চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নাসিরনগর উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করেন। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিবাহিনীরা।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলায় তাদের বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীর সহযোগিতায় গ্রামবাসীর উপর চালায় নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতন। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহুলোক নিহত ও আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করে ৭ ডিসেম্বর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নাসিরনগরকে পাক-হানাদার মুক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জমি থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, শান্তাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে। ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের ফসলি জমি থেকে গৃহবধূ শান্তা আক্তারের (২৩) মরহেদ উদ্ধার করা হয়।
শান্তা পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মিনহাজ মিয়ার স্ত্রী ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতমণ্ডল গ্রামের শিরু মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী মিনহাজের দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে শান্তার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন মিনহাজ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় বছর আগে মিনহাজ ও শান্তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মিনহাজ যৌতুকের জন্য শান্তাকে মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলাও করেন শান্তা। সম্প্রতি আদালত শান্তার পক্ষে রায় দেন এবং ৭ লাখ টাকা জরিমানাও করেন মিনহাজকে। এ নিয়ে মিনহাজ ক্ষুব্ধ ছিলেন।
আরো জানা গেছে, গত বুধবার শান্তার চাচি মারা যান। এ সময় তাদের বাড়িতে আসেন মিনহাজ। তিনি শান্তাকে আদালতের মামলা তুলে নিতে বলেন এবং তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন মিনহাজ ও শান্তা। পর দিনই শান্তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শান্তার মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমার মাইয়াডারে যৌতুকের টাকার লাইগ্যা মাইরালাইছে। আমরা না করছিলাম হের জামাইরে (স্বামী) যেন বিশ্বাস না করে। আমি আমার মাইয়্যার (মেয়ে) খুনের বিচার চাই।’
নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তার বুকের ওপর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের প্রয়োজনে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে দাঙ্গা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পেইন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাঙ্গামুক্ত থাকবো, সোনার দেশ গড়। দাঙ্গা করছে দেশের ক্ষতি, নিন্দা জানাই তাদের প্রতি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করছে যারা, ভাল মানুষ হয়না তারা। আর করবো না মারামারি, দাঙ্গামুক্ত সমাজ গড়ি, স্কাউটদের এমন শ্লোগানে সকালে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পর্যায়ের সহস্রাধিক স্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহনে বণার্ঢ্য একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি নাসিরনগর উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে “দাঙ্গা প্রতিরোধ বিষয়ক ক্যাম্পেইন” অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্কাউট সম্পাদক অরবিন্দু গোপের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূইয়া, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষকসহ স্কাউট শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসিম কুমার পালের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগনের জন্য কাজ করে। আশা করি আগামীতেও দেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বক্তব্যে তিনি টানা চতুর্থ বারের মত বিজয়ী হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও তিনি বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান সুখনকে অভিনন্দন জানিয়ে তার পাশে থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ জিতু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী, ভলাকুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চন্দ্র দাস প্রমুখ। এছাড়াও সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে জয়ী হয়েছেন কলার ছড়া প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯১ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ৫৪ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি।
একরামুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরআগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৪৭ জন। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১১৭টি ওয়ার্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের উন্নয়ন” শীর্ষক উঠান বৈঠক সমাপ্ত হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে উপজেলা ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এই উঠান বৈঠক শেষ হয়।
ফালান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ নিজাম খাঁ, জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জি.এম আরমান নুর।