চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ও ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল চলতি মাসেই হচ্ছে। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আখাউড়-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা জানান।
এর আগে দুপুরে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মো. আবু জাফর মিয়ার নেতৃত্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দুদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, আমরা মূলত আজকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরীক্ষামূলক ট্রায়াল করতে আসিনি। এ রেলপথ প্রকল্পের কাজটা দেখতে এসেছি, কাজটা কোন পর্যায়ে আছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে তার দাবি। চলতি মাসের মধ্যেই দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ আখাউড়া-আগরতলা বহুল কাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্পে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল রান করা হবে।
এ রেলপথ স্থাপনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আর ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যবাসীও খুব উচ্ছ্বসিত। আর এর মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি ও বাণিজ্য জোরালো হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী বলেন, মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা হয়নি। তবে প্রথমবারের মতো গ্যাংকারযোগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ট্রায়াল রান করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দুজনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধরত ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসিক বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর আপ্যায়ন ছাড়াই বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা আমাদের সাহায্য বিরতি দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এই সাহায্য (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখতে পারে।”
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে সোমবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) স্পষ্ট করেছেন যে- তিনি শান্তির দিকে মনোনিবেশ করেছেন। আমাদের অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা আমাদের সহায়তাকে থামিয়ে দিচ্ছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এটি (সংঘাতের) সমাধানে অবদান রাখে।”
এদিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা, সিএনএন
অনলাইন ডেস্ক :
সুরঙ্গ করে সোনালী ব্যাংকের একটি উপ-শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাংকের চারিদিকে ঘিরে রেখেছে। নিরাপত্তার কারণে ব্যাংকের কাছে কাউকে যেতে দিচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার বড়বাড়ি সোনালী ব্যাংকের উপ-শাখার অফিস সহকারী টের পেয়ে চিৎকার দেন। পরে এলাকাবাসীর ছুটে এলে ব্যাংকের পেছনের দেয়ালে সুরঙ্গ দেখতে পান। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিলে তারা পুরো এলাকায় ঘিরে রাখে।
সোনালী ব্যাংকের বড়বাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক রাজু মিয়া বলেন, সোমবার রাতে ডাকাতির চেষ্টা চলছে বলে আমরা খবর পাই। সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করি।
এদিকে ব্যাংকে থাকা টাকা লুট হয়েছে কি-না এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নূরনবী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়েছে কি না সে বিষয়টি তদন্ত করার পর বলা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘোষণা অনুযায়ী নতুন একটি ঝকঝকে লাল টেসলা গাড়ি কিনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, কেনার সময় তিনি বলেছেন, এই গাড়ি তিনি চালাবেন না। কারণ তার এই গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি আমার বন্ধু ইলন মাস্কের কাছ থেকে একটি টেসলা কিনেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, আমার গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। নিরাপত্তা জনিত কারণেই এই নিয়ম করা হয়েছে। রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য এই নিয়ম জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তাদের পরিবারের দায়িত্বে এই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকে।
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সমালোচনা এবং আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি তার কোম্পানির কাছ থেকে একটি টেসলা গাড়ি কিনবেন। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে শক্তিশালী উপদেষ্টাকে সমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মাস্ক গত বছর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন এবং ট্রাম্পের এই মেয়াদের প্রশাসনে তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ফেডারেল সরকারের ব্যয় সংকোচনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইলন মাস্কের প্রতি আস্থা ও সমর্থন প্রদর্শন হিসেবে তিনি একটি নতুন টেসলা কিনছেন। শেয়ার বাজারে টেসলার স্টক মূল্যের পতন হওয়াতে কোম্পানিটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
২০২৩ সালের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ মানুষের। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা অন্যান্য সাবেক প্রেসিডেন্টদের এক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তাদের আর গাড়ি চালানোর অনুমতি থাকে না।
সিক্রেট সার্ভিসের উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এজেন্টরা গাড়ি চালান আর প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্ট সেই গাড়িতে চলাফেরা করেন। যদিও এই বিষয়ে কোনও আইন নেই, তাদের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
খুব যদি ইচ্ছে করে চালাতে তাহলে বাড়ির কম্পাউন্ডের ভেতরে চালাতে পারবেন, যেমন চালিয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর রোনাল্ড রিগ্যান বা জর্জ ডব্লিউ বুশ তাদের র্যাঞ্চে।
ইতিহাসবিদ এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এইচ.ডব্লিউ. ব্র্যান্ডস ‘সিয়াটল টাইমস’কে বলেছেন, লিন্ডন জনসন সম্ভবত শেষ প্রেসিডেন্ট যিনি প্রধান একটি সড়কে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করেছিলেন। সূত্র: ইউএসএ টুডে, দ্য টাইমস, নিউইয়র্ক টাইমস
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফসী আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২৪ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপকারভোগী ৫’শ জন কৃষকের হাতে এসব কৃষি উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ জাহিদ হাসান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আয়েত আলী প্রমুখ।
এসময় উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫’শ জন প্রান্তিক কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া হয়। এরমধ্যে আখাউড়া পৌরসভায় ২০ জন, উত্তর ইউনিয়নে ৪০ জন, দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৬০ জন, মোগড়া ইউনিয়নে ১২০ জন, মনিয়ন্দ ইউনিয়নে ১৫০ জন এবং ধরখার ইউনিয়নে ১০ জন। প্রত্যেক কৃষককে প্রতি বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাস্সুম বলেন, আখাউড়া উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫’শ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। এবার আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ হেক্টর। সেজন্য কৃষকদের মাঝে সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। আশা করি আউশের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পাবলিক লাইব্রেরী পুন:নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন দশক আগের এ লাইব্রেরিটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দেড় দশক ধরে এখানে বই পড়ার কোনো পরিবেশ নেই। লাইব্রেরি সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে স্থানান্তর করা হলেও পাঠক ছিলো না। এলাকার সুধী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হক মামুন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক লাইব্রেরিটি এগিয়ে নিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয় । পাবলিক লাইব্রেরিটি লাল বাজার এলাকায় অবস্থিত। এটির আয়তন ৪.৮৩ একর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন জানান, লাইব্রেরিটি নতুন করে নির্মাণে উপজেলা পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছু বাজেট দিয়ে এটির পুনর্নিমাণ করা হবে। নীচতলায় কমার্শিয়াল লাইব্রেরি ও উপরতলা পড়ার জন্য উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি এর মাধ্যমে মানুষের মেধা মননশীলতার বিকাশে ভূমিকা রাখা যাবে ।