অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বে কয়েকবছর ধরে সিরিজ ভূূমিকম্প হচ্ছে। দেশে দেশে এসব ভূমিকম্পের কারণ ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি এই সিরিজ ভূমিকম্প বিশ্বে ভয়াবহ কোনো বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বাংলাদেশেও বার বার ভূমিকম্প হচ্ছে।
এবার চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ১১১ জন মারা গেছেন এবং আরো ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার মাঝরাতের দিকে গানসু প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে এ মাত্রা ছিল ৬.২।
ইউএসজিএসের তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটি লিনক্সিয়া চেংগুয়ানজেনের প্রায় ২৩ মাইল পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে মাটির ৬ মাইলের কিছুটা গভীরে আঘাত হানে। প্রাদেশিক রাজধানী ল্যানঝো ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে। বিবিসির প্র্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
কিছু ভিডিও ফুটেজে উদ্ধারকারীদের ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অভিযান চালাতে দেখা গেছে। ওই এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন।
অনলাইন ডেস্ক :
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের শপথ নিয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আজ ৩ জুন শনিবার শপথগ্রহণের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে তৃতীয় দশকে নিয়ে গেছেন তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট।
আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনে শপথ নেওয়ার সময় এরদোয়ান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মহান তুর্কি জাতি ও তুরস্কের ইতিহাস-অখণ্ডতার প্রতি আমার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
গত ১৪ মে তুরস্কে নির্বাচনে ৪৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পান এরদোয়ান। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। কোনও প্রার্থী ৫১ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রান-অফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি।
রাফ-অফ নির্বাচনে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তুরস্কে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান। ৯ বছর প্রেসিডেন্ট আর ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা এরদোয়ানের নেতৃত্বে ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হাঁটা তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এরদোয়ানের পেশীবহুল পররাষ্ট্র নীতি আর অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনার ফলে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।
এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ভোটে এরদোয়ানের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল তিন মাস আগে দেশটিতে আঘাত হানা স্মরণকালের ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে দেশ ও বিদেশি তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারকে।
পার্লামেন্টে শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর আরবান ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানসহ ৭৮টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।
শনিবারই তুরস্কের নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে এরদোয়ানের। তুরস্কের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টায় তার অপ্রচলিত নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বড় ধরনের খনিজ চুক্তি করতে আগামী শুক্রবার ওয়াশিটন যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইউক্রেন এবং আমেরিকা একটি খনিজ সম্পদের চুক্তি করতে রাজি হয়েছে। এই চুক্তি হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক সহজ হতে পারে।
কিয়েভের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তিতে বলা হতে পারে, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ব্যবস্থাপনা আমেরিকা ও ইউক্রেন মিলে করবে এবং সেখান থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা একটি নতুন তহবিলে যাবে, দুই দেশ সেই অর্থ ভাগ করে নেবে।
এর আগে জেলেনস্কি খনিজ সম্পদ নিয়ে ট্রাম্পের দাবি খারিজ করেছিলেন। ট্রাম্প এর আগে ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খনিজ সম্পদ আর আমেরিকার সামরিক সাহায্য বাবদ ছয় হাজার কোটি ডলার দাবি করেছিলেন। খসড়া চুক্তিতে অবশ্য সেই দাবির কথা নেই।
তবে ট্রাম্প বলেছেন, এটা ট্রিলিয়ন ডলারের চুক্তি হতে পারে। এই চুক্তিতে কোনো নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেয়া হয়নি। ইউক্রেন অবশ্য এই গ্যারান্টি দাবি করেছিল। চুক্তিতে শুধু নিরাপত্তার উল্লেখ আছে। কিন্তু আমেরিকার ভূমিকা কী হবে, তা বলা হয়নি। দুই প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি প্রয়োজন। কিছু ইউরোপীয় দেশ সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পঠাতে চায়। গত সোমবার ট্রাম্প বলেছিলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে মস্কোর কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মঙ্গলবার ক্রেমলিন থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আপত্তি আছে।
ট্রাম্পের আমলে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক রীতিমতো টালমাটাল হয়েছে। ইউক্রেনের আশা, খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি হলে সম্পর্কের উন্নতি হবে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন,জেলেনস্কি একজন স্বৈরাচারী শাসক, যিনি নির্বাচন না করে ক্ষমতায় আছেন। তিনি ইউক্রেনের মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন। ট্রাম্পের পরামর্শ ছিল, জেলেনস্কি যেন দ্রুত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধ বন্ধের ব্যবস্থা করেন।
জেলেনস্কি আগে বলেছিলেন, ট্রাম্প রাশিয়ার অপপ্রচারের শিকার। কিয়েভে ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তিতে সই করলে মার্কিন সামরিক সাহায্য বহাল থাকবে। এ সাহায্য খুবই জরুরি বলে তিনি জানিয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স।
অনলাইন ডেস্ক :
দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস অঙ্গরাজ্য। প্রথমে ২০ একর এলাকায় দাবানল দেখা দিলেও পরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ১২০০ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণহানি এড়াতে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দাবানলের উৎপত্তি। ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাসের পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে মুহূর্তেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দাবানল ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ জিম ম্যাকডোনেল বলেছেন, রাতে আগুন আরোভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ অবস্থায় রেসকিউ টিমকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে নিয়ে ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চালুর দু’দিনে মধ্যে আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অফিসিয়াল মিম কয়েন। শতকরা ৪০ হাজার শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এর দাম। গত শুক্রবার ক্রিপ্টো কারেন্সির বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে $ট্রাম্প নামের মিম কয়েনটি।
ক্রিপ্টো মুদ্রা বাজার পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লঞ্চ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের ‘মূল্য’ তৈরি করেছে $ট্রাম্প, যা একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কতা এবং সমালোচকদের নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
যখন ট্রাম্পের মিম কয়েনটি লঞ্চ হয়, সে সময় এক একটি কয়েনের মূল্যমান ছিল মার্কিন মুদ্রায় ১৮ সেন্ট (পয়সা)। কিন্তু হটকেকের মতো বিক্রি হতে থাকায় রবিবার এর মূল্যমান পৌঁছায় ৭৫ ডলারে। বাজার সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বাজারে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ব্যবসা করেছে $ট্রাম্প।
ক্রীড়া বিষয়ক প্রথম সারির মার্কিন সংবাদমাধ্যম বারস্টুল স্পোর্টেসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড পোর্টনয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, “$ট্রাম্প লঞ্চিংয়ের খবর ছিল আমার কাছে ঘুম থেকে জেগে ওঠার মতো। কয়েনটি লঞ্চ হওয়ার পর আমি ৫ লাখ ডলারের সমমুল্যের $ট্রাম্প কিনেছিলাম।”
“কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা থেকে দাম বাড়া শুরু করলে রবিবার সেগুলো আমি বিক্রি করে দিয়েছি। ২০০ শতাংশ লাভে বিক্রি করেছি। যত সময়ের মধ্যে বিক্রি হবে ভেবেছিলাম, তার চেয়েও অনেক দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়েছে কয়েনগুলো। আমি ট্রাম্পের আমেরিকাকে ভালোবাসি! এখন ঘুমাতে যাচ্ছি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের আরেক ব্যবহারকারী জানান, শুক্রবার লঞ্চের পরপর ১৮ সেন্ট দরে ১০ ডলারের সমপরিমাণ $ট্রাম্প কয়েন কিনেছিলেন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় তার কাছে থাকা সেসব কয়েনের মূল্য ৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলার।
“আমি জিতেছি… হা হা। এই মুহূর্তে আমি আমার কয়েনগুলো বিক্রি করছি না।”
আরেকজন বলেছেন, “এটা ট্রাম্প পরিবারের একটি কৌশল। অবশ্যই এর পেছনে তাদের হাত রয়েছে। তারা জানে কোন জিনিস কখন বিক্রি করতে হয়। এভাবেই ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। সূত্র: ফোর্বস, নিউজ এইউ, ইনভেস্টরস
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
শুল্ক আরোপের পর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কানাডা ও মেক্সিকোর শীর্ষ নেতাদের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলবেন।একদিন আগেই কানাডা থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ এবং দেশটির জ্বালানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সময়ে মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যে ২৫ শতাংশ এবং চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আগামী মঙ্গলবার থেকেই এই শুল্ক কার্যকর শুরু হবে। ট্রাম্পের এমন নির্দেশের কারণে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে এবং আরো বেড়ে যেতে পারে মূল্যস্ফীতি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে পৃথক দুইটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। পাশাপাশি চীন যতক্ষণ না ‘ফেন্টানিল’ মাদকের পাচার বন্ধ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তিন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যেও একই হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘোষণার পর মেক্সিকোও জানায়- তারাও একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
সব মেক্সিকান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন তার জবাবে শুল্কসহ পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মেক্সিকোর স্বার্থ সংরক্ষণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ পদক্ষেপসহ প্লান বি বাস্তবায়নের জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি লিডারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশগুলোকে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে কাজ করা উচিৎ। আমরা বুঝতে পারছি যে প্রেসিডেন্ট একটি সমঝোতার জন্য কাজ করছেন। চার দেশের নেতাদের ৪ ফেব্রুয়ারির আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করা উচিত। কারণ ব্যাপক ভিত্তিক শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি