কামাল আমার খেলার সাথী, আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 5 August 2023, 512 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। সে সংগ্রামের পথ দিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা এদেশের খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের পরিবার সব সময় ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কামাল সব সময় খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখত। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।

বিত্তশালীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না। অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করেছি, এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়ে স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সেক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তারা তো প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনতে পারবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এতো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়াবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্য আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা আছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্বের কাছে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

নৌপথে ভারত থেকে আনা সাড়ে ৫ কেজি হেরোইনসহ গ্রেফতার ৩

জাতীয়, 3 February 2023, 854 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে হেরোইনের চালান নৌপথে ভারত থেকে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ফাঁকি দিতে এসব মাদক বহনের জন্য ব্যবহার করা হয় নারীদের। এই চক্রে ১০-১২ নারী আছেন। তাঁরা প্রতি মাসে চার-পাঁচ কেজি হেরোইন নিয়ে আসেন। পরে তাঁরা বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম করে এই মাদক পাঠিয়ে দেন। প্রতিটি চালানের জন্য তাঁরা পান ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

হেরোইনের কারবারে জড়িত একটি চক্রের প্রধান শাকিবুর রহমানসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এসব তথ্য জানায় র‌্যাব। গ্রেফতার অপর দু’জন হলেন- তাঁর স্ত্রী সেলিনা খাতুন ওরফে শিরিনা ও সহযোগী রাজিয়া খাতুন। বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১২ যৌথভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং নওগাঁয় এ অভিযান চালায়। এ সময় আনুমানিক সাড়ে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাধারণত চক্রের নারী সদস্যরাই হেরোইন বহন করে। তবে চালানের পরিমাণ বেশি হলে শাকিবুর নিজেও থাকতেন। এই চালানে তিন কেজির বেশি হেরোইন থাকায় তিনি বহনকারীদের সঙ্গে ছিলেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে শাকিবুর জানান, তাঁর নওগাঁর বাসায় আরও দুই কেজি হেরোইন আছে। এর পর সেখানে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রীর হেফাজতে থাকা দুই কেজি হেরোইন জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের কমান্ডার জানান, গ্রেফতার শাকিব এর আগে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। দুই বছর ধরে তিনি মাদক কারবারে জড়িত। তিনি সীমান্ত থেকে সহযোগীদের মাধ্যমে হেরোইন সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের বাড়িতে রাখতেন। পরে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন। অর্থের লেনদেন হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।

র‌্যাবের এ মুখপাত্র জানান, সেলিনা খাতুন তাঁর স্বামীর মাদক কারবারের সহযোগী। হেরোইনের একটি অংশ তিনি বাড়িতে নিজের হেফাজতে রাখতেন। আস্থাভাজন মাদক কারবারিদের বাড়ি থেকেই হেরোইন সরবরাহ করা হতো। আর রাজিয়া শাকিবুরের অন্যতম সহযোগী। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন সরবরাহ করতেন। তিনি অনেকবার শাকিবুরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে হেরোইন সরবরাহ করেছেন। বৃহস্পতিবারও তাঁরা গাজীপুর ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে হেরোইন সরবরাহের উদ্দেশ্যে নওগাঁ থেকে রওনা হন। পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তাঁদের গ্রেফতার করে র‌্যাব।

রাইচ মিলে এসিল্যান্ডের অভিযান ও জরিমানা

জাতীয়, 5 July 2023, 569 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া তেওয়ারী হাট বাজারের বিভিন্ন রাইচ মিলে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় রাইচ মিলগুলোতে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্য করায় ৫ টি চালের দোকানীকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।

আজ ৫ জুলাই বুধবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ শাহজাহান।

অভিযানকালে পাট পরিদর্শক বাবুল চন্দ্র দাস, লোহাগাড়া থানার এসআই মোজাম্মেল হকসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহজাহান জানান, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের তেওয়ারিহাট বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্য করায় বাহাদুর অটো রাইচ মিল, আল মক্কা অটো রাইচ মিল, আল ছাফা অটো রাইচ মিল,শাহজালাল অটো রাইচ মিল সহ মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে ও জনকল্যাণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

প্রেমের টানে মাধবপুরে ফিলিপাইনি তরুণী

জাতীয়, 6 March 2024, 240 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইন তরুণী জুবেলিন। কাতারে চাকরি করার সুবাদে মাধবপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৪ মার্চ সোমবার ফিলিপাইনি ওই তরুণী প্রেমিক মিশুকে পেতে তাঁর গ্রামে চলে আসেন।

৫ মার্চ মঙ্গলবার হবিগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিয়ে করেন প্রেমিক মিশুকে।

জুবেলিন নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে জুবেলিনের নাম পরিবর্তন করে জান্নাত রহমান রাখা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান মিশুক কাতার প্রবাসী। কাতারে চাকরির সুবাদে প্রায় ৫ বছর আগে তাদের পরিচয় হয়।

সম্প্রতি মিশু বাংলাদেশে ফিরে আসেন। খবর পেয়ে ওই তরুণীও মিশুর বাড়িতে চলে আসেন।
এদিকে, মাধবপুরের ছেলে ভিনদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশি তরুণীকে এক নজর দেখতে আশপাশের মানুষজন বাড়িতে ভিড় করছে। পরিবারের সদস্যরাও জুবেলিনকে পেয়ে খুশি।

আশিকুর রহমানের চাচা আমিনুল ইসলাম বলেন, অন্য সকল বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। নববধূকে দেখতে বাড়িতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে ছেলের সুখে আমরাই সুখী। মেয়েটি আমাদের ছেলেকে ভালোবেসে হাজার মাইল দূর থেকে এসেছে।

আমরা পুরোপুরি বউয়ের মর্যাদায় দিয়ে তাকে রাখবো। সে শান্ত প্রকৃতির মেয়ে।

এ বিষয়ে আশিকুর রহমান মিশু বলেন, জুবেলিন খুবই ভালো মেয়ে। দুইজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। আমার পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। জুবেলিনও এই বিয়েতে খুশি।

শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

জাতীয়, 29 January 2023, 963 Views,

বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রকৃতিতে শীতের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। সময়ের পালাবদলে শীত শেষে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে কেবলই মৌ মৌ করতে শুরু করেছে চারিদিক। কয়েকদিনের মধ্যেই আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠবে প্রকৃতি। এ সময়টাতে মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আশায় বুক বেঁধে আম চাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। মুকুলে যাতে পোকার আক্রমণ না হয় ও ঝড়ে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখছেন নওগাঁর চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৫২৫ হেক্টর জমিতে বেশি। চলতি মৌসুমে উপজেলাভিত্তিক আম চাষের পরিমাণ হলো-সদর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর, রানীনগরে ১৩০, আত্রাইয়ে ১২০ দশমিক ৫, বদলগাছীতে ৫৩০, মহাদেবপুরে ৬৩০, পত্নীতলায় ৫ হাজার ৮১৫, ধামইরহাটে ৬৭৫, সাপাহারে ৯ হাজার ২৫৫, পোরশায় ১০ হাজার ৫৫০, মান্দায় ৪০০ ও নিয়ামতপুরে ১ হাজার ৩৮৪ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে।

শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁ। এই জেলা এখন সারাদেশে আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। নওগাঁর বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানের সারি সারি গাছে সবুজ পাতার মাঝে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। সবচেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল আসছে। গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। পুরোদমে মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলছেন বাগান মালিকরা। তবে যে সব গাছে মুকুল আসছে কুয়াশা আর শীতের কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। তাইতো তারা মুকুল ও গাছের পরিচর্যা শুরু করছেন।

সাপাহার উপজেলা সদরের গোডাউনপাড়ার বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন, ৫০ বিঘা জমি বিভিন্ন মেয়াদি লিজ নিয়ে আম বাগান করেছি। তাতে আম রুপালি, বারি ফোর, গৌড়মতি ও আর্শ্বিনা জাতের আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পুরোদমে মুকুল আসতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তাই এ সময় গাছের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক।

পোরশা উপজেলার নিতপুরের আম চাষি মাসুদ বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে বাগানের আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। যেসব গাছে মুকুল এসছে, কুয়াশা আর শীতের কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করছেন।

পত্নীতলা উপজেলার আরেক আম চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, তার আম বাগানের অধিকাংশ গাছেই মুকুল দেখা দিয়েছে। তবে যেসব গাছে মুকুল আসছে প্রায় নতুন গাছ। নতুন গাছ হওয়ায় আগে ভাগেই মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করা হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে চলতি মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, আবহাওয়াগত ও জাতগত কারণেই কিছু গাছে আগাম আমের এই মুকুল আসতে শুরু করেছে। এসব গাছে ফুল ফোটার আগে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এতে করে কুয়াশা বা অন্যান্য পোকার আক্রমণ কম হবে। তবে কোনো ক্রমেই গাছে সেচ দেওয়া যাবে না। এতে করে নতুন করে পাতা জন্মাবে। এই জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখনও সব গাছে মুকুল আসেনি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পুরোদমে গাছে মুকুল আসবে। তখন শীত কেটে যাবে। তখন আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

‘টাকা পে’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 1 November 2023, 394 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ ১ নভেম্বর বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্ড উদ্বোধন করেছেন।

কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি দেশের ভেতরে ব্যবহার করা যাবে। তবে অচিরেই এই কার্ডের ব্যবহার ভারতেও সম্প্রসারিত হবে।

গত ১৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য মার্কিন ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করতে হয়। এতে ভ্রমণকারীকে প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ টাকা বা রুপি তুলতে পারবে। এটি ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিরা অর্থপ্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।