চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাংকারদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়, পেশাগত ও সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এসোসিয়েশনভূক্ত ব্যাংকসমূহের সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের ১২৫ শাখায় কর্মরত প্রায় ছয় শতাধিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ‘এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হলো। আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় আমিন কমপ্লেক্সে (৮ম তলা) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ মোবারক হোসেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান মোঃ আবু হানিফা, কৃষি ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ খান, কর্মসংস্থান ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান তালিম হোসেন।
সভায় এসোসিয়েশনভূক্ত ব্যাংকসমূহের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এসোসিয়েশনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ ছাড়াও ২০২২, ২০২৩ সনে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণদের এবং ২০২৩ সনে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সভায় এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকের এজিএম মোঃ শরীফুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অগ্রনী ব্যাংকের এসপিও মোঃ ছাগীউর রহমান।
একে একে সকল ব্যাংকের নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভা সঞ্চালনা করেন সোনালী ব্যাংকের এসপিও মোঃ শহিবুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিনি কনফারেন্স রুমে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা চলাকালে আবু হুরাইরা (২৭) নামক একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী দিয়ে পাস করার পর ভাইভা দিতে গিয়ে আটক হন।
এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আটককৃত আবু হুরাইরা বিস্তারিত তথ্য জানান। সে জানায় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলীস্থ হুন্ডা গ্যালারি নামক একটি মোটরসাইকেল শোরুমের ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম(২১) ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেবে বলে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত শোরুমে অভিযান চালিয়ে সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়। সাইদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে নেন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ অপরাধী সাইদুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা এবং আবু হুরায়রাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া চুক্তির ১২ হাজার টাকা আবু হুরায়রাকে ফেরত দেয়ার জন্য সাইদুল ইসলামকে নির্দেশ প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। আমার সময়কালে এই দুইটা জিনিস কখনোই হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি অথবা কাউকে দুর্ভোগে ফেলার অভিযোগ আসে, সেটি ছাড় দেওয়া হবে না। তা ছাড়া জনভোগান্তি যেন না হয় সে জন্য সকল অফিসারদের বলা হয়েছে কেউ কাজ নিয়ে আসলে সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত কাজ করে দেবেন, আর যদি না হয় তাহলে সেই কাজ হবে না বলে ভোক্তাকে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেন সময় ব্যয়ের মাধ্যমে ভোগান্তি না হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়ের শুরুতে সকল সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন নবাগত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান কিছু সমস্যা ও বিভিন্ন সেক্টরে ত্রুটি রয়েছে-এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে সেসব বিষয়গুলোর সমাধানের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
চার লেন সড়কের প্রকল্প নিয়ে মো. দিদারুল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর মহাসড়কের অবস্থাটি আমি দেখেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সড়কের কাজে সংযুক্ত লোকজন ভারতে চলে গেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চারলেন সড়কের বাকি কাজগুলো সরকারি অর্থায়নে করার অনুমোদন দিয়েছে। তাই অতি দ্রুতই চার লেন সড়কের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি জায়গায় ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের হোস পাইপ চলন্ত অবস্থায় ছিঁড়ে যায়। এরফলে লেভেল ক্রসিং এলাকায় ট্রেনটি আটকা পড়লে শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। মেরামত শেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনাটি ঘটে আজ ১৩ মে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে। একাধিক সূত্র ও গণমাধ্যম সূত্র জানায়, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যায় ৬টা ৩১ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। পাঁচ মিনিট যাত্রাবিরতি দিয়ে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। কিছুদূর যাওয়া মাত্র ট্রেনের দুই বগির মাঝের হোস পাইপ ছিঁড়ে যায়। এতে ট্রেনটি থেমে যায়। পরে মেরামত শেষে ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যায়। ওইসময়ে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রসঙ্গত: ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার প্রধান সড়ক টিএ রোডের লেভেল ক্রসিংয়ে আটকা পড়ায় দু’দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে অনেক দূর ঘুরে গন্তব্যে যান। অনেক যানবাহন বিকল্প হিসেবে উড়াল সেতু ব্যবহার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, চলন্ত অবস্থায় হোস পাইপ ছিঁড়ে যায়। মেরামত শেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় তারিন (৮) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তারিন ওই এলাকার অটোরিকক্সা চালক আব্দুর রহিমের মেয়ে। সে হাবলাউচ্চ প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বিকেলে স্কুল শেষে শিশু তারিন বাড়ি ফিরছিল। পথে গ্রামের রাস্তায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপা পড়ে সে। শিশুটি মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ওসি আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন জাহান বলেছেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে রয়েছে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে কাজ করতে হবে। পুলিশ বিভাগসহ সকল এজেন্সির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হলে আন্তরিক হতে হবে। ন্যায়ের শাসন ছাড়া একটা দেশ অগ্রসর হতে পারে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ন্যায়ের শাসনের বিকল্প নেই।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার, বিজিবি ইনচার্জ মোঃ নুরুল হক, পুলিশ সুপার শচীন চাক্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুল রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ নোমান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ফরিদ আহমেদ খান, এডি মতিউর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, জজ কোর্ট পিপি এডঃ ফখরুল আলম খান, এপিপি এডঃ তারিকুল ইসলাম খান রুমা, জেলার মোঃ কামরুল ইসলাম, ডাঃ শাহিনুর আলমসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।