চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত (আনুমানিক ৪০) এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নবীনগর উপজেলার পৌরশহরের মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস জানান, মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবায় এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, মরদেহটি কয়েকদিন পানিতে থাকার কারণে সারা শরীরে পচন ধরেছে। মরদেহ সনাক্তের জন্য চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পুর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতবর্ষী উদযাপন কমিটির আয়োজনে এ উপলক্ষে দিনব্যাপী ২২ জুন শনিবার বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহন, এএসপি বিল্লাহ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কৃষিবিদ মোঃ সাজিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ভিপি আব্দুল রহমান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, জসিম উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান, জাকারুল হক চেয়ারম্যান, মেহেদী জাফর দস্তগীর, চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান শাহিন সরকার, প্রফেসর আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
শত বছর উৎসব অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনায় করেন সালাউদ্দিন বাবু আব্দুল মাজেদ।
এ সময় বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
প্রধান অতিথি ফয়জুর রহমান বাদল এম.পি বলেন, সাংস্কৃতিক রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার আলো বিস্তারে শতবছরের পুরনো এ ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
পরে এক মনোগ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এসে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামবাসীর উদ্যোগে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে কুড়িঘর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঠি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। লাঠি খেলাটি দেখার জন্য নাটঘর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হন। ঢাক, ঢোল আর সানাইয়ের শব্দে চারপাশ আলোড়িত হয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে নানান অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জনজীবনের নানা দিক প্রদর্শন করে লাঠিয়ালরা। তারপরই শুরু হয় লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ার অসাধারণ দৃশ্য দেখেন উপস্থিত দর্শকরা। দর্শকদের করতালি আর হৈ-হুল্লোড়ে আরো জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠে লাঠি খেলার আসর।
এই লাঠিখেলায় কুড়িঘর গ্রামের একটি লাঠিয়াল বাহিনী দল অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত লাঠি খেলায় কুড়িঘর মাঠ কমিটির সভাপতি মো: নান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও মো: জাকির সরদার এর সঞ্চালণায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমেরিকা প্রবাসী মাহি এম কাউছার।
উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ডা: মহি উদ্দিন মহিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো: মেহেদী হাসান, নবীনগর থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম অলিউল্লাহ, কামাল মেম্বার প্রমুখ। কুড়িঘর লাঠি খেলার সরদার আব্দুল আহাদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। আগে গ্রামের সাধারণ মানুষ বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, চড়ক পূজা, সুন্নতে খাৎনা ইত্যাদি উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করতেন। এখন আর সেই ভাবে আয়োজন করা হয় না।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়ার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না নতুন কোন খেলোয়ার। আর পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা পূর্বের মত লাঠি খেলা দেখাতে পারছে না। তারপরও তারা এই বয়সে ধারুণ খেলা দেখিয়েছেন। এই খেলার মাধ্যমে যুবসমাজ বিনোদন পেয়ে মাদক ছেড়ে এই বিনোদনে আগ্রহী হবে। তাই ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা ধরে রাখতে বিনোদনের খোরাক জোগানোর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামলা কপিটি ভাইরাল হয়।
উপজেলা মহিলা লীগের নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৫(৩)/২৬(৩)/২৯(২)/৩১/৩৫ ধারায় মামলা করেন। মামলায় আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীর আইনজীবী স্বরুপ কান্তি নাথ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই গ্রামে নসু মিয়ার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল এর বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে বিভিন্ন সময় নারী কাউন্সিলর বাদী পুতুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, কুৎসিত, অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য তুলে ধরতেন ও প্রচার করতেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল বলেন, ‘আমি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। আসন্ন পৌর নির্বাচনে আমি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছি। তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হেয় করতে মিথ্যা ,কুৎসিত, অশ্লীল ও মানহানিকর বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তার আইন মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।’
মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর :
নবীনগর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। এই নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন দৈনিক স্বাধীন সংবাদ এর নবীনগর প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক মলয়ার প্রকাশক, মোহাম্মদ হোসেন (শান্তি) ও সাবেক সভাপতি, বিজয় টিভির প্রতিনিধি,সাংবাদিক জালাল উদ্দীন মনির।
সভাপতি পদে জালাল উদ্দীন মনির ১২ ভোট পেয়েছেন, মোহাম্মদ হোসেন শান্তি ১৮ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রভাষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও যুগান্তর প্রতিনিধি সাংবাদিক মোস্তাক আহমেদ উজ্জল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। দেলোয়ার হোসেন ১১ ভোট পেয়েছেন। মোস্তাক আহমেদ উজ্জ্বল ২১ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে লড়েছেন প্রেসক্লাবের বর্তমান সহ-সভাপতি জ.ই বুলবুল। তার অপর প্রার্থী একই গ্রামের, একই পদে লড়বেন ঢাকা প্রতিদিন এর প্রতিনিধি মো. মনির হোসেন। মনির হোসেন পেয়েছেন ১১ভোট, বুলবুল ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাংবাদিক মিঠু সূত্রধর পলাশ ও শিক্ষক কামরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, মিঠু ১৩ ভোট পেয়েছেন, কামরুল ইসলাম ১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাহী সদস্য পদে বর্তমান সভাপতি সকলের শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল ২৬ ভোট ও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো: সাইদুল আলম সোহরাব ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিক নূরে আলম ৩ ভোট ও আমজাদ হোসেন ৫ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে পাঁচজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম,অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু, দপ্তর ও আপ্যায়ন সম্পাদক সেলিম রেজা, ক্রীড়া সাহিত্য সাংস্কৃতিক ওপাঠাগার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাদল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এস এ রুবেল। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম,নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী, এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।