চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের জন্য পৃথক এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচনের তফসিল।
নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সম্ভাব্য প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও সহকারী পোলিং অফিসারের তালিকা প্রস্তুত করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সবকটি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণামূলক পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুর্নগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরফান আহমেদ জানান, সম্ভাব্য যারা ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন তাদের একটি তালিকা করে পাঠানোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় কাছ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সম্ভাব্যদের তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত করে শীঘ্রই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের লাগানো প্রচারণামূলক ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুর্নগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভা ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল কুমারশীল মোড়স্থ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে উক্ত ‘অভিষেক অনুষ্ঠান ও পরিচিতি সভার’ উদ্বোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের ট্রাস্টি, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি, বীরমুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু (পিপিএম)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, কবি ও গীতিকার মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন পিপিএম, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন, নবীনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সোহাগপুর ইসলামিয়া পাঠাগারের সভাপতি, প্রফেসর মোঃ আলমগীর, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম লিমন, আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ এখলাছউর রহমান, সমন্বয়ক শিবচরণ বিশ্বাস।
সংগঠনের নব নির্বাচিত জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাদৈর মৈত্রী পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি, লোকো গবেষক জহিরুল ইসলাম স্বপন, কবি ও গীতিকার আব্দুর রহিম, বজলুর রহমান পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন নাহার, মাতৃভাষা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, কবি আনিস মুহাম্মদ, তরী পাঠাগারের সদস্য, কবি ও গল্পকার শিরিন আক্তার, এএম টিভি নিউজ বাংলার বার্তা সম্পাদক কবি রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ প্রমুখ।
সংগঠনের নবনির্বাচিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল সফেরা বেগম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন। কোরআন তেলওয়াত করেন মাতৃভাষা একাডেমির সদস্য মাওলানা আমানুল্লাহ মুর্তাজা, গীতা পাঠ করেন নাসিরনগর হরিশচন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক তাপসী রায়।
সভায় উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা মালিক খসরু তাঁর বক্তব্যে বলেন- বর্তমান যুগে ডিজিটালাইজেশনের যুগে তরুণ প্রজন্ম মোবাইল আসক্তিতে মাতারা হয়ে থাকে। মাত্রারিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কুফলে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে জ্ঞানহীনভাবে বেড়ে উঠছে, সেই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে একমাত্র পাঠাগার আন্দোলনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেশব্যাপী পাঠাগার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি পাঠাগার আন্দোলনে সকলকে সক্রিয় হতে উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি মফিজ উদ্দীন আহমেদ ফরিদ তার বক্তব্যে বলেন- আমার ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে ছোট একটি পাঠাগার দেখেছি। সাধারণ বাঁশের তাকে বাবার বানানো সেই পাঠাগারই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে পারছি এবং লেখালেখির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারছি। তিনি বলেন- বিভিন্ন পাঠাগারে যে বইগুলো থাকে এগুলোই মূলত পাঠ্যবই। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা পড়ানো হয় তাকে আমরা পাঠ্য বই ভেবে ভুল করি। আর আমরা যাকে আউট বই মনে করি সেই আউট বই তথা পাঠাগারের বই-ই আসল বই। এই বই পড়ার মাধ্যমে আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারি।
সভায় কবি জয়দুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন- বর্তমানে যেভাবে ঘরে ঘরে মোবাইল পৌঁছে গিয়েছে, সেভাবেই প্রতিটি ঘরে ঘরে ছোট করে হলেও একটি করে পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। বক্তব্যে সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সফলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- সরকারকে ‘একটি বাড়ি-একটি পাঠাগার’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় প্রধান সমন্বয়ক মোঃ ইমাম হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন- দেশের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসংখ্য পাঠাগার গড়ে উঠলেও আর্থিক সংকট, নানা অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা এবং সরকারের তদারকি না থাকায় দেশের অসংখ্য পাঠাগারের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসব পাঠাগারকে পুনরায় চালু করতে হবে এবং নতুন নতুন পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে পাঠাগারমুখী করতে সরকারি ব্যবস্থাপনাসহ সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে আজ ১৯ আগস্ট শনিবার সকালে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
তিনটি গ্রুপে ভাগ করে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। “ক” গ্রুপে প্লে থেকে ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “রং তুলিতে বঙ্গবন্ধু”, “খ” গ্রুপে চতুর্থ শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “শোকাবহ আগস্ট” এবং “গ” গ্রুপে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ” বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন করে। তিনটি গ্রুপে ২৭১ জন আঁকিয়ে অংশ গ্রহন করে। ছবি আঁকার জন্য আঁকিয়েদেরকে ১ ঘন্টা সময় দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন। শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ইতিহাস জানবে। এই প্রজন্ম যেনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর দর্শনে বলিয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখতে পডারে ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারে সেজনই আজকের এই আয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ছোট শিশুরা এসেছে বঙ্গবন্ধুকে ধারন করতে, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও তাঁর আদর্শকে ধারন করতে। বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুকে ধারন করতে পেরেছে এটাই আমাদের অর্জন। আমাদের প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে মিস করেছে, কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। তিনি প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করার জন্য শিশুদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য তিনি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিগণ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২৪ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, সিভিল সার্জন ডা: মোঃ নোমান মিয়া, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আমির আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিসহ ফাইনাল খেলায় আগত ক্রীড়ামোদি ব্যক্তিদেরকে স্বাগত এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান জেলা ক্রীড়া অফিসার ও টুর্ণামেন্টের সদস্য সচিব মাহমুদা আক্তার।
ফাইনাল খেলা বালিকা গ্রুপে কসবা উপজেলা বনাম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কসবা-০ বাঞ্ছারামপুর-৭ গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অপরদিকে, বালক গ্রুপের শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় কোনো গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারে সরাইলকে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটায়। তিনি আশাবাদী, আজকের খেলোয়াড়রা বিভাগীয় পর্যায় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলবে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাম উজ্জ্বল করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে এ দাবি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাবির বিষয়টি মনযোগসহকারে শুনেন।
এছাড়াও দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ তথা পুরো জেলাবাসীর পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সোচ্চার আছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন দীপক চৌধুরী বাপ্পী।
বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন।
সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয় অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকাস্থ রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন।
ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, সবেমাত্র ঘটনাস্থলে আসলাম। আমরা দেখবো কী ত্রুটি রয়েছে এবং তা বোঝার চেষ্টা করবো। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবো এবং সেগুলোর রিডিং নেব। এগুলো নেওয়ার পরে মূলত জানা যাবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।