ডেস্ক রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা প্রার্থীদের আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আপিল করে ছয় দিনে ২৭৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার শেষ দিনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২০ জন।
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। নামঞ্জুর হয়েছে ৬২ প্রার্থীর আপিল আবেদন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) পঞ্চম দিনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন ৪৪ জন, ৫২টি আবেদন নামঞ্জুর হয়েছিল। চারটি আবেদন শুনানি পেন্ডিং রাখা হয়েছিল।
একটি আপিল আবেদনের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনে ৯৯ জনের আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন ৪৫ জন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছিল ৫২ জনের। দুটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনে ৬১ জন, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন এবং রবিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান। এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ছয় দিনে মোট ২৭৭ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। গত ছয় দিনে আপিল আবেদনগুলোর শুনানি সম্পন্ন করল ইসি। তবে ইসির রায়ে অসন্তুষ্ট হলে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন ভুক্তভোগীরা।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
অনলাইন ডেস্ক :
বন্যার্তদের সহায়তায় জন্য বিএনপি নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ ১০ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির ত্রাণ তহবিলে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। গত ৫ দিনে নগদ আড়াই কোটি টাকাসহ প্রায় ১০ কোটির ত্রাণ সংগ্রহ করে সরবরাহ করা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায়।
তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকায় রোগবালাই বেড়ে যাবে। সেজন্য আমাদের চিকিৎসকগণ এবং বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো ওইসব এলাকায় ওষুধ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিএনপিএর স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় উপদ্রুত মানুষদের সাহায্যার্থে শুকনো খাবার, শিশুদের কাপড়, মানুষের ব্যবহৃত কাপড়, মোমবাতি, দিয়াশালাই, বিশুদ্ধ পানি দেশের সর্বস্তরের জনগণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। রিকশাচালক, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ বিএনপির ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দিচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনের আগে যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনায় যারা হুকুম দিয়েছে, খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবার হাতে মোবাইল ফোন, সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। যারা এই কাজগুলো (জ্বালাও-পোড়াও) করছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদেরও আমরা গ্রেফতার করছি। আর যেন কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে না পারে, এটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ, আমরা যে কাজগুলো করে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি, এটাকে আমাদের টেকসই করতে হবে। এটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আপনারা জানেন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না, কাজেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, শক্ত একটি ঘাঁটি আছে বলেই যেকোনো ষড়যন্ত্র আমি মোকাবিলা করতে পারি। আপনারা আমার শক্তি। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়ার মানুষই আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, এখন যেগুলো বাকি আছে আমরা সেগুলো করব। গ্রামের মানুষ শহরের সব নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর, সেভাবে প্রত্যেকটা গ্রাম গড়ে তুলব। যাতে কোনো মানুষের কষ্ট না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশের মানুষের খাবারের যাতে অভাব না হয়, সেই ব্যবস্থা আমাদের নিজেদের করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের মানুষ কাজ করলে এ দেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না। যারা কখনো এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে দিতে চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, তারা বাংলাদেশের কখনো উন্নতি চায় না। সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।
নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃংখলা বাহিনী ছিলো তৎপর। বিভিন্ন অভিযোগে ১০৭ মামলায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯ শত টাকা জরিমানা ও ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে বাস্তবতা বিবর্জিত আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারে নাই। এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর লাগবে।
কারো আয় করমুক্ত সীমার নিচে রয়েছে, অথচ সরকারি সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিল বা টিআইএনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এমন সেবাগ্রহীতাদের ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর দিতে হবে। বাজারে গেলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এদেরকে (সরকার) বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আজ ২ জুন শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার কার্টুন দেখিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন ভিক্ষুক, তার দুই পা কাটা, তিনি একটা থালা নিয়ে ভিক্ষা করছেন, আর বুকের মধ্যে একটা বোর্ডে লাগিয়েছেন তার টিন নম্বর। অর্থাৎ যারা আয়কর বহির্ভূত তাদেরও দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। তাদের টিন নম্বর দিতে হবে। এখন ভিক্ষা করতে হলেও টিন নম্বর লাগবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এইভাবে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পকেট কেটে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতিতে এটা একটা বাস্তবতা বিবর্জিত বাজেট। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।
বাজেটকে গোঁজামিলের বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী (অর্থমন্ত্রী) বলছেন চমৎকার বাজেট। সরকার বলছে সুন্দর বাজেট। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলছে, এই বাজেট মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারে নাই।
অর্থনৈতিক সংকটে যে বাজেট হওয়া দরকার ছিল সেই বাজেট দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, কীভাবে টাকা আসবে, কোথা থেকে আসবে তার সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বাজেটে। এটা ওদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এরা সব সময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে টিকে থাকতে চায়। আজও তারা এই কাজ করেছে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দেন। নইলে জনগণ কীভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা ভালোভাবে জানে।
চলারপথে ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা ও তার প্রতি বিশ্বনেতাদের আস্থা বিএনপি নেতারা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ১৯ মে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই বিশ্বব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদেরকে সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। যাদের বুদ্ধি, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সাথে বোধশক্তি আছে তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন ও শ্রবণশক্তিহীন এবং তার সাথে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেলেন সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
‘সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’- বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সাথে কো-স্পন্সর হয়েছে একাত্তরটি দেশ। এরপরও কি কারও বলা উচিত- জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কেমন? এটি বলার কোনো প্রয়োজন নেই।’
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কিছু নয়।’
এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ব অঙ্গনে যাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, বিশ্ব অঙ্গনে সে যাতে তার যোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা নিকেতন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শেখাতে হবে কীভাবে জীবন গড়তে হবে, কীভাবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হবে, কীভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কীভাবে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে, তাহলেই সেটি বিশ্ববিদ্যালয়। না হয় সেটির নাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া শ্রেয় নয়। আমি জানি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটি করা হয়। সেটিকে যদি আরো বিস্তৃত করা হয় তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হবে তাদেরকে সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।’
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।