অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান এটি পাঠিয়েছেন। এতে দোষ প্রমাণ হলে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরু সিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বিসিবিকে।
এছাড়াও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছেন। তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি রবিবার থেকে এ তদন্ত শুরু করে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
লোকশান এড়াতে সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। কাজেও লেগেছিল দিনটি। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে সম্প্রচার স্বত্ত্বের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বললো। লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে ১০০ ওভারের ম্যাচ ২২ ওভারের মধ্যে শেষ করল ভারত। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে রোহিত শর্মার দল ঘরে তুলল এশিয়া কাপের রেকর্ড অষ্টম শিরোপা।
ফাইনালে পা রাখা পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। সেটাই এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াই জমার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগে শেষ হয়ে কলম্বোর গ্যালারিতে বসা ও টিভি পর্দার দর্শকদের হতাশ করলো তারা।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ী শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহ তুলে নেন কুশল পেরেরাকে।
এরপর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শিবিরে বড় ধাক্কা দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। একে একে সাজঘরে ফেরান পাথুন নিশাঙ্কা (২), সাদিরা সামারাবিক্রমা (০), চারিথা আশালঙ্কা (০) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৪)।
পরে আরও দুই উইকেট দখলে নেন ২৯ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করা সিরাজ। ডানহাতি এই পেসার দাশুন শানাকা (০) ও কুশল মেন্ডিসকে (১৭) বোল্ড করে দেন। ২১ রানে ক্যারিয়ারে সেরা ৬ উইকেট তুলে নেন। বাকি তিন উইকেট হার্ডিক পান্ডিয়া দখল করে লঙ্কানদের ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট করে দেন।
জবাব দিতে নেমে ভারতের দুই তরুণ ওপেনার শুভমন গিল ও ইশান কিষাণ ৬.১ ওভারে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিশান ১৮ বলে তিন চারে ২৩ ও শুভমন ১৯ বলে ছয় চারে ২৭ রান করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ফাইনালে সর্বোচ্চ ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েন।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্লে ২১তম ওভারে ৪৩ রানে ধসে গিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কা অল্পের জন্য ওই লজ্জাসহ ওয়ানডের সর্বনিম্ন ৩৫ রানে অলআউটরে লজ্জা থেকে রেহায় পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বহুবার ২২ গজে একসঙ্গে দৌড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারি। দেশকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব সামলালেন তারা।
আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকেও রেখেও দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তরুণ হৃদয় ও শামীম ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। চাপ থেকে কামব্যাক দেখান তারা। জয়ের প্রান্তে গিয়ে হারায় তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফ্রেশ উইকেটে নতুন বলে সুবিধাও তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্যের পর অষ্টম ওভারে আফগানদের ৫২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ওই চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। তিনি ৪০ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে জুটি দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। নাজিব খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। পেসার ওমরজাই ১৮ বলে চারটি ছক্কার শটে ৩৩ রান করেন। আফগানিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে।
জবাব দিতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দলও। ৩৯ রানে তৃতীয় ও ৬৪ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর হৃদয় ও শামীম দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তারা ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে আসেন।
দলের রান ১৩৭ হলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁ-হাতি ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। তিনি ২৫ বলে তিনটি চারের শটে ৩৩ রান করেন। হৃদয় ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ছয় রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দলের রান ১৫৩ হতে একে একে ফিরে যান মেহেদি মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (০) ও নাসুম আহমেদ। এক বল থাকতে চার মেরে জেতান শরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে একমাত্র টেস্টে ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে রেকর্ড জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের ছুড়ে দেওয়া ৬৬২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় আফগানিস্তান অলআউট মাত্র ১১৫ রানে। ৫৪৬ রানের রেকর্ড জয় পায় বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রানের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ জয়।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে লন্ডনের ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬২ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ৮৯ বছরের ইতিহাসে বিশাল ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
টেস্টে এটি বাংলাদেশের ১৮তম জয়। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এ নিয়ে অষ্টম দলের বিপক্ষে জয় পেলেন টাইগাররা।
গত দেড় বছরে তিনটি দলের বিপক্ষে টেস্টে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর নিউজিল্যান্ড, আর এ বছর আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আজ ২৬ আগস্ট সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে ভারতের হারায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল। এর আগে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শুরুতে অবশ্য এগিয়ে যায় বাংলাদেশই। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন আসাদুল মোল্লা। বাঁ প্রান্ত দিয়ে কোনাকুনি শটে ভারতের জালে বল ঢোকাতে চেয়েছিলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। তা অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক প্রিয়াংশ দুবে। কিন্তু ফিরতি শটে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আসাদুল। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে বল ঠেকাতে গিয়ে গগমসার গোয়ারির সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বাংলাদেশ গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের। মাঠে বেশ কিছুক্ষণ সেবা-শুশ্রূষা নেওয়ার পর হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামতে হয় আসিফকে। থিতু হওয়ার আগেই গোল হজম করে বসেন তিনি। ৭৫ মিনিটে নাওবা মেইতেই পাঙ্গামবামের কাটব্যাক থেকে ভারতকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক রিকি মিতেই হাওবাম।
শেষেও অবশ্য নাটক কম ছিল না। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ভারতীয় গোলরক্ষকের পথ আটকানোয় লাল কার্ড দেখেন বাংলাদেশের কামাকাই মারমা। ৯০ মিনিট শেষে ব্যবধান ১-১ থাকলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আসিফও পেয়ে যান শাপমোচনের সুযোগ। প্রথম পেনাল্টিতেই ভারতের থাংলালসুন গাংতের নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি ঠেকিয়ে দেন। পরের তিনটি শট অবশ্য আটকাতে ব্যর্থ হন এই গোলরক্ষক। তবে শেষ পেনাল্টি নিতে আসা আকাশ তিরকের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন তিনি। রুখে দেন ভারতের ফাইনালে যাওয়ার পথও।
বাংলাদেশ অবশ্য একটি শট কম নিয়েছে। তবে চারটি শটের প্রতিটিতেই গোল এনে দেন পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম মইন, শাকিল আহাদ তপু ও আশরাফুল হক আসিফ। ফাইনালে আগামী ২৮ আগস্ট স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।