চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ-২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ৫ নভেম্বর উপনির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) এর সংবাদ সম্মেলন ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আজ ৫ অক্টোবর ২০২৩, সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ)।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, তিনি যদি নৌকার মনোনয়ন পায় তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল আশুগঞ্জ) আসনে ৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইচ্ছার প্রতি ফলন ঘটাতে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিকল্প নাই।
প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) সুদূর জাপান থেকে করোনা কালে সরাইলে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এই সময় তিনি নগদ অর্থ বিতরণ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও একটি অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছিলেন। এছাড়া তার মানবিক সহায়তা থেকে বাদ যায়নি, গরীব অসহায়রাও। তারাও পাচ্ছেন তার নিয়মিত সহায়তা।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণেও তিনি কাজ করেছেন। তিনি সরাইল উপজেলার ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংর্বধণা প্রদান করেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধারা ও তাঁর পরিবারের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ভাল কাজের জন্য ৯জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আমি জন্মগত ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের দলের প্রতি ত্যাগ আছে। আমিও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সব কিছু বিবেচনা করে যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাব।
আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেলে র্দীঘ দিনের হারানো এই আসনটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও আমার নেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
অনলাইন ডেস্ক :
২৭ নভেম্বর বুধবার শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস। শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্তবাহিনীর গুলিতে ডা. শামসুল আলম খান মিলন নির্মমভাবে নিহত হন। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডা. মিলন। সংগ্রামী মানুষের পথিকৃৎ মিলন ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব এবং স্বৈরাচার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি আন্দোলনের মধ্যমণি। তার শাহাদতকে কেন্দ্র করে চলমান গণআন্দোলন দুর্বার গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পরবর্তীতে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আরও অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ ডা. মিলনসহ সব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বাণীতে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ডা. মিলন যেদিন শহীদ হন সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু আবার গত দেড় দশকে দেশে নতুন এক স্বৈরাচার জেঁকে বসে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাংলাদেশ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দিরাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন’র নেতৃত্বে বড় ধরণের এই অভিযান দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়।
আজ ৪ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরের দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির দোতলা ভবনের একটি কক্ষে থেকে এসব নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়। এসময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম ও পুলিশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিরাই বাজারের দক্ষিণ গলির জনতা ব্যাংকের পূর্ব পার্শ্বের একটি দোতলা ভবনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী আছে বলে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা কর হয়। তবে অভিযানের সময় কাউকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। খবর দিয়ে জাল ব্যবসায়ী একজনকে এনে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ এসব জাল আটক করে পরে দিরাই বিএডিসি মাঠে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, হাওরে দেশীয় জাতের মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য এসব জাল হুমকি স্বরূপ। তাছাড়া চায়না দোয়ারী মাছের পাশাপাশি অন্যান্য জীববৈচিত্রও নষ্ট করে দেয়। এজন্য প্রশাসন নিষিদ্ধ এসব জাল আটকের অভিযান নিয়মিতই পরিচালনা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে নির্মাণাধীন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তাদের বিনামুল্যে অফিস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। প্রথম ছয় মাস পাঁচ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্লোরসহ ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সেবা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে পঞ্চম চট্টগ্রাম আইটি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামকে আমরা স্মার্ট, গ্রিন ও ক্লিন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। চট্টগ্রাম থেকে যদি কোনো তরুণ-তরুণী প্রযুক্তিখাতে উদ্যোক্তা হতে চায় সরকার তাদের সুযোগ-সুবিধা দিবে।
এ ছাড়া আমরা চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলব, যেখানে লক্ষাধিক তরুণ-তরুণী তথ্য ও প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, মেলায় চট্টগ্রামের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৬৪টি স্টল রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মেলায় অংশ নিচ্ছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও আয়ারল্যান্ডের মালিকানাধীন আইটি ও সলিউশনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে। এক সময় যে সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তরে কেবল হাতে কলমে কাজ হত সেখানেও এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে নানা বয়সের দর্শনার্থীরা ভিড় করছে মেলার বিভিন্ন স্টলে। মেলায় দেশি-বিদেশি ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করছে। ফলে নতুন নতুন প্রযুক্তি স¤পর্কে জানতে পারছে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।
সোসাইটি অব চিটাগং আইটি প্রফেশনালসের সভাপতি মো. আবদুল্লাহ ফরিদ বলেন, আমরা চট্টগ্রামের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তুলে ধরতে চাই। নতুন নতুন প্রযুক্তি স¤পর্কে জানতে পারবে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। এ ছাড়াও মেলার পাশাপাশি আমরা তিনদিনে তিনটি বিশেষ সেমিনার করবো। আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এই মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয় গ্রামের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় রেলপথ থেকে আনা পাথরের ঢিলে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি বাজার এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। পরে গাইবান্ধার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার উপজেলার মহিমাগঞ্জ টাউন ক্লাব মাঠে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই ইউনিয়নের গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে এগিয়ে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এরই জের ধরে পরদিন রবিবার সকাল ১০টার দিকে জিরাই ও গোপালপুর গ্রামের কয়েকশ মানুষ লাঠি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে মাথায় হেলমেট পরে ব্যাগে বহণ করা রেলপথ থেকে আনা পাথরের টুকরা দিয়ে উভয় দিক থেকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষে ১০-১২ জন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), ফেরদৌস (২০), জোহা (৫৫) ও রানা (৩২) এবং জিরাই গ্রামের সজিব (২০), মিঠু (৩০), ইসরাইল (৩৫) ও হানিফ (২০)। আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম উভয় গ্রামের লোকজনের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার পরিবারের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১২ মার্চ রবিবার এ মতামত দেওয়া হয়।
শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হচ্ছে। গত সপ্তাহে তার পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। এরপর মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেটার সময় শেষ হয়ে আসায় পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমরা তাকে আগের মতো দুটি শর্তে সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করেছি। শর্তগুলো হলো তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসাগ্রহণ করবেন। হাসপাতালে যেতে পারবেন না-তা নয়, যেতে পারবেন এবং উক্ত সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে আসা আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটাই অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমার মনে হয়, এখানে রাজনীতির কথা আসার কোনো প্রয়োজন নেই।
আনিসুল হক বলেন, একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, আমি সেই নির্দেশনা দেব না। সবাই স্বীকার করছেন, তিনি অসুস্থ। এটা পরিষ্কার করার কিছু নেই। একটা বাস্তবতা, তাকে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেই আবেদনের মধ্যে প্রথমে থেকেই যে কথাটা কনস্ট্যান্ট ছিল, তিনি গুরুতর অসুস্থ। এজন্য দুই শর্তে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবেদনসংক্রান্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপর সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ৬ মাস স্থগিত করার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার কারামুক্তির মেয়াদ ৬ বার বাড়ানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাস ও লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকেও কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সরকার।