চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এই লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। লাঠি খেলা দেখতে দর্শকদের ছিলো উপচেপড়া ভীড়। খেলোয়াড়দের নান্দনিক কসরত আর অসাধারন ক্রীড়া নৈপুন্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
লাঠি খেলা দেখতে আসা বৃদ্ধ ফরিদ মিয়া বলেন, খেলা দেখেছি। খুবই ভালো লেগেছে। তবে খেলার ঐতিহ্যে আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে সরাইলের খেলোয়াড়রা এখনো লাঠি খেলার মতো ঐতিহ্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এলাকার গৃহবধূ কোহিনুর বেগম বলেন, খেলা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ফরিদ মিয়া নামে এক খেলোয়াড় জানান, “বিশেষ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের তাল আর লাঠির মাধ্যমে শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে দর্শকদের আনন্দ দেয়াই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য। হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম খেলাটি টিকিয়ে রাখতেই আমাদের এই প্রয়াস। তিনি ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা টিকিয়ে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে খেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেলিম খন্দকার বলেন, তরুণ সমাজকে মাদকের কুফল থেকে রক্ষা আর দাঙ্গামুক্ত সমাজ বিনির্মানেই আমাদের এই উদ্যোগ। লাঠি খেলায় ১০টি ইভেন্টে ৩০জন খেলোয়াড় অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ৬ বছরের শিশু খোদেজা বেগমের লাশ বাড়ির পাশের বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল এলাকার বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি ওই এলাকার জিল্লু মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল ৪টার পর থেকে খোদেজাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মসজিদের মাইকে নিখোঁজ সংবাদের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাইটের আলোতে একটি লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা লাশটি উদ্ধার করে বিলের পাড়ে আনেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি শিশু খোদেজার বলে শনাক্ত করেন।
সরাইল থানার এসআই নুরুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি বিলের পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের বাবা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামের মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অরূয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন মৃধা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক অপু নাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া কোন দেশ ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়তে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদ খালিদ জামিল খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন। দু’দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ষ্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাওলানা মাহমুদুল হাসান রাজধানীতে গুলিতে নিহত হন। হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বাড্ডায় নিহত হন তিনি। তার মৃত্যুর ৫২ দিন পর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে এই মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে। সম্প্রতি নিহতের গ্রামের বাড়িতে সরাইল থানা থেকে পুলিশি তদন্তের জন্যে কাগজ গেলে এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নিহত ব্যক্তির নামে মামলা হওয়ায় সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিহত মাহমুদুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় বসবাস করতেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন তিনি।
নিহত মাহমুদুল হাসানের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে জানায়, আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা হয়েছে। তা শুনে আমি হতভম্ব! মৃত ব্যক্তির নামে এতোদিন পরে মামলা কীভাবে সম্ভব হয় !
তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় মাওলানা মামুনুল হক এবং ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়দের সাথে কথা বলেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি কঠিন ভাবে দেখবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে সরাইল থানা থেকে ফোন দিয়ে মাহমুদুল হাসানের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানালেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুনে আমি অবাক হলাম। কারণ ঢাকায় নিহত হওয়ার পর তার মরদেহ আমাদের গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এখন সে নাকি মামলার আসামি! পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার জানালেন, তার মৃত্যু সনদ দিতে। আমি বিষয়টি তার চাচাকে জানাই।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে একটি অনুসন্ধান স্লিপ এসেছে। যেহেতু অভিযুক্ত মৃত, সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিবেদন সেখানে পাঠিয়ে দেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল রবিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান উপজেলার চুন্টা ও ভুইশ্বর বাজারে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করেন।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র রমজান মাসে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার চুন্টা ও ভুইশ্বর বাজারে অভিযান চালিয়ে চুন্টা বাজারে নামহীন, অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর শিশু খাদ্য বিক্রয়ের অপরাধে মেসার্স জয় দূর্গা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি শিশু খাদ্যগুলো জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও মেয়াদোর্ত্তীন ঔষধ বিক্রয়, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন ও বিক্রয়ের অপরাধে ভুইশ্বর ও চুন্টা বাজারের আরো ৪টি দোকানকে ১১ জরিমানা করা হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পানিতে ডুবে তায়িফ-(০৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত তায়িফ কালিকচ্ছ গ্রামের মোঃ ছাদেক মিয়ার ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কালিকচ্ছ গ্রামে তায়িফ ও তার ছোট ভাই বাড়ির পাশে ফুটবল খেলছিলো। খেলার এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে বলটি পড়ে যায়। পরে তায়িফ বলটি আনতে পুকুরে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তারিফের ছোট ভাই বাড়িতে এসে সবাইকে জানালে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছি।