চলারপথে রিপোর্ট :
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু, পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ঝিটকা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।
নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ঝিটকা বাজার এলাকার অনন্ত ভাণ্ডারকে পাঁচ হাজার ও দুদু বেপারীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় অ্যাডভোকেট মঞ্জুর হোসেন (৫৮) মারা গেছেন।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার দৌলায়তদিয়াড় গ্রামে ইজিবাইকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, আইনজীবী মঞ্জুর হোসেন সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা পার হয়ে মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ইজিবাইক তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। তিনি রাস্তার উপর পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আহত আইনজীবী মঞ্জুর হোসেনকে রাজশাহী নেওয়ার পথে শহরের ঘোড়ামারা ব্রিজের কাছে পৌছালে তিনি মারা যান। আইনজীবী মঞ্জুর হোসেনের মৃত্যুজনিত কারণে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি সাগর জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের কবরস্থানে নিহতের নামাজে জানাজা ও দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
মামলা জট কমাতে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাইলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মন্ত্রী এ সহযোগিতা চান। তিনি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ কার্য অধিবেশন হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে প্রথমে ডিসিদের কাছে মামলা জটের বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। মামলা জট নিরসনের জন্য তারা যেন সহযোগিতা করে। দ্বিতীয় কথা যেটা বলেছি সেটা হলো, সকলের কাছে বিশেষ করে ডিসিদের জন্য একটা ইস্যু, সেটা হলো মোবাইল কোর্ট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে একটা মামলা আছে। সেটা নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা তড়িৎ পদক্ষেপ নিবো এবং একটা বিষয়ে স্পষ্টিকরণ করা হয়েছে, সেটা হলো অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয়, যে হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টিকরণ করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আমি বলেছি আবেদনটি ডিসপোজ করা বা সম্ভব হলে গ্রহণ করা। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা জবাব দিয়ে এ ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করে দেওয়া। সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু ছিল না ‘
মোবাইল কোর্টের মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্টের মামলার বিষয়ে আমি নিজেই তুলেছিলাম এবং বলেছি আমরা একটা তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চাই।
ডিসিরা কি বলেছেন এবং আপনার তরফ থেকে তাদের কি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানতে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সে প্রশ্নের জবাবে দিয়েছেন। যেসব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কি করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিসিয়ারির কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।
বাজার ব্যবস্থায় যদি কেউ অস্থিতিশীল করে বা মজুত করে তাহলে তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন, সেই বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য ১৯৭৪ সালে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট করা হয়েছিল। বিশেষ এই কারণটাকে চিহ্নিত করার জন্য এই অ্যাক্ট করা হয়েছে। আর আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে বলছি, এ রকম কাজ করলে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে, আইনের শাসন না থাকার কারণে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে বা গাফিলতির জন্য ঘটছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, তদন্ত শেষ হয়ে যদি আদালতের কাছে তদন্ত রিপোর্ট আসে এবং সেখানে যদি মামলা শুরু করা হয়। আমি আপনাদের আস্বস্ত করতে চাই, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) নতুন মেয়র নির্বাচন হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মো. নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। ৬৯ হাজার ১২৯ ভোটে নজরুল ইসলাম বাবুলকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সিলেটের নগরপিতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
আজ ২১ জুন বুধবার রাতে নগরীর জালাবাদ গ্যাস ভবনের অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া বাস প্রতীকে ২৯ হাজার ৬৮৮, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম গোলাপফুল প্রতীকে ৩ হাজার ৪০৫, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ২৯৬ ভোট, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে ২ হাজার ৬৪৮ ভোট ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা হরিণ প্রতীকে ২ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়েছেন।
এদিন সকাল ৮টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়।
সিলেট নির্বাচনে মেয়র পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আটজন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়, যদিও প্রার্থীর নাম ব্যালটে থেকে যায়। অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে ২৭২ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মোট ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সিলেট নগরীতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন, নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় বরিশালে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে ১০২ টি অভিযান এবং ৩৪টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৫১ কেজি ইলিশ জব্দ ও ৬২ হাজার ৭ ৮শ’ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা জালের মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এই সময়ে মোট ১৩ জেলে আটক করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর ৫ জনের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দ হওয়া সামগ্রী নিলামে ১ হাজার ৬ শ’ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে দুই দিনে বরিশাল বিভাগের ১৭ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১১৪ টি মাছঘাট, ৩২৫ টি আড়ৎ ও ১৯৬ টি বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন জানান, ১১ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজনন স্থলসহ সারা দেশে ইলিশ আহরন, পরিবহন ও বিপনন নিষিদ্ধ। এই সময়ে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।