বিএনপির জন্য শেষ বার্তা, শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী : সেতুমন্ত্রী

রাজনীতি, 18 October 2023, 416 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

banner

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বার্তা দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কার কাছে ক্ষমতা দেবে? আপনার দণ্ডিত খুনি যুবরাজের কাছে? আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়ে গেলাম, আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আরো বার্তা দিচ্ছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।’

‘খেলা হবে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর কবরস্থানে শুয়ে আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম উৎসাহিত। কেন উৎসাহিত? আমি বলি, পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে!’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা সাহেব, পশ্চিমারা নিজেদের ঘর সামলাতে সামলাতেই ব্যস্ত। আপনাদের সামলাবে কখন?’

মন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে। এই খেলায় জিততে হবে। তারা নাকি রাস্তায় নামবে। দাঁড়াতেই দেব না।’

Leave a Reply

শরীয়তপুরে সাতটি হাতবোমা উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক : জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের একটি গরুর খামার Read more

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সেফ জোন তৈরিতে জার্মানের…

অনলাইন ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সেফ জোন তৈরিতে জার্মানের Read more

আখাউড়ায় ইমামদের সাথে ওসির মতবিনিময়

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার Read more

সরাইলে অবৈধভাবে মাটি কাটায় ভেকু ও…

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একটি ভেকু Read more

নবীনগরে দেশীয় বন্দুকসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : অস্ত্রসহ শাহাব উদ্দিন (৩৮) নামে এক যুবককে Read more

আশুগঞ্জে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক…

চলারপথে রিপোর্ট : ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যে Read more

বিজিবি অভিযানে মাদকসহ নারী আটক

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মাদকসহ নারীকে আটক করেছে Read more

তুরস্কের রিসোর্টে অগ্নিকাণ্ডে ৬৬ জনের প্রাণহানি

অনলাইন ডেস্ক : তুরস্কের স্কি রিসোর্টের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৬ Read more

ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান…

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি…

চলারপথে রিপোর্ট : তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র‌্যালি ও Read more

২৩ সেকেন্ডের ভিডিও অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতোলার…

অনলাইন ডেস্ক : বলিউডের অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতোলা। কোনো না কোনো Read more

নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম Read more

বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সংলাপ হতে পারে না: সেতুমন্ত্রী

রাজনীতি, 2 November 2023, 394 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এরই মধ্যে নিজেদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণ করেছে।

banner

এমন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমিও বলছি।

মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) ঘুরেফিরে তাদের পুরনো নাশকতা, সন্ত্রাসের ধারায় ফিরে এসেছে। কাজেই এখানে সন্ত্রাসের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। তারা প্রমাণ করেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কাজেই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন কোনো সংলাপ নয়।

তিনি বলেন, তাদের আন্দোলন তারাই পণ্ড করছেন। এটা পণ্ড করার জন্য দুইটা ঘটনাই যথেষ্ট। এক. বিচারপতির বাড়িতে হামলা। দুই. পুলিশকে জনসম্মুখে হত্যা করা। এ দুই ঘটনাই যথেষ্ট জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য। এরপর জনমত যা আছে, তা থাকার কথা নয়। তাদের আন্দোলন তারাই পণ্ড করেছে, আমাদের কিছু করার নেই। পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল তারা শুরু করেছে।

বিএনপি ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি শুরু করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘুরেফিরে নাশকতা সন্ত্রাসের ধারায় তারা ফিরে আসছে। এমন সন্ত্রাসের সঙ্গে সংলাপ হতে পারেনা। তারা (বিএনপি) প্রমাণ করেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কাজেই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, আমিও বলেছি।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমরা সমাবেশ থেকে পল্টনে গিয়ে মিছিলে গিয়ে হামলা চালাইনি। তাদের সমাবেশ তারা পণ্ড করেছে। তারা দৌড়ে লাদেনের মতো কোনো গুহায় গেছে, তাদের বের করা যায়নি।

নির্বাচন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান যেভাবে বলছে, সেভাবেই আমাদের টার্ম শেষ হবে জানুয়ারির ২৪ তারিখে। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে। ইসি নির্বাচন সিডিউল ঘোষণা করবে। এটা সরকারের বিষয় না, এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এর বাইরে আমরা আগেও বলিনি, এখনো বলছি না।

তিনি বলেন, আমরা অন্য কোনো দেশের কথা শুনে পরামর্শ নেব? তারা (বিদেশিরা) কি নেয় আমাদের পরামর্শ? তারা যখন করে না তাহলে আমরা কেন? উই হ্যাভ কনস্টিটিউশন। এসব মেনে আমাদের সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়েছি কি না, তা নিয়ে বন্ধুদের আপত্তি থাকতে পারে, তারা বলতে পারেন। এটা একটি স্বাধীন নির্বাচন। ইসি ইলেকশন করবে। এ সময় সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে কেবল। সরকারের মন্ত্রীরা সরকারি গাড়ি ও পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না। আমরা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী এগিয়ে যাব।

সংলাপ প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট ডেকেছেন তারা আসেননি। ইসি ডেকেছে আসেনি। গতবার ডেকেছি দুইবার, রেজাল্ট কী? ফখরুল সাহেব করলেন এক নাটক। ইলেকশন করলেন, জেনেশুনে নির্বাচিত হলেন, সংসদে গেলেন না। গণতন্ত্র কোথায় আছে?

রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রিজভী ‘প্যাথলোজিক্যাল লায়ার’। তিনি বসে বসে আবাসিক প্রতিনিধির মতো কথা বলেন। কোন গুহা থেকে বলছেন কে জানে!

জাতিসংঘের বিবৃতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। সুদান, গাজায় কী হচ্ছে? জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা নেই বাস্তবে। তাদের আসল দায়িত্ব তারা তো পালন করতে পারছে না।

তাহলে কি বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সেটা আমি জানি না, সেটা তাদের মর্জি। তারা করবে কি করবে না। তারা না এলে তো জোর করব না। এটুকু বলছি, শুধু সংবিধান পরিবর্তন হবে না।

বিএনপি নেতারা জেলে রয়েছেন, তাদের রেখেই নির্বাচন হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউকে জেলে রাখার বিষয় না, এটা আইনের বিষয়। কেউ আইন ভঙ্গ করে জেলে গেলে তাদের জন্য ইলেকশন বসে থাকবে না।

এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি, 29 September 2023, 412 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে- ক্ষমতাসীনদের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেই নির্বাচন কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। আর এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের মহিলা, শিশুসহ কোন মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না, গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে এবং ভোটের অধিকার চলে যাবে।’

banner

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে ‘মহিলা সমাবেশে’ এ কথা বলেন তিনি। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর চলমান আন্দোলনে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি নারীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতেই এককভাবে মহিলা সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালন করে দলটি। দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলের মহিলা দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও গাড়িতে করে অনেক নেতাকর্মী আসেন। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার বিকেলে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়েছেন নারী নেতাকর্মীরা। তবে আকাশ মেঘলা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি করে সমাবেশের কার্যক্রম শেষ করে আয়োজক সংগঠক মহিলা দল।

সমাবেশে নারী নেত্রীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন তারা। তাদেরকে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে একটি নতুন ইসি গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই দেশের একমাত্র এই সংকট থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। গণতন্ত্রও নিরাপদ নয়। বিশেষ করে এদেশে এখন মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আর দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে মহিলাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে না। আজকে সমস্ত দেশ বিপদগ্রস্ত হয়েছে। এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল ও লবণসহ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মা-বোনদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দিয়েছে। সেই দাম কেউ মানছে না।’

নারীনেত্রীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ সরকার জোর করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আপনারা কি সেটা দেবেন? সরকারকে কি আবার ক্ষসতায় থাকতে দেবেন? এরা কাউকেই ছাড় দেয়নি। মা-বোনদেরকে গ্রেপ্তার করে তারা কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে। বিএনপির অংসখ্য নারী নেত্রীর ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। এই সরকার অত্যাচারের সরকারে পরিণত হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারী সমাজ রাজপথে নেমেছে। কারণ নারীদের অধিকার অপহরণ করা হচ্ছে। তারা খেতে পারছে না এবং সন্তানকে খেতে দিতে পারছে না। দেশে চলছে হাহাকার। এজন্য আজ দেশের নারী সমাজ জাগ্রত হয়েছে। কঠিন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে।’

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা খান রিতা, জেবা খান, নার্গিস আলী, নাজমুন নাহার বেবি, নুরজাহান মাহবুব, নেওয়াজ হালিমা আরলী, নিলোফার চৌধুরী মনি, রোজিনা ইসলাম, জাহান পান্না, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আক্তার, নায়েবা ইউসুফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যুবনেতা ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 20 December 2022, 1993 Views,

অভিনন্দন বিভিন্ন মহলের

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর অষ্টম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ও জেলা যুব মৈত্রীর সদস্য সচিব যুবনেতা ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ’কে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির ও কেন্দ্রীয় সদস্য এবং জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান। বিবৃতি নেতৃবৃন্দ বলেন, যুব অধিকার আদায়ে লড়াই-সংগ্রামে যুবনেতা ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবেন। নেতৃবৃন্দ তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। অনুরূপভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবনেতা সাংবাদিক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে অভিনন্দনে সিক্ত করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন জেলা শহরের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থীতে বেকায়দায় আওয়ামীলীগ

নাসিরনগর, রাজনীতি, 31 December 2023, 1005 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : হাওর বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৫২হাজার ৫৪৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬জন এবং হিজরা ২জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

banner

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন ৫জন প্রার্থী।

প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা প্রতীক), বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক)।

বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা করছেন।

কাগজে-কলমে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম ঘোষনা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক) এর তেমন প্রচার-প্রচারনা নেই।

নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামীলীগের বিপর্যয়ের সময়ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। অ্যাডভোটে ছায়েদুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪ বারসহ মোট ৫ বার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেলন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করলে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবার মুখোমুখী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এবং হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জান।

এবারের নির্বাচনী মাঠে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা চাপে আছেন। দলীয় অনেক নেতা-কর্মীই তার পক্ষে নেই। আওয়ামীলীগের এই বিভক্তির কারনে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, তার স্ত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এবং নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির নেতা মুহাম্মদ শাহানুল করিমও কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তিনি স্বশরীরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা বেকায়দায় আছেন। এবারের নির্বাচনে আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া বলেন, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ক্ষমতায় থেকে তাদের উপর, দলের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন এজন্য তারা নাসিরনগরবাসীকে নিরাপদে রাখতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাংবাদিকদের জানান তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগন পরিবর্তন চায়, এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী আমার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিমও আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। বর্তমান পরিবেশ যদি বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।

“নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না”

জাতীয়, রাজনীতি, 16 November 2023, 943 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার এখন কেবল রুটিন কাজ করবে।

banner

আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।

আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।

নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।

পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না। এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।

এসময় রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।

তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এ রকম কাজ আমরা করব না।

মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।

পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।