চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১৬ অক্টোবর সোমবার ভোরে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের সুবিধাপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার সুবিধাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে তাদের ফেলে যাওয়া ৫টি বস্তা তল্লাশী করে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পর্শে শাকিব মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বড়ঠুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাকিব ওই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাকিব পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
শাকিবের পিতা আবু সামা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। শাকিব কিছু বিদ্যুতের কাজ জানতো। বিদ্যুতের সমস্যা দুর করতে মেইন সুইচের সংযোগ স্থলে কাজ করার সময় সে বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়ঠুটা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ২০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) এবং নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন।
আজ ২২ মে বুধবার দুপুরে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বাসভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করে গত ২১ মে মঙ্গলবার কসবায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মান্দারপুর ভোট কেন্দ্র, শাহপুর ভোট কেন্দ্রসহ ২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের ( আনারস প্রতীক) বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ পিরিচ প্রতীক) সমর্থকরা আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগীতায় ব্যালেট পেপারে সীল মেরেছে।
তিনি বলেন, আমি ও মনির (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন আইন-শৃংখলা বাহিনীর এলোপাথারি মারধোরে তার ৫ শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০টি ভোট কেন্দ্রের সামনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মী সমর্থকদেরকে মারধোর করে সরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সীল মারে। এসব ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও তার কাছে আছে দাবি করে তিনি প্রহসনের এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন বলেন, উপজেলার বায়েক এলাকার তাদের একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনো তারা পাননি। তারা বলেন, প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ভয়ে তাদের সমর্থকরা এখন আতঙ্কে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ পিরিচ প্রতীক) ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।
অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭৬৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯১৯১ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ীর আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১ শ ৭৯ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে কৃষি উপকরন বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এসব কৃষি উপকরন বিতরন করা হয়। প্রতি কৃষক কৃষাণীকে ২টি করে আম, লেবু, পেপের চারা, ৪৫ কেজি জৈব সার ও নেট, ঝাঝরি ও বীজ সংরক্ষন পাত্রসহ তিন মৌসুমের জন্য ৮ প্রকার শাক-সবজির বীজ প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকতা হাজেরা বেগমের সঞ্চালনায় কৃষি উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরকার, কসবা প্রেসক্লাব সহ- সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন প্রমুখ। এসময় কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাগন ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ উপজেলার উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণীসহ গন্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান মানিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা এক ইঞ্চি জায়গাও যেন খালি না থাকে সেই ঘোষনা বাস্তবায়ন উপলক্ষে উপজেলার কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে আজকের এই কৃষি উপকরন বিতরণ। আপনার সকলেই নিজ বাড়ির আঙিনায় চারাগুলো রোপন করবেন এবং তার উপকার ভোগ করবেন।
সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে। কারো বসতবাড়িতে যেনো এক ইঞ্চি জায়গাও যেনো খালি না থাকে তারই অংশ হিসেবে পুষ্টিবাগান উপকরন দেয়া হচ্ছে। সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে কৃষি উপকরণের যথাযথ কাজে লাগাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণ করার যে লক্ষ্য আপনারা যদি আজকের এই উপকরণগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগান তাহলে ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে তা সফল হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সানজিদা আক্তার (২০) নামে এক নববধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সানজিদা আক্তার পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মোরশেদ আলমের কন্যা। সে অন্তঃসত্ত্বা ছিলো বলে জানায় নিহতের মা রুনা আক্তার।
সানজিদার পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাদের মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে ছড়ানো হচ্ছে।
নিহত সানজিদার বাবা মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রকির সাথে বিয়ে হয় সানজিদার। বিয়ের সময় ছেলে পক্ষের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার যৌতুকের জন্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। যৌতুক দাবির বিষয়টি বাবা-মাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছেলের মায়ের চাহিদা অনুযায়ী দিতে রাজি হন তারা। তবে যৌতুকের দাবীকৃত মালামাল দেয়ার জন্য সময় চান তিন মাস। এতো সময় চাওয়ার কারণে শ্বাশুড়ী, দেবর ও ননদের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার মাকে ও বোনকে বিষয়গুলো জানায় সানজিদা। কিন্তু সকালে সানজিদার মৃত্যুর খবর শাশুড়ী রিনা আক্তার সানজিদার খালু (ঘটক) একই উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়াকে জানায়। সকাল ১০টার দিকে ইব্রাহিম মিয়া তাদেরকে ফোনে তার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানান। খবর পেয়ে ছুটে আসে সানজিদার পরিবার। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই যৌতুকের নির্মমতার বলী হতে হলো সানজিদা আক্তারকে এমনটাই দাবী বাবা-মায়ের।
সানজিদার মা রুনা আক্তার জানান, মেয়ে বিয়ে দিলাম তিন মাসও হলোনা। এরই মধ্যে আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সানজিদার শ্বাশুড়ী রিনা বেগম যৌতুকের জন্য নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, সানজিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তামান্না আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশারাবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তামান্না আক্তার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের ফজর পাড়ার মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে। ১৪ বছর আগে তামান্না আক্তারকে কসবার বিশারাবাড়ি মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সংসারে আনিকা (১২) ও সিয়াম (২) নামে দুটি সন্তান আছে।
তামান্নার চাচা ওমর ফারুক অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন তামান্নাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তাকে হত্যার পর মুখে বিষ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা দাবি করেন ওমর ফারুক।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।