রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে মিগজাউম

জাতীয়, 5 December 2023, 793 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম রাতের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত ঝরানো ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

banner

আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী শশী কান্ত জানিয়েছেন, মিগজাউম অন্ধ্র প্রদেশের স্থলভাগে উঠে আসছে। এটি ধীরে ধীরে শক্তিক্ষয় করবে। মঙ্গলবার রাতের মধ্যই এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়া কবির জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ।

৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকাঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টিবজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সে-সময় সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর সংক্ষুব্ধ থাকায় সকল সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এজন্য সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীজ, সার ও গাছের চারা…

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সরাইল Read more

ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়

আল্লামা মাহ্‌মূদুল হাসান : ইখলাস মানুষের দিলে সৃষ্টি হয়। আর Read more

প্রাথমিক তদন্তেই ভুয়া মামলার আসামিরা রেহাই…

অনলাইন ডেস্ক : উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন Read more

গাজীপুরে শফিক, তারিক, পাপনের ১০ তলা…

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর : গাজীপুর সদরের চান্দনা Read more

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ…

অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার পাথরঘাটায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা Read more

ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরো ৮১ ফিলিস্তিনি…

অনলাইন ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮১জন ফিলিস্তিনি Read more

কৃষি বীজ সংরক্ষণাগার ভেঙে দোকান নির্মাণের…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি Read more

মিথ্যা মামলা করলে কী কী শাস্তি?

অনলাইন ডেস্ক : দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিস্কার

চলারপথে রিপোর্ট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা Read more

আখাউড়ায় অবৈধ চায়না রিং জাল ধ্বংস

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তিতাস নদীতে অভিযান পরিচালনা Read more

রেলপথে মাদক পাচার প্রতিরোধে রেলওয়ে পুলিশের…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদক চোরাচালান, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন Read more

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

আখাউড়ায় আগাম আমন ধান কাটা শুরু বাম্পার ফলনে চওড়া মুখ কৃষকের

আখাউড়া, জাতীয়, 29 November 2024, 603 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আমন ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। মাঠে মাঠে ধানের সোনালি শীষে ভরে উঠেছে কৃষকের ক্ষেত। বাতাসে ঢেউ তুলছে সোনালি ধানের শীষ। এদিকে আগাম ধান কাটা-মাড়াই কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে আগাম আমন ধান কাটা শুরু হলেও আগামী ৮-১০ দিন পর পুরো দমে শুরু হবে ধান কাটা। একাধিক কৃষক জানান, এ মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হলেও তারা হাল ছড়েনি। পুনরায় জমি আবাদ করে ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণির চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন আবাদে প্রায় ৪ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আমন ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়। রোপনকৃত জমিতে ব্রি-৭৫, ৮৫, ৮৭, ৯৩, ৯৫, ৯৬, ৯৭, ১০৩ জিআর ২২সহ নানা জাতের উন্নতফলনশীল ধান আবাদ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌর শহরের তারাগন, দেবগ্রাম, উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ, ধরখার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ক্ষেতে সবুজে সমারোহ হয়ে আছে। ইতিমধ্যে জমিতে ধানের শীষ বের হয়ে পাকতে শুরু করেছে। আবার কোন কোন জমিতে আগাম ধান শুরু হয়েছে। ধানকে ঘিরে স্থানীয় কৃষকরা নানা রকমের স্বপ্ন বুনছেন। সকাল বিকাল তারা যেন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে জমিতে ফলন ভালো করতে নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তারা তদারকি করেন। সেইসাথে তারা রোগ বালাইয়ের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদেরকে ধান জমিতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে পাখি দিয়ে পোকা মাকড় দমনে উৎসাহিত করেন। এ মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ আরও জানায়, আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি ও সরিষা চাষ করতে পারবে কৃষকরা। বাড়তি ফসল করলে এতে তারা লাভবান হবেন। কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এ মৌসুমে তিনি ৫ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ দিয়ে আমন ধান রোপন করা হয়। সব জমিতে ধানের শীষ এসেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। এরমধ্যে আগাম জাতের ১ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। এতে বিঘায় ২০ মন ধানের ফলন পেয়েছি। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে বাকি জমির ধান কাটা হবে। বাজারে যদি ধানের দর ভালো থাকে তাহলে বিক্রিতে লাভবান হবো। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেন, আমন ধান আবাদে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় কৃষষদেরকে পাঁচ কেজি করে উফসী ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। আমন ফলন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। উপজেলার সর্বত্রই আমনের ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

banner

ভৈরব নদে ৭০০ টন কয়লাবোঝাই জাহাজডুবি

জাতীয়, 16 January 2024, 737 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে কয়লাভর্তি একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নদের ভাটপাড়া খেয়াঘাটে এমভি পূর্বাঞ্চল-৭ নামের জাহাজটির তলা ফেটে পানি প্রবেশ করে। জাহাজে ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা ছিল।

banner

জাহাজটির মাস্টার মো. এনায়েত জানান, ৬ জানুয়ারি মংলা থেকে ৭০০ টন কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। পরদিন সন্ধ্যায় জাহাজটি নওয়াপাড়া বন্দরে পৌঁছালেও সিরিয়াল পায়নি। ফলে সেটি সরিয়ে ভাটপাড়া খেয়াঘাটের অদূরে নোঙ্গর করে রাখা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টারদিকে জাহাজটি ডুবতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা কয়লা খালাসের চেষ্টা চালিয়েছি।

নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ জানান, লাইটার জাহাজটিতে জেএইচএম গ্রুপের আমদানিকৃত কয়লা ছিল। ঘাটে সিরিয়াল না পাওয়ায় সেটি নদের ভেতর নোঙ্গর করে রাখা হয়েছিল। আমরা দুপুরে সেটি ডুবতে শুরু করার খবর পাই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জাহাজের কয়লা আনলোড করে জাহাজটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। স্বাভাবিক আছে নৌ চলাচল। তবে কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।

জেএইচএম’র নওয়াপাড়া অফিসের কর্মকর্তা জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরির প্রক্রিয়া চলছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের কয়লা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম বলেন, ভৈরব নদের ভাটপাড়া খেয়াঘাটে একটি জাহাজটির তলা ফেটে পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিদলের আগরতলায় গমন

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 1 September 2023, 1767 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রতিনিধি দল।

banner

আজ ১ সেপ্টম্বর শুক্রবার দুপুরে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলায় গমন করেন। আগরতলা প্রেসক্লাবের আমন্ত্রনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আগরতলায় যান। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব ও আগরতলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের নেতৃত্বে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ স্থলবন্দরে পৌছলে জিরো পয়েন্টে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত দে। এ সময় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল-আমিন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সাংবাদিক প্রতিনিধিদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আগরতলার সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিবো। আগরতলায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এলাকা ঘুরে দেখবো। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথেও আলোচনা করবো।

আগামী চার সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সাংবাদিকগন দেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

রিমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 28 May 2024, 615 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দুর্গতদের পাশে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের গতানুগতিক অবস্থার বাইরে এসে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

banner

আজ ২৮ মে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম (অব.) এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনাসচিব সত্যজিত কর্মকার, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান।

পরিকল্পনাসচিব জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রত্যেক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ব্যবস্থাপনা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা ছাড়া ল্যান্ডফোনকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। কেননা রিমালে ল্যান্ডফোনের গুরুত্ব সামনে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার যথাযথ হিসাব বের করতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এসেছে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া দ্রুত দুর্গত এলাকায় খাবার পানির ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

একনেক সভায় রোহিঙ্গাদের উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে সাত হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের

জাতীয়, 10 July 2023, 1068 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলী জমি-গাছপালা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ভাঙনকবলিতরা।

banner

তাদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবো যেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তেমনি ভাঙনের শিকার মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত যমুনা নদীর পানি পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী বিস্তৃর্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর ইউনিয়ন, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম, চৌহালীর খাসপুকুরিয়া ইউপির ভুতের মোড়, বাঘুটিয়া, ওমারপুর, বেলকুচি এবং কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কে নদীর তীরবর্তী মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছে।
আর গত দেড়মাসে এসব অঞ্চলের প্রায় ৩ সহস্রাধিক বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে।

শাহজাদপুরের পাঁচিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, শরিফুল ইসলাম ও শুকুর ফকির জানান, দুদিন আগেও বসতভিটা ছিল। হঠাৎ প্রবল ঘুর্নাবর্তের কারণে বসতভিটাসহ আসবাবপত্র সব কিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোনরকম ছেলে-মেয়ে নিয়ে রক্ষা পেয়েছি। বর্তমানে যাবার কোনো জায়গা না থাকায় খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বসতঘর তোলার জায়গা না থাকায় ঘরগুলো ওয়াপদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রেখেছে। ঝড় বৃষ্টি ও রোদে পুড়ে খেয়ে না খেয়ে আমাদের জীবন পার করছি। এতো কস্টে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি।

চৌহালীর বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এক ইঞ্চি জায়গাও নেই। এখন একেবারে নিঃস্ব অবস্থায় পড়ে গেছি। ভবিষ্যতে কিভাবে চলবে সে চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। সরকার বা জনপ্রতি ও প্রশাসন কেউ আমাদের একটু সহযোগিতা করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার নদী তীর রক্ষায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ও চৌহালী রক্ষায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও পাউবো ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় তাদের গাফিলতির কারণে নদী ভাঙছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, যমুনা পানি বাড়ায় ভাঙ্গনও বাড়ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতো বড় এরিয়ায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সামর্থ্য পাউবোর নেই। এরপরেও যেখানে বেশি ভাঙছে সেখানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।