অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার সেখানে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে। সার্জারির আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ভর্তি হন রাষ্ট্রপতি।
বুধবার সকালে কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরোসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপ্রধানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি তার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীসহ সবার দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, সোমবার সিঙ্গাপুরে যান রাষ্ট্রপতি।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে নিজের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে সুমী আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই গৃহবধূকে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরমান হোসেন গৃহবধূ সুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় হাসপাতালের বারান্দায় নিহত সুমী আক্তারের মা আশুরা খাতুন বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তির হাট গ্রামে আব্দুর রব বাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মা-মেয়ে। নিহত গৃহবধূ সুমী আক্তার ২ ছেলে ১ কন্যা সন্তানের জননী। তিনি ওইবাড়ীর আমির হোসেনের স্ত্রী। আমির হোসেন পেশায় অটোরিকশা চালক। স্কুল-শিক্ষার্থী সুমাইয়া স্থানীয় কুশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
হাসপাতালে স্বজনরা জানান, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া তার ৫ মাসের ছোট ভাইকে দোলনায় শুয়ে রেখে খেলাধুলা করছে। পাশে বৈদ্যুতিক পাখা ছিলো। ওই বৈদ্যুতিক পাখা থেকে বিদ্যুৎতাড়িত হয় সুমাইয়া। বিষয়টি তার মা সুমীর চোখে পড়ে। সুমাইয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সুমী আক্তারও বিদ্যুৎতাড়িত হন। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় মেয়ে সুমাইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরমান হোসেন মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে জানান, আমরা গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজের গুমের অভিযোগ জমা দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ ৩ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ জমা দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর তিনি গুমসংক্রান্ত কমিশনেও নিজের গুমের অভিযোগ জমা দেন।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তার সন্ধান পায়। সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।
নিজের গুম হওয়া প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, আমি আগেই তাদের সাথে যোগাযোগ করে আজকে গুম কমিশনে এসেছি। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তার ৬১ দিনের মাথায় আরেকটি দেশে প্রচার করে তারা। এ সময়ের মধ্যে আমাকে যে রুমে রেখেছিল, সেই রুমের বর্ণনাসহ নানা বিষয় আমি গুম কমিশনের কাছে বলেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, সরকার যে টেকসই উন্নয়নের কথা বলছেন, সেটি কেমন হতে পারে। যে কোন উদ্ভাবন হবে বর্তমান চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যৎ ব্যবহারের যোগ্য করে তোলা। এ ধরণের পরিকল্পনা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।
আজ ২ জুন শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং সপ্তম জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মেলায় বিভিন্ন ইভেন্টে অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অশিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ও বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাবুর উপস্থাপনায় ‘সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা’ বিষয়ে মূখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট বিজ্ঞান ক্লাব সংগঠক ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শেখ সাদী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অতিথিরা শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী স্টল পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। মেলার আয়োজনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, তত্ত্বাবধানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে বিজয়ীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী আসনে বিজয়ীদের নিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিজয়ী প্রার্থীদের নামে গেজেট প্রকাশের পর তা জাতীয় সংসদের সচিবালয়ে পাঠানো হবে। এরপর সংসদ সচিবালয় এই সদস্যদের শপথ গ্রহণের আয়োজন করবে।
নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ/জোটের মনোনীত ৪৮ জন এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত দুইজন অর্থাৎ মোট ৫০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরো জানান, দাখিল করা মনোনয়নপত্রসমূহ পূর্ব ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে বাছাইপূর্বক ৫০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনো প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত নারী আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ এর ধারা ১২ এর উপধারা (১) অনুসারে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়। জোট শরিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনে ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে ২টি আসনে।
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপিরা হলেন-
১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), ২. দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) – আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭. রুনু রেজা (খুলনা), ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা), ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা), ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) – সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, ১৯. বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), ২০. শবনম জাহান (ঢাকা), ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা), ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা), ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) – আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) – সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ২৭. সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী), ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) – আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)- নির্বাচনে পরাজিত, ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), ৩৬.নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) – আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী), ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) – আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত, ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর), ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী), ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) – আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট)। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে আগেরবারের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন নাহার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় নাসিরনগর উপজেলা। প্রতি বছরই এ দিনটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালোনো হয়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।