চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুকুরে পানিতে ডুবে চাচাত ভাই-বোন দুই শিশু মারা গেছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের মবফারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশু হলো ওই এলাকার ওবায়দুল হকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে রহিমা বেগম এবং আবু তালেবের দুই বছর বয়সী ছেলে সাইদ মিয়া। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির বাইরে ওই দুই শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে পুকুর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেন ডায়ালগ করবে, সেদিন আমিও ডায়ালগ করব।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত শর্তহীনভাবে সংলাপের আশাপ্রকাশ করেছেন। আপনি এটাকে কীভাবে দেখছেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ? বিরোধী দলটা কে? বিরোধী দল হচ্ছে, যাদের সংসদে আসন আছে। এর বাইরেরগুলো আমেরিকায়ও বিরোধী দল হিসেবে দেখে না। ট্রাম্পকে তারা কী বলবে? তারা তো তাদের বিরোধী দল। যদিও আমরা তাদের পদ্ধতিতে না।
এ সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, এই যে মানুষগুলো হত্যা করা হলো, তখন তাকে (পিটার হাস) প্রশ্ন করা হলো না কেন? যখন একটা উপনির্বাচনে হিরো আলমকে কেউ মেরেছে, তখন তারা বিচার দাবি করেছে। এখন যখন পুলিশ হত্যা করল, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করল তখন বিচার দাবি করল না কেন?
তিনি বলেন, যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করেছে, এরপর খুনিদের সঙ্গে কিসের বৈঠক? কিসের আলোচনা? যারা এভাবে মানুষকে হত্যা করতে পারে, যারা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধ্বংস করতে পারে, তাদের সঙ্গে ডায়ালগ? সে বসে ডিনার খাক, সে বসে ডায়ালগ করুক। এটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। খুনিদের সঙ্গে ডায়ালগ তার দেশের মানুষও চাইবে না। বিএনপি–জামায়াতকে মানুষ ঘৃণা করে। তাদের দুর্নীতির জন্য কানাডা থেকে লোক এসে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
আগামী নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে, এটা মাথায় রাখতে হবে। কে কি চাপ দিল, না দিল এটাতে কিছু আসে যায় না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন আমাদের সরকার কিছু তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির আর কিছুই জুটবে না।
সরকারপ্রধান বলেন, শুধু তাই না, হাসপাতালে ঢুকেও তারা হামলা করেছে। সেখানেও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে হাসপাতালে হামলা করছে, নারী-শিশুদের হত্যা করছে, এর সঙ্গে তো বিএনপির হামলার কোনো তফাৎ দেখি না।
গত ২৫-২৬ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইনের আমন্ত্রণে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
সফরকালে ২৫ অক্টোবর সকালে ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে শেখ হাসিনা ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পানিতে ডুবে রাফি আহমেদ হিমেল (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কেরানীগঞ্জের সারিঘাট এলাকার খালে এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে রাফির বাবা গাড়িচালক রায়হান মিয়া জানান, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ায় থাকেন। দুপুরে ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশে সারিঘাট খালে গোসল করতে যান। সেখানে গোসলের এক পর্যায়ে সাঁতার না জানা রাফি পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর তার নজরে এলে পানির নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানায়, দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় রাফি। সে স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাবেন ২০ অক্টোবর। এর আগে প্রার্থীরা উঠান বৈঠক ও পরামর্শ সভা করে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের বাছাই শেষে এ নির্বাচনে ছয় প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি নিয়ম অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়ন বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল), আওয়ামী লীগের শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীমের মনোনয়ন বাছাইয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তবে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাজোট থেকে দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে মনে করছেন ভোটাররা।
এদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ১৪ অক্টোবর শনিবার রাতে তার নিজ বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছের ঘোষপাড়ায় এক সভায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবী বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশে দুটি নির্বাচন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর। এ দুটি নির্বাচনের দিকে বিশ্ব তাকিয়ে আছে। সরকার যদি এ নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি করে, একজনের ভোট আরেকজনকে দিয়ে দেয়, যদি দরজা বন্ধ করে দেয়, যদি রাতের অন্ধকারে সিল মারে, তাহলে সরকারকে ফলাফল ভোগ করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে আমি রাজপথে নামার ঘোষণা দিলাম।
মৃধা আরো বলেন, ৫ নভেম্বর নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু দেখতে চাই। আমরা চাই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ স্লোগান বাস্তবায়িত হোক। আমরা চাই একটা সুন্দর নির্বাচন। মানুষ চুন খেয়ে দই দেখলে ভয় পায়, চুন আর দই যেন একাকার না হয় তা সরকারের কাছে আকুল আবেদন।
সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হোক। এটা প্রমাণের দায়িত্ব আপনার। আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে দেখাতে পারেন আমি সুন্দর নির্বাচন দিয়েছি। আগামী দিনেও এ ধরনের নির্বাচন দেবো। এটা আপনার জন্য ভালো এবং মঙ্গল হবে। আর উল্টাপাল্টা হলে, বাধা দিলে বাধবে লড়াই। এ লড়াইয়ে আমরাই জিতবো।
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে ৩ অক্টোবর আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তফসিল দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিভিন্ন জনের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো মত সমর্থন করবো না।
১১ মে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে প্রকাশনা সংস্থা মত ও পথ থেকে প্রকাশিত চারটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যত মত তত পথ’ মানুষে মানুষে মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও আছে। কিন্তু দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো মত সমর্থনযোগ্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারাও এখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাসী নয়, তারাও গণতন্ত্রের কথা বলে। এ ধরনের দ্বিচারিতা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। শোষণহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন রকম অপতৎপরতার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মত ও পথ প্রকাশনী মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সূত্র অবস্থান নিয়েছে। তাদের এ অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মত ও পথ প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতি সত্বার কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা।
প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশ গুপ্ত রচিত ‘বত্রিশ কিংবা ৭১’, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক ও কবি জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’, কথা সাহিত্যিক নূর কামরুন নাহার রচিত ‘প্রাসঙ্গিক ভাবনা: নারী ও সমাজ’ এবং মোহাম্মদ সাজিবুল হুদা ভূঁইয়া কর্তৃক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির গুরুত্বপূর্ণ কলাম ও বক্তৃতা সংকলন ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রসঙ্গ কথা’।
অনুষ্ঠানের লেখক ও সংকলকগণ নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি রাজনেতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা বহু চেষ্টা করেও নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই। মঞ্চে উপবিষ্ট দু:জন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যে কোন মিছিল, মিটিং করলে কোন আপত্তি নাই। যদি অশান্ত হন, আগুন সন্ত্রাস করেন, জনগণের অশান্তি হয় এমন কোন কাজ করলে তা সহ্য করা হবে না। জনগনের শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে দেওয়া হবেনা।
তিনি আরো বলেন, রমজানুল মোবারককে সামনে রেখে যেসব লোকেরা কালো ধান্ধায় আছেন, তাদেরকে আমরা সতর্ক করতে চাই আমরা কোন রকমের মজুদদারীকে সহ্য করবো না। রমজানে যারা দ্রব্য মূল্য নিয়ে যেসকল বন্ধুরা খেলাধূলা করবেন তাদেরকে খেলাধূলা না করার অনুরোধ করবো। খেলাধূলা করলে কেউ রেহাই পাবেন না। আমি আজকে বলে দিয়েছি একজন মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে, কোন জরিমানার ব্যাপার স্যাপার নাই, সরাসরি কারাগারে পাঠানোর জন্য আমি অনুরোধ করেছি। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিন সচেষ্ট আছেন আমরাও তার সাথে আছি। সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। জননেত্রী শেখ হাসিন আমাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার প্রতিটা আমি পালন করবো ইনশাল্লাহ। আগেও আমিও চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ছিলাম আজও আছি। মাদক ব্যবসায়ীদের বলতে চাই, আপনাদের কারণে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে, আমি তাদের ধ্বংসের পথে যেতে দিতে পারি না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাংসদ সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ মঈন উদ্দিন মঈন, মন্ত্রীর সহধর্মিণী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনানুষ্ঠানশেষে ব্যান্ডদল নগর বাউলের জেমস সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে হাজারো দর্শককে মুগ্ধ করেন।