চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছে আসে না। তারা রাজনীতি করে ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসে। তারা মনে করে দূতাবাস দিয়ে জনগণের ঘাড়ে উঠতে পারবে।
আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণকে মূল্য দেয় না। এনা ক্ষমতায় এলে দেশটা বিরান হয়ে যাবে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা ছিল- সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেটিকে বাতিল করে দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, র্যাবের ওপর আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিএনপির আমলে র্যাবকে তৈরি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আসলে র্যাবকে দেয়নি, জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছে।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
খাড়েরা সবুজ সংঘের এ কার্যক্রমের আওতায় ২৬জন অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি এবং ২৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাঝে মানবিক ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়।
আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার সকালে খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
সবুজ সংঘের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক লোকমান হোসেন পলার সভাপতিত্বে এ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিপন আহমেদ ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক এইচ. এম. সিরাজ, কসবা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, খাড়েরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু হামজা ও খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সংস্কৃতি ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, জোবায়ের মাহমুদ তপন, নুরুল আমিন, শিক্ষক নেতা নরুল ইসাম চৌধুরী ও আবদুল রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নারী-পুরুষ, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবেদ রহিম বিজন বলেন, সবুজ সংঘের মানবিক কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ কাজটি সমাজের সকলের দ্বারা হয়ে ওঠে না। লোকমান হোসেন পলা সবুজ সংঘের মাধ্যমে এ মানবিক কাজটি করছেন। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সবুজ সংঘের সভাপতি লোকমান হোসেন পলা জানান, সবুজ সংঘের এ মানবিক কার্যক্রম ৩য় বৎসরে পদার্পন করেছে। অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপের জন্য উপজেলার খাড়েরা ও বাদৈর ইউনিয়নের ৭টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার ২৬জন শিক্ষার্থীকে ২ হাজার টাকা করে বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া খাড়েরা ইউনিয়নের ২৬জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাঝে মানবিক ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়। এই কার্ডধারীরা প্রত্যেক মাসের প্রথম শুক্রবার ৫ শত টাকা করে মানবিক ভাতা পাবেন। এদিকে সবুজ সংঘের উদ্যোগে রমজান মাসে ইফতার এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তিনি জানান, এ কার্যক্রমে আমাদের এলাকার সমমনা বন্ধুরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় খালি বাড়িতে একা পেয়ে আব্দুল মান্নান গাজী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এরআগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মান্নান গাজী উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বাড়াই উজুরী শাহ দরবার শরীফে ওয়াজ মাহফিল ছিল। বৃদ্ধ আব্দুল মান্নান গাজী ছাড়া তার বাড়ির সবাই ওই মাহফিলে যায়। এরই মাঝে কে বা কারা তাকে বাড়িতে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বসতঘরের বিছানায় ফেলে রেখে যায়। এর কিছুক্ষণ পর নিহতের স্ত্রী এবং মেয়ের জামাতা বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন বিছানায় মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মরদেহ রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফের) বাঁধায় দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কসবায় প্রকল্প কাজ পরিদর্শনের পর নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন দুটির অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ার কারণে বিএসএফ নির্মান কাজে আপত্তি তুলে। এক পর্যায়ে বিএসএফ’র বাঁধায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন পর্যায়ের কুটনৈতিক তৎপরতা এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিএসএফ’র সাথে কার্যকর যোগাযোগ শুরু করে।
অবশেষে আড়াই বছর পর বিএসএফের বাঁধায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বহুল প্রতীক্ষিত আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কসবা ও সালদা নদী অংশের নির্মান কাজ পুনরায় হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটির অসম্পন্ন হওয়া কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে এবং রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, কোম্পানী ও বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিএসএফ কর্তৃপক্ষের সাথে বিজিবি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। বিশেষ করে গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বন্ধ থাকা আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করা হয়।
একই বছর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের নয়া দিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পটির বিষয়ে একটি ফলপ্রসু আলোচনা হয়। এছাড়াও অতি স¤প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যেও প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি জানান, গত ১ মার্চ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম নাজমুল হাসান আখাউড়া আইসিপি, আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে পকল্পের কসবা ও সালদা নদী স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পটির বন্ধ থাকা কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দেশের অন্যতম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক সুুবক্ত গীন জানান, প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্পের সব ধরনের বাঁধা দূর হয়েছে। চলতি বছরই কাজটি শেষ হবে। এতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সময়ও কমে আসবে।
এ সময় বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আশিক হাসান উল্লাহ, তমা গ্রুপের ট্রেগ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিনসহ বিজিবি ও রেলওয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ৭ জুলাই রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মহাসড়ক প্রসস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ এরইমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল। এসময় পাশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারে ক্রেনটি স্পৃষ্ট হয়। এতে ক্রেনের চালক ও হেলপার মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হবে।