চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ জনতাকে বুকে আগলে রেখেছ জননেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের বটবৃক্ষ শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের ভালোবাসা। শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সুশাসন দেশের মানুষের নজর কেড়েছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ মতপ্রার্থক্য ভুলে সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ফলজ ও ভেষজ চারা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. নূরে আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আমিনুল ইসলাম তুষার, উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগই দেশের সব উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে।
দেশের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির আশা ও ভরসার শেষ ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনা।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশ-বিদেশে ঘুরে কৌশলে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সব ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পুনরায় ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম দানিসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর ওয়াজেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, মহসিনুল হক বাবু, মাসুদ করিম সাজু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, এ কে এম শহিদুল হক বাবুল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য সুনিয়া আক্তার সুচি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, শ্রমিক লীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক প্রমুখ।
পূর্বে তিনি ইমামনগর-দরিকান্দি রাস্তার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, খাল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, খাল্লা দারুস সুন্নাহ ইমাম মেহেদী (আ.) দাখিল মাদরাসার নবনির্মিত চারতলা আইসিটি ভবন শুভ উদ্বোধন করেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল বলেই বাংলা আজ সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব দরবারে হয়েছে সমাদৃত। জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছে এই দেশকে। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। জঙ্গিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হরতাল ও সন্ত্রাস প্রতিহত করায় দেশবাসী আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করে।
তিনি বলেন, অপরদিকে নালিশ পার্টিগুলি দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচন আসলে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার লোভে ঘুরে ভেড়ায়। জনগণের কাছে এসে ভোট চাওয়ার কোনো সাহস তাদের নেই। সেজন্য বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জলি আক্তার, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে। বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো যেমন ভাঙন ঝুঁকিতে, তেমনি বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়া চড়া মূল্যে বালুমহাল ইজারা নেওয়া বৈধ ইজারাদার প্রতিষ্ঠানও বিপাকে পড়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও নৌপুলিশকে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে বালু লুট। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায়ও মেঘনা নদী থেকে বালু লুট করছে রায়পুরার আরেকটি চক্র।
আরও পড়ুন
শীগ্রই ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি বালুখেকো চক্র। প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। যার বাজারমূল্য অন্তত প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবাধে বালু লুট করে বিক্রি করছে ওই চক্রটি। রীতিমতো অস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর পাহারায় দিনভর চলে বালু উত্তোলন। বালুখেকো চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কাইয়ূম মিয়া। তার সাথে আছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। অবাধে বালু তোলার কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি, কানাইগর ও শান্তিনগর গ্রাম।
অপরদিকে, নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায় মেঘনা নদীতে ৫-৭টি ড্রেজার দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে রায়পুরা উপজেলার অপর একটি চক্র। স্থানীয় বিএনপির কয়েকজনকে নিয়ে এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম। এই চক্রটি কয়েক মাস আগে নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকা থেকেও বালু উত্তোলন করে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচটি ড্রেজার জব্দ করে। সম্প্রতি ড্রেজারগুলো ছাড়ানোর পর আবারও ধরাভাঙ্গা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। এসব গ্রামের বাসিন্দারা নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্কে আছেন।
আরও পড়ুন
কসবায় ৫শ টাকার জন্য ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন
এদিকে, মেঘনা নদীর জাফরাবাদ বালু মহালটি প্রায় ৭৫ কোটি টাকায় ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইজারার এক বছরের মধ্যে ইতোমধ্য ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। মূলত এই মহালে বালুর জন্য আসা ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রায়পুরার বালুখেকো চক্রটি নিজেদের কাছ থেকে বালু কেনার জন্য বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। এর প্রতিবাদ করায় বালুমহাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মুন্সি এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ওই চক্রটি কয়েকবার এসে হামলাও চালিয়েছে।
মুন্সি এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন জানান, বৈধ ইজারাদার হয়েও আমরা নদী থেকে ঠিকমতো বালু উত্তোলন করতে পারছি না। সরকারি কোষাগারে যে টাকা দিয়ে মহাল ইজারা নিয়েছি, মেয়াদ ফুরিয়ে আসলেও সেই টাকা তুলতে পারছি না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি রায়পুরার ওই চক্রটি ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বালু কিনতে বাধ্য করে। যেহেতু তাদের ইজারা মূল্য দিতে হয়নি, সেহেতু তাদের পুরোটাই লাভ।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা বড় রকমের অপারেশনে যাব। যেহেতু এটি বারবার হচ্ছে, সেজন্য শাস্তিও দ্বিগুণ হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম। টানা ৩৮ বছর ধরে এই আসনে নৌকার মাঝি তিনি। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী, যিনি টানা ৩৮ বছর ধরে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম ১৯৮৬ সাল প্রথম নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মনোনীত হন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘদিন।
তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, বাঞ্ছারামপুর আওয়ামী লীগ মানে ক্যাপ্টেন তাজুল। তার বিকল্প এখনো বাঞ্ছারামপুরে নেই। তার নেতৃত্বে বাঞ্ছারামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেন, আমি বাঞ্ছারামপুরের মানুষের জন্য কাজ করি। আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান। মানুষের সুখ-দুঃখ বুঝি। বাঞ্ছারামপুরে যা উন্নয়ন দরকার সেটা আমি করার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।