সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বি এন পি জ্বালাও পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করছে : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

জাতীয়, 10 August 2023, 804 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুরে বৃক্ষরোপন, বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এম.পি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ছাদেকুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়া, উপদেষ্টা গুলশান আরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সদস্য গোলাম মোস্তফা, মাহবুবুর রহমান নসিম, পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।

আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা বৃক্ষ রোপন করেন এবং কৃষকের মাঝে এক হাজর ২০০ বনজ, ফলজ সহ বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ বিতরণ করেন।

Leave a Reply

ফাইল ছবি

পবিত্র শবেবরাত আজ

চলারপথে রিপোর্ট : পবিত্র শবেবরাত আজ। ফারসি ভাষা থেকে আসা Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রীর সহযোগী আটক

চলারপথে রিপোর্ট : অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত Read more

আখাউড়ায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ডেভিল হান্ট অভিযানে হানিফ Read more

নবীনগর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর : নবীনগর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উৎসবমুখর Read more

বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : কসবায় ১শ ৩০ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার Read more

হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের Read more

কোটি টাকার ভারতীয় কমলা জব্দ

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) টহলদল কর্তৃক বিশেষ Read more

বাঞ্ছারামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুরে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন ফারজানা Read more

আশুগঞ্জে চকলেট বোমসহ গ্রেফতার ৩

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৬০৭০ পিস চকলেট বোম, Read more

আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা দফতরের প্রধান হলেন…

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা Read more

১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন’স ডে

হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে : ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব Read more

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” প্রতিপাদ্যে…

মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর : নাসিরনগর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং Read more

অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত

জাতীয়, 18 January 2024, 583 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।

banner

সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।

শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।

এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।

স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।

পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

জাতীয়, 23 September 2023, 750 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :
মুরাদনগরে ঘাস কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার আকুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম মো. আলম মিয়া (৫৬)। তিনি আকুবপুর গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সালাউদ্দিন।

banner

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু পালন ও আকুবপুর বাজারে পোল্ট্রির দোকান ছিল আলম মিয়ার। বেলা ১২ টার দিকে মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন তিনি। এসময় বজ্রপাতে মারা যান আলম। আলম ছয় মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বাদ মগরিব তাকে দাফন করা হবে।

বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।

জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় শিক্ষকের বেতন স্থগিত

আখাউড়া, জাতীয়, 28 March 2023, 2379 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নিদের্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

banner

আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে এ নির্দেশ দেন। ওই শিক্ষক হলো শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন। এসময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম মঙ্গলবার সকাল বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন।

এক পর্যায়ে শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ সঙ্গীত গাইতে না পারায় জেলা প্রশাসক রাগান্বিত হয়ে শরীর চর্চা শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

যতোদিন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত বেতন স্থগিত থাকবে। এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলেন জেলা প্রশাসক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ডিসি স্যার যে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন বিষয়টি আমি জানি না। স্যার তো শোকজ করতেই পারেন।

জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডিসি স্যার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত বলতে না পারায় ওই বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক মোঃ সোহরাব হোসন জাতীয় সঙ্গীত গাইতে না পারায় তার বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

অবৈধ জুস ফ্যাক্টরিতে অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা

জাতীয়, 19 June 2023, 917 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে অনুমোদন বিহীন একটি জুসের ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়েছে টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪। এ সময় ১৯ ধরনের জুস জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। অভিযান শেষে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফ্যাক্টরির মালিককে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

banner

আজ ১৯ জুন সোমবার বিকেলে উপজেলার কচুয়া এলাকায় ওই ফ্যাক্টরিতে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এ আভিযান পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের।

অভিযান শেষে এক সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবাযের জানায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা আলামিন এগ্রো ফুটস ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালাই। এসময় রসালো ড্রিংস, রসালো লাচ্ছি, ম্যাংগো ড্রিংকস, তেঁতুলের আচার, ললিপপ, ডিন চানাচুর, লিচুর ড্রিংকসসহ ১৯ ধরনের উৎপাদিত পন্য উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান শেষে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব এইডস দিবস আজ

জাতীয়, 1 December 2024, 153 Views,

অনলাইন ডেস্ক :

banner

বিশ্ব এইডস দিবস আজ। মরণব্যাধি এইডসকে রুখে দিতে বিশ্ব সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় দিবসটি। প্রতিবারের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে পালিত হচ্ছে এ দিবস। দেশে গত এক বছরে ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আজ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। এ উপলক্ষে দেশের এইডস–সংক্রান্ত নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্ব এইডস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।

এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এ বছর এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে বয়সে তরুণদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। বিবাহিতদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

বিশ্বের প্রতিটি দেশে ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইডিভ/এইডস যাবে চলে’।

এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং হিজড়াদের মধ্যেও সংক্রমণ কমছে না। তরুণ বয়সী এবং হিজড়া ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ঝুঁকির মধ্যে আছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৯৮৯ সালে এক ব্যক্তির এইচআইভি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছরই এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কমে গেলেও বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাই ছিল বেশি। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৭৬। সে অনুযায়ী, চলতি বছর ১৬২ জন রোগী বেড়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন এইডসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সায়মা খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত ও সেবার পরিধি বেড়েছে। তবে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া রোধে প্রচারকাজ বাড়ানো যেতে পারে। আর পাঠ্যক্রমে এ বিষয়ে আরও সচেতনতামূলক বিষয় যুক্ত করা দরকার।

বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি, মৃত্যু নিয়ে শঙ্কা
চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ।

গত বছর বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৬০ শতাংশ। আর অবিবাহিতদের মধ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ।গত বছরের মতো এবারও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এইচআইভিতে।

গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬৬। এবার এ সংখ্যা ১৯৫। মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও তা এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম। এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, এখন এইচআইভির চিকিৎসার ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। তারপরও এত মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। মৃত্যুর কারণ হতে পারে নিয়মিত এবং যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছেন না আক্রান্ত ব্যক্তিরা। আবার যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।

এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এই মরণব্যাধি একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ভাইরাসটি ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অকার্যকর করে দেয়। ফলে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রোগী। তাই রোগটি থেকে বাঁচতে প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।

দেশের প্রায় সকল জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে এইচআইভি সংক্রমণ পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও উপজেলা হাসপাতালে তা নেই। উপজেলা পর্যায়ে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার বলে মনে করেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।