চলারপথে রিপোর্ট :
৬ ডিসেম্বর আখাউড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে পাকিন্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আখাউড়া মুক্ত হয়।
এদিকে আখাউড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ড এর উদ্যোগে আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় আখাউড়ায় কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি র্যালি বের হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আখাউড়া উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে এসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামশেদ শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডার সাখাওয়াত হোসেন খান স্বাধীন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আকাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্প যা বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় দুইপাড়ের বাসিন্দারা উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন সীমান্তের দিকে। শনিবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক বা ট্রায়াল ট্রেন চালাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রায়াল রানের ট্রেনটি এখন পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অপেক্ষা করছে।
শনিবার দুপুরে নতুন এ রেলপথ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনের নিশ্চিতপুর স্টেশনে যাবে একটি মালবাহী কন্টেইনার ট্রায়াল ট্রেন।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া সম্প্রতি রেলপথ প্রকল্প পরিদর্শনে আসলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্ট মো. নুরুন্নবী জানান, ঢাকার তেজগাঁও স্টেশন থেকে ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি ১১টি কোচ নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছলে ট্রায়াল রান ট্রেনের কোচগুলোতে হলুদ ও বডিতে কালো রংয়ের কাজ করানো হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষামূলক বা ট্রায়াল রানের ট্রেনটি এখন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মের ৮ নম্বর লাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ট্রায়াল রানের ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধনের দিনক্ষণকে সামনে রেখে রেলপথ মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে গেছেন। শনিবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. ইয়াছিন। প্রতিনিধি দলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মাসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে এ পথে একাধিকবার পরীক্ষামূলক গ্যাঙ্কার বা পরিদর্শন কার চলাচলও করেছে। প্রকল্পের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্যাঙ্কার বা পরিদর্শন কারে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছেন।
জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া-আগরতলা সড়কপথের পর এবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগে উন্মোচিত হবে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দ্বার। রেলপথটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দেড় বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, দুই দেশের এ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। পুরো অংশেই বসানো হয়েছে রেললাইন। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে ওই প্রকল্প পরিচালকের দাবি। তবে এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবন এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাজ।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আসার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো আমদানীর সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। আজ ৬ মে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থাপিত ব্যাগেজ স্ক্যানারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভারত থেকে যে পণ্যগুলো আমদানির সুযোগ আছে সেগুলোর তালিকা দিলে আমরা আমদানির অনুমতি দেব। তবে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিতে গেলে- বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেসব সুবিধা প্রয়োজন, সেগুলো এখানে নেই। সেজন্য আমরা একসাথে সব পণ্যের জন্য বন্দর খুলে দিতে পারি না।
তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অবৈধ সুবিধা দেওয়া হবে না। এতে যদি বাণিজ্য কমে যায় তাহলে কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতকে নিজ দেশে পণ্য পরিবহনের সুযোগ দেয়ায় বন্দর ও কাস্টমস রাজস্ব পাবে। পরিবহন খাতেও কিছু কর্মসংস্থান হবে। সড়ক ব্যবহারের জন্যও মাশুল পাব আমরা। সর্বোপরি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।
পরে তিনি বন্দর সভাকক্ষে কাস্টমস, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি পরিচালনায় নানা সমস্যাসহ বন্দরসংশ্লিষ্ট বাধাগুলো তার কাছে তুলে ধরেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান এসব সমাধানে দ্রæত পদক্ষেপ নেবেন বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন।
পরে ব্যবসায়ীরা জানান, ৬টি পণ্য আমদানীর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান এগুলোর অনুমতি দেওয়ার ব্যপারে ব্যবসায়ীদেরকে আশ^স্ত করেছেন।
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া ইসলামী বক্তা (সুন্নী বক্তা) মাওলানা শরীফুল ইসলাম ভূইয়া নূরীর (৩৮) উপর নৃশংস হামলার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর-সিলেট ক্যাম্পের সদস্যরা।
আজ ৮ মার্চ বুধবার দুপুর দুইটার দিকে র্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সরকারপাড়ার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে র্যাবের একাধিক অভিযানিক দল চারজনকে গ্রেফতার করে। এর আগে আখাউড়া থানা পুলিশও একজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে জাক্কু (৪৮), একই গ্রামের মাহবুবুল আলম ওরফে শিমুল (৩৩), একই উপজেলার চাওড়া গ্রামের মোঃ সুমন মিয়া (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে চাওড়া দৌলতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিরুল ইসলাম (২০)।
এর আগে পুলিশ গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাহিনুর ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আহত ইসলামী বক্তা শরীফুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের কাজী আবদুর রফিক ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের প্রভাষক।
বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে ওয়াজ মাহফিলে বক্তা হিসেবে তিনি ওয়াজ করতেন। গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বিজয়নগর উপজেলায় ওয়াজ মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উপজেলার রামধননগর রেলক্রসিং এলাকায় পৌছলে দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা করে। আসামীরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে তার জিহবা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়।
তারা তার সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাথাড়ী মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোচিত হয়। ঘটনার পরদিন রাতে মাওলানা শরীফের চাচা মোঃ আবদুল বাছির ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ০২ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আজ বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্ততির সহায়তায় ইসলামী বক্তাকে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব। র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মামলার এজাহারনামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, মাহফিলে এই ইসলামী বক্তার বক্তব্যের কিছু অংশ আসামীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। সেই কারণেই তারা তার উপর হামলা চালায়। এতে ইসলামী বক্তার জিহবা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্তসহ আঘাত পান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধর্মীয় কোন সংগঠনের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় থানা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘বাংলাদেশের অগ্রগতিতে দুর্নীতি প্রধান অন্তরায়’ এ বিষয়কে সামনে রেখে আখাউড়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জুন বুধবার দুপুরে পৌরশহরের নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদালয়ের কক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণী ও ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর দুটি দল বিতর্কে অংশ গ্রহণ করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে আখাউড়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।
আখাউড়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস.এম. শাহজাদা খাদেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ কফিল উদ্দিন মাহমুদ, জাহানারা হক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহ. শাহজাহান মিয়া, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, শিক্ষিকা কাজী সাফিয়া খাতুন, শিখা বনিক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আওয়াল প্রমুখ।
বিষয়ের পক্ষে বক্তব্য প্রধানকারী ১০ শ্রেণীর দল বিতর্কে জয়লাভ করে। পরে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট ও বই তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সুধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আবু ইউসুফ নূরুল্লাহ, প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ তারেক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার সুপার কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা, আখাউড়া পৌরশহরের যানজট নিরসন, ফুটপাত হকার দখল মুক্ত, দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, মাদক পাচার রোধ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নত করণে জেলা প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান আখাউড়াকে জনবান্ধব করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়র ও ইউএনওকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে হবে। নীতি নৈতিকায় সবাইকে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্থ বিনোদনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোন টেটা বল্লম থাকবে না। কেউ টেটা বল্লম তৈরি করতে পারবে না। ভোক্তাদেরকে গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানান। প্রশাসনকে বেশি বেশি বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি। সবার সামনে পজেটিভ ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তুলে ধরতে হবে। এজন্য তিনি জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। আলোচনা শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানকে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট দেওয়া হয়। পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২টি বনজ ও ঔষধী গাছ রোপন করেন।