চলারপথে ডেস্ক :
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের এপিসি কারে এক বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত সব পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এখনো (সন্ধ্যা ৬টা) উত্তপ্ত রয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহতাবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর, তিনি ডান হাতের আঙ্গুল ও কব্জির নিচের অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। বুধবার সকালেও আন্দোলনে নামেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল।
দুপুরের পর কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের সমন্বয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এদের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়ার ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো আলাউদ্দিন বলেন, গাজীপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন পুলিশকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ফুয়াদ নামে এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিন দিন পালটে যাচ্ছে বায়ু পরিমণ্ডল। নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভের পানির স্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বিভিন্ন জেলার নলকূপেও উঠছে না পানি। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িযা জেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে এসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি বেশির ভাগ পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়ায় এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানির স্তর ৪০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর শহরের বাসা বাড়িতে নলকূপ ও মোটর দিয়ে পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৬০ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে জেলার অন্তত ৩৩ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি হিসেবে ৫৪ হাজার ৬৫১টি হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই যুগে ১২ হাজার ২০৮টি নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৯ হাজার ৯১০টি। অগভীর নলকূপের গভীরতা ৬০ থেকে ৭৫ মিটার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় এলাকাভেদে পানির স্থিতিতল সর্বনিম্ন ৩৫ দশমিক ৩৬ ফুট (১০ দশমিক ৭৮ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৯৮ ফুট (১৩ দশমিক ৭১ মিটার)। তবে সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১৫০ মিটার বা ৪৯২ ফুট গভীরতায় নিচে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। আর ব্যক্তি উদ্যোগে অগভীর নলকূপ স্থাপনে ১৮০ থেকে ২৫০ ফুট গভীরে যেতে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সরকারি ২ হাজার ৪৭৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৪৮৬টি নলকূপ বন্ধ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের মধ্য কেশবকাঠী গ্রামে গাছ থেকে পড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মধ্য কেশবকাঠী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. হারুন মৃধার ছেলে ব্যবসায়ী মো. বেল্লাল মৃধা (৪৮) নিজ বাড়ির গাব গাছের ডাল কাটতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। স্বজনরা তকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাখাল বিশ্বাস বেল্লালকে ঘোষণা করেন। উজিরপুর থানা পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৪.০৬ শতাংশ। এ সংখ্যা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে বাংলাদেশ ফেস্টের তৃতীয় দিনে আয়োজিত ‘পর্যটন শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সহ-সভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টর সন্তোষ কুমার দেব।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, ডানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জারা জাবিন মাহবুব, শেয়ার ট্রিপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া হক, গ্রিন টিভির নির্বাহী সম্পাদক নাদিরা কিরণ, আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেয়েদের সাহস করে আগাতে হয়। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরও নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন। যত বেশি পর্যটনে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়বে ততো বেশি বিদেশি পর্যটক আসবে। গাইড হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে আটাবের সহ-সভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরিতে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। নারীদের বেশি সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনে বিদেশ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে কাজ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব পর্যটন শিল্পের সত্যিকার অর্থে বিকাশ।
আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, কারও ওপর ভরসা করে নয়, পর্যটনশিল্পে নারীকে নিজের যোগ্যতা দিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম বলেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে ট্যুরিজম বোর্ডকে শক্তিশালী করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। নারী পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। আর তাদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩য় বারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ জুন রবিবার মৌলভীবাজারের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চা বোর্ডের প্রথম বাঙালী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাইয়ে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ৪ জুনকে “ জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৩য় বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
মস্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
চায়ের বাজারে ঠিকে থাকতে হলে চা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটিয়ে বিশ্ব বাজারে ব্রাডিং করতে চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে চা শ্রমিক ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং চা শ্রমিকরা তা মেনে নিয়েছেন।
প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫-৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে প্রদেয় ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ চা শিল্পের বিকাশ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে অনুপ্রাণিত করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার পথ তৈরি করতে হবে। সে জন্য নতুন নতুন ব্যান্ডিং এর খুবই প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইপ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা বোর্ড।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক জেলা আ’লীগ, কামরান টি রহমান সভাপতি বাংলাদেশীয় চা সংসদ, মো. জসিম উদ্দিন সভাপতি এফবিসিসিআই, শাহ মঈনুদ্দিন হাসান সভাপতি টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।
চা শিল্পে অবদানের জন্য জাতীয় চা দিবসে প্রথম বারের মতো ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানী/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হয়।
দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত ছিল। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় চা পুরস্কার প্রাপ্ত ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান
(২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান
(৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রতায়ন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়)
(৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান
(৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি:
(৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি:
(৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)-উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) জন্যও প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশির) অধীন বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র গণমাধ্যমেক এই তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে আগামী সপ্তাহে আদেশ জারি হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-১) খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।