ ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রিয়াজ ছোট বোনকে ধারালো ছুরি দিয়ে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।
স্থানীয় পুলিশের এসপি আশুতোষ মিসরা জানিয়েছেন, যখন পুলিশ রিয়াজকে আটক করে তখন সে তার বোনের খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে থানার দিকে আসছিলেন।
রিয়াজকে আটকের পর পুলিশ তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখান থেকে আসিফার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযুক্ত রিয়াজকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস