চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশের ন্যায় একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা পর্যায়ের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে গভ: মডেল গার্লস হাইস্কুলে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হচ্ছে।
“ডিসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম” শীর্ষক স্কিমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯ টি উপজেলা এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া ও মুরাদনগর এই ৩ টি উপজেলার মোট ৩৯৬জন প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জুলফিকার হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিউল্লাহ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মার্জিয়া রিংকু, জেলা প্রোগ্রামার জিসান আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পর্যায়ে গণিত বিষয়ে নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনার ও হাজী আব্দুল কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও উলচাপাড়া মালেকা-ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ জেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনারগণ উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আগামী ৮ নভেম্বর উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের (অনুর্ধ্ব ১৫) চূড়ান্ত পর্বে খেলবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকার কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সিলেটের জলটোপ ফুটবল একাডেমির সাথে টুর্ণামেন্টের প্রথম ম্যাচে অংশ নেবে দলটি। এ উপলক্ষে অনুশীলনে ব্যস্ততম সময় পার করছে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির খেলোয়ার ও সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দেশের ১৯ জেলার ২৪টি জোনে ১৭০টি দল গ্রুপভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট অংশ নেয়। ২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমি নকআউট পর্বে অংশ নিয়ে ১২টি একাডেমি চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয়। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১২টি দল ৪ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেবে। ৪ গ্রুপের বিজয়ীদের নিয়ে দুটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুটি দল ফাইনাল ম্যাচ খেলবে।
বাফুফের একাডেমি চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহন উপলক্ষে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আশুগঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি। প্রেস ব্রিফিং এ ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, মাত্র এক বছর আগে আশুগঞ্জে কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিক্ষানুরাগী হাজী মোঃ ফিরোজ মিয়া ও তার ছেলে প্রয়াত প্রভাষক কামাল হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাদের একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অল্প সময়ের মধ্যেই তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী দল হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এরই মধ্যে দলটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়েছে। বর্তমানে ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমি এক তারকা একাডেমির মর্যাদা অর্জন করেছে। এ টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে তাদের মেধাবী ফুটবলাররা এলিট একাডেমিতে জায়গা করে নিতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস।
প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন, ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেনের, প্রধান কোচ রিয়াদ মেহেদী, সহকারি কোচ শাহীদ হোসেন, পরিচালক আতিকুর রহমান, গোল কিপার কোচ মুহাম্মদ আমিন ও দলের ক্যাপ্টেন অন্তর মিয়া প্রমুখ।
ফিরোজ-কামাল ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান অ্যাড. মোশারফ হোসেন জানান, তাদের একাডেমিকে পৃষ্টপোষকতা করছেন, আশুগঞ্জ লাভিডা হাসপাতাল, সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাইফুর রহমান মনি, হেনা মটরস, কামরুল হাসান, ডাক্তার ফাইজুর রহমান, মামুন রশিদ ও রাজভর ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অনেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্শক-নন্দিত লাল সবুজের টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ এর ২৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরামের আয়োজনে আজ ১ অক্টোবর শনিবার সকালে স্থানীয় সরকারি শিশু পরিবারের কন্যা শিশুদের নিয়ে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রা শেষে সরকারি শিশু পরিবারের সবুজ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেককাটা অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এর সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রিয় পতাকার রং লাল-সবুজ, ২৪ বছরের অদম্য অগ্রযাত্রায় চ্যানেল আই এ দু’টি রংকেই বেছে নিয়েছে। চ্যানেল আই শুধু কৃষি বিষয়ক, প্রকৃতি ও জীবন, রিয়েলিটি শো, রাজনীতি, টকশো, শিল্প সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়েই কাজ করছে না, সর্বোপরি চ্যানেল আই বহন করছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ঊর্ধ্বে তুলে ধরছে চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতিকে। আমি চ্যানেল আই এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এসআরএম ওসমান গনি সজীব, আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছরারুন্নবী মোবারক, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি ও অন্যরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চ্যানেল আই এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
পথ হারানো বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব রাজাকার, আলবদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে তারাই আবার বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরেও তারা ক্ষমতায় এসে দাপটের সঙ্গে দেশকে লুণ্ঠন করেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, বঙ্গবন্ধুর সঠিক জায়গা দিতে চায়নি।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও এই দেশকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন। এই পথ ধরেই তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান।
পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩০ জন এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে এক লাখ ১২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জেলার শান্তি-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে জেলা বিএনপির দুইপক্ষের নেতারা এ আহবান জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহিরের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি অংশ।
এসময় তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রেসক্লাব সকলের। প্রেসক্লাবে হামলা কারো কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবারের জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল বাতিল করেছি। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। সাংবাদিকদের স্বধীনভাবে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বক্তারা সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যাতে সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে না পারে সেজন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর হামলা ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইলে ব্যস্ত ৩ বন্ধু। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত একজন। নিহত তরুণের নাম রিমঝিম (২০)। এ সময় অন্য আরো দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
রিমঝিম শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন : সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল চাপছিলেন। তারা গভীর মনোযোগে মোবাইল ব্যবহার করায় দ্রুতগামী ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এসময় তিন তরুণই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রিমঝিম মারা যায়। বাকী দুই তরুণের পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।