চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া প্রকাশ সুজনকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে মারধরের এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর সুজন নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটিতে না রাখায় সভাপতির ওপর তিনি হামলা করেছেন।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, নাশকতার মামলার আসামি হিসেবে বুধবার বিকেলে কাউন্সিলর সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া সাব্বির নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ উঠেনি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৭০) সড়ক বাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর সুজনের এক ছোট ভাইসহ কয়েকজন এসে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে গালমন্দ করেন ও টেনে সড়কে নিয়ে আসেন। এরপর কাউন্সিল সুজনসহ অন্যরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। ঘটনার পর মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাসায় চলে যান। কিছুদিন আগে স্থানীয় একটি বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ আলীর বাসায় যান কাউন্সিলর সুজন। এ সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কাউন্সিলরের বিতণ্ডা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী নিজেকে অসুস্থ দাবি করে মুখ খুলতে না চাইলেও তার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, কাউন্সিলরসহ ৪-৫ জন লোকজন বাড়ির ফটকে আঘাত করতে থাকেন।
ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে তার পিঠে ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।
গ্রেফতারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া চেকপোষ্ট সীমান্তের শূণ্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিজিবি আখাউড়া আইসিপি এবং ভারতের ত্রিপুরার ৪২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ আগরতলা আইসিপির মধ্যে যৌথ রিট্রিট সিরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়েনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়েনের উপ-অধিনায়ক মেজর এ এম জাবের বিন জব্বার, পুলিশ সুপার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারসহ বিজিবি ও বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিদের আগমনের পর বন্ধুত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ প্যারেড কন্টিজেন্ট দল চমকমপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন। বিউগলের সুরের সাথে দুই দেশের জাতীয় পতাকা নমিত করা হয়। এসময় সীমান্তের দুই অংশে শত শত দর্শনার্থী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্যারেড উপভোগ করেন এবং করতালির মাধ্যমে তাদেরকে অভিনন্দন জানান।
প্যারেড শেষে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ এবং বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী পরস্পরকে বিজিবি দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল ও মিষ্টি উপহার দে।
বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমানডেন্ট কে এস ন্যাগী বিজিবি দিবসে শুভেচ্ছা জানান।
বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ শরিফুল ইসলাম মেরাজ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক উন্নয়নের একটি মাধ্যম।
তিনি বলেন, এই এলাকায় বর্তমানে সীমান্ত হত্যা প্রায় শূণ্যের কোটায়। গত এক বছরে একটি সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটে। এটা আমাদের দ্ইু বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক তারই বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিএসএফ’র আপত্তিতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার বলেন, এটা অচিরেই শুরু হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। অচিরেই এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শ্বাসরোধ করে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি হলো উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের পুত্র মোরছালিন ভূঁইয়া (২৬)।
গতকাল রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র আব্দুল্লার তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাত ও তার সহযোগিরা মোরছালিনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূইয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। মামলায় শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র আব্দুল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ৯টার দিকে পাশবর্তী শিবনগরের সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। রোববার দুপুরে শিবনগরের আব্দুল্লাহর ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই রায়হান ভূইয়া বলেন, শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দুপুরে ভাই আমাকে বলে পাওনা টাকার বিষয়টি আব্দুল্লাহর পরিবারকে জানাবে কাগজে হিসাবটি লিখে দিতে বলে। আমি হিসাব লিখে দিই। মোরছালিন পোল্টি মুরগির ব্যবসা করতো বলে রায়হান জানায়।
নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আমার দোকানের সামনে থেকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। সে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙ্গে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারনা করছি।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, মাদকসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান (স্বপন) এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ২১ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ-পিরিচ প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। তিনি কসবা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (আনারস প্রতীক) মোঃ মুরাদ হোসেন ভ‚ইয়া পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
বিজয়ী চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) আখাউড়া উপজেলা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মোঃ মুরাদ হোসেন ভূইয়া (আনারস প্রতীক) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান।
ভোট গননা শেষে জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
দীর্ঘ ৮ বছর পর আখাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২০ মে শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে বিরতিহীনভাবে। উপজেলা কমান্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ২৩০ জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ডের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অংগ্যজাই মারমা গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তফসিল ঘোষণা করেন। তথ্য অনুযায়ী আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল বিকাল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। মনোনয়নপত্র দাখিল ১০ এপ্রিল বুধবার, মনোনায়নপত্র বাচাই ১১ এপ্রিল। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল। চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ এপ্রিল। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৭ ১৮ এপ্রিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জামসেদ শাহ বলেন, সবাই চায় একটা নির্বাচিত কমিটি হউক। কমিটি হলে ভালো হয়। দীর্ঘ দিন পর নির্বাচন হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা খুশি। গত নির্বাচনে ১১টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মর্টারশেল বিষ্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর দেড়টার সময় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের হেলিপ্যাডে মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটায়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের একটি জমি থেকে ড্রেজারে মাটি কাটার সময় প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের এই মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দুপুরে মেজর ফৌজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল শেলটির বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মর্টার শেলটি এখানে পড়েছিল। যা অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যায়।