চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি ও জামাতের ডাকা তিনদিনের অবরোধে নাশকতা এড়াতে ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত সোমবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী টহল শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশের দিন পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
এ সময় এক পুলিশ সদস্য নিহত আরো অনেক পুলিশ আহত হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি ও জামায়াত। হরতাল শেষে রাতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। জামায়াতও পৃথকভাবে একই সময়ে অবরোধ ঘোষণা করে।
এর প্রেক্ষিতে নাশকতারোধ ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ শুরু করেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। অবরোধকে সামনে রেখে যে কোন প্রকার নাশকতা এড়াতে আমরা কাজ করছি। তাই সোমবার রাত থেকে গুরুত্বপূর্ন স্থান ও মহাসড়কে টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠে কাজ করছে। তিনি বলেন, গত তিনদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার অভিযোগে ১২১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম একজন ব্যক্তির জন্য ভবিষ্যত তথা বৃদ্ধকালের স্বয়সম্পূর্ণ জীবনের একটি অংশ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একজন ব্যক্তির ভবিষ্যতে কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে এ চিন্তা করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। তিনি বলেন এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলাধীন মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন কুমার ভট্রাচার্যের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্যে রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন।
প্রধান অতিথি এসময় সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশ গ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতাগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন বলে অবহিত করেন। এসময় তিনি সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় সর্বজনীন স্কীম সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেন মনে করেন।
এসময় সদর উপজেলা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ের শিক্ষক অধ্যক্ষ কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব। গত শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু ও খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, সাংবাদিক আবদুন নূর, আল-আমিন শাহীন, পীযূষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, শিহাব উদ্দিন বিপু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা তাঁর কর্মকালীন সময়ের প্রশংসা করেন এবং তার কর্ম জীবনের সাফল্য কামনা করেন।
সংবর্ধনার জবাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার কর্মকালীন সময়ে সর্বদা সাংবাদিকদের সহযোগীতা পেয়েছি। পরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। পুলিশ সুপার ও প্রেসক্লাবকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। বিকেল ৫টায় মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। মানববন্ধনে গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরীর যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের নেতারা সেই কর্মসূচি বাতিল করেন।
এরমধ্যে তাহেরী সোমবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার ঘোড়াপট্টি সেতুর ওপর থেকে লোকজনকে সাথে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোড এলাকায় আগে থেকে উপস্থিত থাকা মাদরাসা ছাত্ররা চারদিক থেকে ঘেরাও করে তার গাড়িতে হামলা চালান। এসময় তাহেরী কোনো রকমে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
তাহেরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘নিরাপত্তার হুমকি থাকায় আমাদের আয়োজন স্থগিত করা হয়। গাড়ি নিয়ে কাউতলী যাওয়ার পথে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা বরাবর সড়কে পৌঁছলে ছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।’ বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে তিনি অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এ সময় গিয়াসউদ্দিন তাহেরি তার বক্তব্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে মোবাইলে কল করে অভিযোগ করেছেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সরকারি শিশু পরিবারের উদ্যোগে ২৬ মার্চ রবিবার সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসীদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী মিসেস আছমা আক্তার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের গুলিতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র ভ্রাতৃত্ব কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও রাতে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন জয়, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন আদি।
আফ্রিদিকে র্যাব-৯ এর একটি দল ও বাকি দুই জনকে সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানায়, ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই নাশকতার মামলা রয়েছে। ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।