অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আন্দোলনের নামে দেশে কেউ সহিংসতা করলে বরদাশত করা হবে না। যে কেউ রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, সরকারের পদত্যাগও চাইতে পারে। কিন্তু দিনক্ষণ ঠিক করে সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে- এমনটা বলা সমীচীন নয়, এটি রাজনীতির ভাষা নয়।
আজ ১ অক্টােবর রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করলে এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যে ভাষায় বিএনপি কথা বলছে, সেই ভাষা ইঙ্গিত দেয় তারা দেশে সহিংসতা, নাশকতা করতে চায়। সেটি করতে কাউকে দেওয়া হবে না। আমি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বলছি, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে কীভাবে কাকে মোকাবিলা করতে হয়- সেটি আমরা জানি।
হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের পথচলায় জাপান অর্থনৈতিকভাবে, অবকাঠামোগতভাবে আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে- সেজন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে যেন আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি, সে বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।
একই দিন দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি আগামী ১৩ অক্টোবর সারাদেশে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, এটি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। ‘মুজিব- দ্য মেকিং অব আ নেশন’, ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে বাংলাদেশের ইতিহাস, অভ্যুদয়ের ইতিহাস আছে; কারণ বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র গঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এই চলচ্চিত্রটি জাতির জন্য একটি দলিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার আর হত্যার। ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই বিএনপি হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। হত্যার রাজনীতি এবং মিথ্যা কথা বলার রাজনীতি এটাই বিএনপির আদর্শ। ঠিক সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০০১ সালে বিএনপি যখন আবারও ক্ষমতা দখল করে তখন বাংলার জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ভাই-বোন পরিবার কাউকে তারা বাদ দেয়নি।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সমবেত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের ঘটনা সবাই জানেন। বিএনপি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করে। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০৬ সালে বিএনপি প্রহসন করে। এইসবই বিএনপির আদর্শ। তারা এটা ছাড়া অন্য কিছু করতে পারে না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, আমরা র্ধয্যহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু উন্নয়নই দেখে নাই রাজনৈতিক শান্তিও দেখেছে। আমরা এই রাজনীতিক শান্তি অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা জনগণের কাছে জনগণের প্রাপ্য ভোটের অধিকার পৌঁছে দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ২০২৪ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আবারও প্রমাণ করবে।
এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয় তা নস্যাত করে দেওয়ার আহবান জানান। কেউ যেন জনগনের ক্ষতি করতে না পরে সে জন্য জনগণের পাশে থাকার আহবান জানান।
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সোয়া দশটায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন। এসময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানায়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বাড়িতে প্রসবকে না বলি, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্য তুলে ধরে প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত ও শূন্য বাড়িতে প্রসব সেবার ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বউ-শাশুড়ির মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ আগস্ট বুধবার আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কইকা এর অর্থায়নে এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এসকেএস ফাউণ্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত মমতা প্রকল্পের আয়োজনে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় প্রায় শতাধিক গর্ভবতী মা, তাদের শাশুড়ি ও স্বামীসহ স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
এতে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা যত্ন সম্পর্কে সচেতনতার উপরে আলোচনা, বিতর্ক, কুইজসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। আরও বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক প্রসেনজিৎ প্রনয় মিশ্র, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি ডাঃ শামীমা বিলকিস, এসকেএস ফাউণ্ডেশন এর উপ-পরিচলক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার, মমতা প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারি শাহ মোঃ হারুন অর রশিদ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মেলায় ৩টি স্টল ও ১টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম এবং গর্ভবতী মা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
আলোচনা সভায় অতিথিরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সাঘাটা উপজেলায় শূন্য বাড়িতে প্রসবকে নিশ্চিতকরণে মমতা প্রকল্পের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
আজকের এই ব্যতিক্রমধর্মী মেলাটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সাঘাটা উপজেলায় মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ত্রুটিপূর্ণ বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়ে সরকার ওই প্রতিবাদ জানায়।
বার্তায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানায়, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা অসাংবিধানিক দাবির নামে বিএনপি সহিংসতা ও জনবিচ্ছিন্নতার অভূতপূর্ব প্রদর্শনী করছে। বাংলাদেশ সরকার তাতে গভীরভাবে মর্মাহত।
বিএনপির অনুরোধ অনুসারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কিছু নির্দিষ্ট শর্তে ২৮ অক্টোবর তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে বিএনপিকর্মীরা রাস্তায় সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তি ও সম্পত্তির ওপর হামলার আশ্রয় নেয়। এ ধরনের ব্যাপক সহিংসতার প্রধান শিকার হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, নিরপরাধ নাগরিক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সম্পত্তি।’
জাতিসংঘকে পাঠানো ‘নোট ভারবাল’-এ (কূটনৈতিক চিঠি) বলা হয়েছে, ‘ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশের একজন সদস্যকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা আক্রান্ত ও আহত হয়েছেন। বাস, ফায়ার সার্ভিসের ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অন্য বিচারকদের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতাল চত্বর ও অ্যাম্বুল্যান্সে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসনদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বিএনপির এমন ক্রমাগত নৃশংসতার মুখেও বাংলাদেশ সরকার এবং এর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শন করেছে। তারা জনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সর্বনিম্ন পর্যায়ের বলপ্রয়োগ করেছে।’
বাংলাদেশ বলেছে, মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে মোটরসাইকেলে চড়ে হামলা করা ‘মুখোশধারী ব্যক্তিদের’ ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের বলে যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে গত বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, জাতিসংঘের বিবৃতি ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার ত্রুটিপূর্ণ এই বিবৃতির প্রতিবাদ জানাবে। গত রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর তাদের আগের বিবৃতি সংশোধন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরবে। না হলে প্রতিষ্ঠানটি গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতে ৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রসেল পরদিন গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ সংখ্যা ১১ বলে উল্লেখ করেন।
বস্তুত ঢাকায় গত শনিবারের সংঘাতের সময় পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের এক স্থানীয় নেতার মৃত্যু হয়। পরদিন রবিবার হরতালে ১৩ জেলায় সহিংসতায় চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দুইজন পৃথক ঘটনায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। গত মঙ্গলবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিন আরো চারজন নিহত হন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতিতে হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সহিংসতায় সরকার সমর্থিত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততারও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের বিবৃতির বর্ণনা বেশ ত্রুটিপূর্ণ, বাস্তবতাবিবর্জিত। আমরা এর একটা প্রতিবাদ পাঠাব। আমরা মনে করি, তাঁরা যথাযথভাবে অবহিত নন।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যে ঘাটতি আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে ঘাটতি থাকা খুবই দুঃখজনক।’
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনীতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এটা আইনি ব্যাপার। এখানে রাজনীতির কোনো প্রশ্ন নেই। তার (খালেদা জিয়া) পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনে কোথাও নাই এই দরখাস্তে তাকে বিদেশে যাওয়ার পারমিশন দেয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
যে দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা যায় কি না-এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। শর্ত যদি দেয়া হয় তা মানতে হবে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি তা প্রয়োগ করেছেন, এটা পুনরায় প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার, যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারে।
অনলাইন ডেস্ক :
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে সেন্টমার্টিনে গাছচাপা পড়ে নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মোখার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে এই প্রবাল দ্বীপ। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এখনো চলছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোট দুজন মারা গেছেন। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আমার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব এখনো চলছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই।