চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “মায়ের দোয়া মোরগ সেন্টার” নামে একটি মোরগের দোকানে চুরি হয়েছে। চোরেরা দোকান থেকে নগদ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা ও একশত মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শহরের কাউতলী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে দোকানের মালিক বশির মিয়া বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বশির মিয়া কাউতলী গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে।
আসামীরা হলেন, পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মরহুম আসমত আলীর ছেলে আনসর আলী (৬৫), আনসর আলীর ছেলে নুরুল আমিন (৩৬), কাউতলী গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৫০), একই গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে হানিফ মিয়া (৫০) ও সদর উপজেলার দারমা গ্রামের রতন (৩০)। পুলিশ এ ঘটনায় আনসর আলী নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহারে বাদি বশির মিয়া বলেন, তিনি কাউতলী বাজারে “মায়ের দোয়া মোরগ সেন্টার” নামক একটি মুরগীর দোকান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার সময় তিনি দোকান বন্ধ করে খাওয়ার জন্য বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগে চোরেরা দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা ও দোকানে থাকা ১০০ মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে তিনি বাজারে গিয়ে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। পরে পুলিশ পাশের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, মুরগীর আড়তে চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা মামলার প্রধান আসামী আনসর আলীকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্যকে সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায় জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের বিদায় জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা।
বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ মো. সাজিদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল সুলতান, পুলিশ কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ইব্রাহীম, আব্দুর রশিদ, আবু সাদেক, মো. শাহ আলম, মো. সুলতান আহাম্মদ, মো. আবু ইউসুফ, মো. গোলজার হোসেন, বোরহান উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, মো. আজিজুর রহমান ও খোরশেদ মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স সূত্রে জানানো হয়, জন্ম তারিখ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য। তাই গত ৮ জুলাই মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়।
পরে জেলার পুলিশ সুপার তার সরকারি বাংলোতে তাদের সঙ্গে নিয়ে নৈশভোজ করেন। তাদের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে অনাড়ম্বর আয়োজনের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রত্যককে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিতে পুলিশ লাইন্সের ভেতরে কয়েকটি পুলিশ ভ্যান ও মাইক্রোবাস ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। তাদের বিদায় জানাতে উপস্থিত হন পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী পুলিশ সদস্যরা। পরে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সুসজ্জিত গাড়িগুলোতে তাদের বিদায় জানানো হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেউ একবার পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করলে তিনি সারাজীবনই পুলিশ হিসেবে পরিচিত হয়। তার মধ্যে যেন সেই অনুভূতি না হয় তিনি ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের আপন মনে করে তাদের সঙ্গে নৈশভোজ করেছি এবং সুসজ্জিত গাড়িতে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হচ্ছে তিনদিনের অদ্বৈত গ্রন্থমেলা। অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শুরু হয়ে মেলা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে মেলাটি। মেলায় ২০ টি বইয়ের স্টল থাকবে। প্রতিদিন বিকাল থেকে চলবে আলোচনা, কবিতাপাঠ, একক ও দলীয় আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাউল সঙ্গীতের আসর। মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকরা অংশ গ্রহণ করবেন। মেলার শেষদিন অদ্বৈত পুরস্কার-২০২৪ মরণোত্তর হিসাবে প্রদান করা হবে প্রখ্যাত অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে। পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হবে ফুল, উত্তরীয়, সনদপত্র ও নগদ ২৫ হাজার টাকা। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় অমর কথাশল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভূমি শহরের গোকর্ণঘাট এলাকায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলা একাডেমীর চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অদ্বৈত গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি মো.আ.কুদদূস।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অদ্বৈত মেলার পুরস্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, অদ্বৈত মেলার প্রচার কমিটির আহবায়ক মো.মনির হোসেন।
অদ্বৈত মেলার আহবায়ক মো.আ.কুদদূস বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ তিতাসপাড়ের শ্রেষ্ঠতম সন্তান ও আন্তর্জাতিক মানের কথাশিল্পী। আমরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্রান্ড হিসাবে তার স্মরণে তিনদিনের মেলার আয়োজন করেছি। অদ্বৈত গ্রন্থমেলায় এখানকার মানুষের সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নেবে। মেলায় দেশ-বিদেশের কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরো অংশগ্রহণ করবেন। অদ্বৈত স্মরণে তাঁর জন্মভিটায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অদ্বৈত গণগ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, মুক্তমঞ্চ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে রমজান আলী (২৮) নামে এক হাজতি গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯ এপ্রিল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রমজান আলী আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রমজান আলী একটি হত্যা মামলায় তিন বছর ধরে হাজতে আছেন। রাতে লুঙ্গি দিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৬ মে রবিবার বিকালে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূস।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস.আর.এম ওসমান গনির সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আব্দুল মান্নান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান কবিতা আবৃতি ও তার জীবনী আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের উদ্দেশে নিজ হাতে চিঠি লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। দুই পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর আমলে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়। ইতিমধ্যে লিফলেট আকারে ওই চিঠি বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
চিঠির শুরুতেই তিনি সদর ও বিজয়নগর উপজেলাবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কতটা সফল হয়েছেন সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তবে যেহেতু মানুষ, ভুলত্রুটি হতেই পারে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এ আশা রইল।’ করোনাকালীন তিনি ও স্ত্রী অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরামহীন প্রচেষ্টায় সদর ও বিজয়নগরের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা আজ দৃশ্যমান।’ চিঠিতে তিনি দুই উপজেলাতে হওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেন।
চিঠির শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর রহমত আর আপনাদের ভালোবাসা আমার জীবনের পাথেয়। আপনাদের দোয়া চাই, খেদমত করার সুযোগ চাই। ভালো থাকুন সকলে। মঙ্গল হউক আপনাদের।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। খোদা হাফেজ।’