চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার টেবুনিয়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্রের চার নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ছিনতাইকারী নারী সদ্যরা সবাই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানা বাসিন্দা। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানাতে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃত নারী সদস্যরা হলো নাসিরনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার স্ত্রী রুবিনা ওরফে রোজিনা খাতুন (৪০), একই এলাকার মহারাজ মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৩৫), মোঃ রুবেলের স্ত্রী নিপা খাতুন (২৫) ও মোঃ মাসুদ মিয়ার স্ত্রী রুহেলা ওরফে রোহেলা বেগম (২২)। তাদের সবারই বাড়ি একই গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস, ট্রেন ও পরিবহনে কৌশল করে ছিনতাই ও চুরির কাজ করে আসছেন বলে জানায় পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, গত ১৬ নভেম্বর রাতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে ফাতেমা খাতুন নামে এক যাত্রী টেবুনিয়া রেলস্টেশনে নামেন। সেখানে ওই নারী ও তার স্বামী মোঃ জুলহাস খান নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি ইজিবাইকে উঠেন। ঘটনাক্রমে আটকৃত ছিনতাইকারী নারী সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তারাও ওই ইজিবাইকে উঠেন। পথিমধ্যে তারা অসুস্থতার ভান করে ওই মহিলা যাত্রীর গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়। সে সময় ওই যাত্রী বুঝতে পেরে চিৎকার দেন, এ সময় স্থানীয়রা এসে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সপর্দ করেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পাবনা সদর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে আইনগত পক্রিয়া শেষে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : হাওর বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৫২হাজার ৫৪৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬জন এবং হিজরা ২জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন ৫জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা প্রতীক), বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক)।
বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা করছেন।
কাগজে-কলমে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম ঘোষনা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক) এর তেমন প্রচার-প্রচারনা নেই।
নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামীলীগের বিপর্যয়ের সময়ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। অ্যাডভোটে ছায়েদুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪ বারসহ মোট ৫ বার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেলন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করলে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবার মুখোমুখী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এবং হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জান।
এবারের নির্বাচনী মাঠে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা চাপে আছেন। দলীয় অনেক নেতা-কর্মীই তার পক্ষে নেই। আওয়ামীলীগের এই বিভক্তির কারনে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, তার স্ত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এবং নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির নেতা মুহাম্মদ শাহানুল করিমও কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তিনি স্বশরীরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা বেকায়দায় আছেন। এবারের নির্বাচনে আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া বলেন, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ক্ষমতায় থেকে তাদের উপর, দলের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন এজন্য তারা নাসিরনগরবাসীকে নিরাপদে রাখতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাংবাদিকদের জানান তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগন পরিবর্তন চায়, এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী আমার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিমও আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। বর্তমান পরিবেশ যদি বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নাসিরনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মীর জসিম উদ্দিন ।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী ।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সুশেন ঘোষ ও মো: শাকিল আব্বাসের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এছাড়া প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময়ে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো. লতিফ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.ওয়াহেদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক তপন রায় চৌধুরী ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস।
এছাড়াও সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ালীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, উপজেলা মহিলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বশীর আল হেলাল, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অরুনজ্যোতি ভট্টাচার্য, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেব। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম শুভ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায়সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ৫নং নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মীর জসিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুশেন ঘোষ ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ মার্চ সোমবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নিবার্চন পরিচালনা করেন প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়া ।
নিবার্চনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এর মধ্যে অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ৬৪৩ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩২ ভোট পেয়েছেন পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ আশরাফুল আবদাল মোকাল্লিদ। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন আদেশ চন্দ্র দেব(৫৩১) ও মো: নুরুল ইসলাম(৪৭৭)। মোট ১ হাজার ৭‘শ ৮১ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ১৩৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে ১৩টি ভোট বাতিল ঘোষনা করেন।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বি-বার্ষিক অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মীর ফাহাদ (৩২) নামের আহত এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মীর মোশারফ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মীর মোশারফ হোসেন ও মীর জালালের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এর পরপরই মীর জালালের লোকজন লাঠি নিয়ে মীর মোশারফ ও তার বড় ছেলে মীর ফাহাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ফাহাদের মাথায় বল্লম দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত ফাহাদকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, নিহত যুবকের মরদেহ এখনো বাড়িতে আসেনি। প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সাথে জড়িত তিন আাসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি দিন বই পড়ায় ২২ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
নাসিরনগরে সর্বাধিক দিন বই পড়লে পুরস্কার দেওয়ার প্রথা অব্যাহত রেখেছে এই উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালিকা বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, শাহ-সামিয়া, নুসরাত সোহা, লামিয়া আক্তা ও ইস্পা আক্তার।
১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে আদ্রিতা। ১১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে ইসরাত তানিশা।
বালক বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায়, স্নেহাল গোপ পান্না, চৌধুরী আনাস ও আব্দুল গফফার। ১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে সৌভিক রায়, সপ্তদীপ কুন্ডু ও অনির্বান দাস।
১২ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাইব্রেরিতে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি বই যারা পড়ছে তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।