চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রেমিককে হত্যা করে লাশ ১০ ফুট মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলো প্রেমিকা। পরে মোবাইল ফোন লোকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব ও পুলিশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে প্রেমিকের লাশ।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রেমিকা হোসনে আরা বেগমের বাড়ির টিউবওয়েল এর পাশে ১০ ফুট গভীরের মাটি সরিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রেমিক শাহিন শাহ (৪৫ ) এর মৃতদেহ। এ ঘটনায় হোসনে আরা বেগমকে (৪০) আটক করে পুলিশ। শাহিন শাহ নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী সহকারী।
জানা যায়, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে ৩ সন্তানের জননী হোসনেআরার সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে শাহিন শাহ। গত ৬ মাস ধরে এ সস্পর্ক চলছিলো। কিন্তু গত ৯ আগস্ট রাতের কোন এক সময় হত্যা করা হয় প্রেমিক শাহিন শাহকে। পরে লাশ টিউবওয়েলের পাশে ১০ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। এদিকে শাহিন শাহের কোন খোঁজ না পাওয়ায় নাটোর সদর থানা ও র্যাব-৫ কার্যালয়ে এজাহার দায়ের করে তার পরিবারের লোকজন। পরে মোবাইল ফোন লোকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব এর সদস্যরা হোসনেআরার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে সে। পরে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে র্যাব ও পুলিশ।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ঘাতক ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। একই সাথে ওই নারীকে হত্যার কাজে সহযোগিতাকারী আরও দুইজনকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের চেয়ে পুলিশের দায়িত্ব বেশি। আইন অনুযায়ী আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবল মামলা হবে। শুধু মামলা হলেই যেন গ্রেফতার করা না হয় সে বিষয়টিও বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভালো ও খারাপ দিক খতিয়ে দেখতে একটা কমিটি কাজ করছে, যদি প্রয়োজন হয় এই আইন সংশোধন করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, রাজনৈতিক মামলা বলে কিছুই নেই। অপরাধ করলে মামলা হয়। সেই মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন আছে, সেগুলোর বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে- আগামী নির্বাচনের পর এটা কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট যেটা করা হবে সেটা কন্ট্রোল করার জন্য নয়, প্রটেক্ট করার জন্য। এটা সংসদে নেওয়া হবে। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে এবং স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্য শোনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) আগে বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, কতগুলো সহকারী প্রসিকিউটর এবং অতিরিক্ত প্রসিকিউটর ও অতিরিক্ত জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
আজ ১৪ আগস্ট সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসক ও গোয়েন্দা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করলে ১৩ আগস্ট রবিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২০১৯ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর আগে ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ১৯৪০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করেন তার বাবার প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও পরে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় স্থানান্তরিত হন। বাংলা, উর্দু, আরবি ও পাঞ্জাবি ভাষায় দক্ষ এবং ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়ও তার দক্ষতা রয়েছে।
১৯৮০’র দশকের প্রথমদিকে সাঈদী দেশব্যাপী ইসলামী ওয়াজ-মাহফিল ও তাফসির করা শুরু করেন এবং তার সুন্দর বক্তব্যদানের জন্য দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ সময়ই তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নেতা নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনী জোট গঠন করে এবং তিনি এই নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চলারপথে ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাহী আদেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির ক্ষেত্রে রাজনীতি করা নিয়ে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি, তবে তার শারীরিক অবস্থা রাজনীতি করার মত নয়।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব ইন্ট্যারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “উনি (খালেদা জিয়া) ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর বাইরে কোনো শর্ত নাই। আপনারা প্রশ্ন করেছেন উনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না। আমি সত্য বলি বলেই বলেছি, রাজনীতি করার ব্যাপারে কোনো শর্ত নাই।”
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। সেদিনই কারাবন্দি হন তিনি। বিএনপি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। তার আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীর সাত বছরের সাজা হয়।
বিএনপি নেত্রীকে মুক্ত করতে দলটির নেতারা উচ্চ আদালতে যত চেষ্টা করেছেন, তার সবই বিফলে যায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ‘মানবিক আবেদন নিয়ে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। বিএনপি ওই উদ্যোগে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের আমঝুপিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিলকিস খাতুন (৫২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত বিলকিস খাতুন সদর উপজেলার আমঝুপি শেখ পাড়া এলাকার মইনুদ্দিনের স্ত্রী।
আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে গুদাম ঘরের লোহার দরজা খোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিলকিস খাতুনের জামাতা এমএ লিংকন বলেন, বিলকিস খাতুন তার বাড়ির গোডাউনের লোহার দরজা খোলার সময় বৈদ্যুতিক তারের সাথে জড়িয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে মারাত্মক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পার্থসারথি জানান, মৃত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু আইনি জটিলতা থাকলেও বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের জোর কূটনৈতিক তৎপরতা ও আইনি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আজ ২৬ জুন বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি। প্রশ্নোত্তর পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারিমন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কিছু আইনগত জটিলতা রয়েছে। তবে, সব জটিলতা আইনি প্রক্রিয়ায় নিরসন করে এই অপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা ও তাকে প্রাপ্য সাজার মুখোমুখি করার বিষয়ে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ উদ্দেশ্য জোর কূটনৈতিক তৎপরতা ও আইনি কার্যক্রম একইসঙ্গে চলছে।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা ও আইনি কার্যক্রম একইসঙ্গে চলমান রয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো এ উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে উল্লেখ করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বিদেশে পলাতক আসামি মওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী (গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ বাংলাদেশের মাটিতে মারা গেছে) ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টাপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে।
তিনি জানান, এছাড়াও পলাতক আসামিরা যেসব দেশে অবস্থান করছে সেসব দেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে একাধিক চিঠি দিয়েছেন বলে সংসদকে জানান। তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে তাদের সঙ্গে স্বাক্ষাতে তাদের ব্যক্তিগত সহযোগিতাও কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে খুনিদের অবস্থানের বিষয়ে আইনগত জটিলতা থাকায় এ বিষয়ে প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি। খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমানে প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদেশগুলোর আইন অনুযায়ীও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার লক্ষ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে মেজর (অব.) নূর চৌধুরী বর্তমানে সপরিবারে কানাডায়, আব্দুর রশিদ ও মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল ইসলাম ডালিম পাকিস্তান বা লিবিয়ায়, লে, কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী আমেরিকা এবং রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ভারতে অবস্থান করছে বলে জানা যায়। এছাড়া লে. কর্নেল (অব.) আজিজ পাশা জিম্বাবুয়ে অবস্থানকালে মারা যায় বলে জানা যায়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত ১২ জন আসামির মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলেও জানান সরকার প্রধান।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের লিখিত জবাবে সরকার প্রধান বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবহার ও সঠিকভাবে রিসাইক্যাল করার লক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকর নীতিমালা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান ও পরবর্তীতে অংশীজনের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। ই-বর্জ্য রিসাইকেলের জন্য প্লান্ট তৈরি করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৫৭৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৭৪ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শনাক্ত করে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র (সুবর্ণ নাগরিক কার্ড) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী প্রতিবন্ধী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৫৯৪ জন।
ফরিদা ইয়াসমিনের অপর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে সংসদ নেতা জানান, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে এ পর্যন্ত কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন আর্থিক সহায়তা হিসেবে সারাদেশে ১৩ হাজার ৫৮২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মধ্যে ৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।