অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির জামিন অনুমোদন করেছে। শুক্রবার তারা এ গ্রেফতার পরবর্তী জামিন পান।
পিটিআই দলের এ দু’নেতাই ক‚টনৈতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় আদিয়ালা জেলে বন্দী আছেন। পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপির জামানত বন্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও সৈয়দ মনসুর আলি শাহের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ জারি করেছে। তারা পিটিআই দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
১৩ ডিসেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাদের (ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশি) জেলের মধ্যে বিচার বাতিল এবং অকার্যকর ঘোষণা করার পর, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ২০২৩-এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালত এ দু’নেতোর বিরুদ্ধে ক‚টনৈতিক বার্তা প্রকাশের মামলার অভিযোগ এনেছিল।
এরপর উভয় রাজনীতিবিদই আবেদন করেন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক‚টনৈতিক বার্তার অপব্যবহারের অভিযোগে তারা দোষী নন।
শুক্রবার আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিষয়ে ২৩ অক্টোবরের অভিযোগের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি করে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
শুনানির শুরুতে বিচারপতি মাসুদ জানান, যে অভিযোগটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তা ইতোমধ্যেই ২১ নভেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে।
এ কারণে এই মামলায় ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিষয়ে ২৩ অক্টোবরের অভিযোগও বাতিল হয়ে যায় এবং বিচার আবার পরিচালিত হয়।
বিচারপতি মাসুদ বলেছেন, নতুন অভিযোগটি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করার আগের কার্যধারার দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
এ সময় পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী হামিদ খান যুক্তি দেন যে আগের চার্জশিটেই বিচার হচ্ছে।
বিচারপতি মাসুদ উল্লেখ করেছেন যে পুরানো চার্জশিটের বিরুদ্ধে আবেদনটি নিষ্ফল হয়ে গেছে। বিচারক আইনজীবীকে বলেন, ‘যদি নতুন অভিযোগে আপনার আপত্তি থাকে তাহলে উচ্চ আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করুন।’
এ কারণে আইনজীবী হামিদ খান ক‚টনৈতিক বার্তা প্রকাশের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালের বিরুদ্ধে আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন।
ইমরান খানের অন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সালমান সফদার বলেছেন, হামিদ তার আবেদনে সংশোধনী এনেছেন। তিনি আদালতকে এটিকে নতুন হিসেবে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
এরপর আদালত অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করে জামিন আবেদন গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাসররাতে বর-কনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ মে প্রতাপ যাদবের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় পুষ্পার (২০)। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজেদের ঘরে যান তারা। পরদিন সকালে তাদের লাশ উদ্ধার হয়।
তবে বন্ধ ঘরে বর-কনের মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেন আত্মীয়-স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পুলিশ সুপার প্রশান্ত বর্মা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, হার্ট অ্যাটাকে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
খাবারের জন্য অপেক্ষার সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৫৫ জন। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়েছে, ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, আহতদের জন্য হাসপাতাল পেতে অনেক সময় লাগছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, তারা কুয়েত স্কয়ারে কোনো হামলা চালায়নি। ওই ঘটনার জন্য সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরই দায়ী করেছে দেশটি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেখানে ছড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি মরদেহ। রাস্তায় কাতরাচ্ছে আহত মানুষ। ইব্রাহিম আল-নাজার নামের এক ব্যক্তি জানান, আমরা সেখানে বসে ছিলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর বোমা ফেললো।
অনেক অনেক মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের শিশুদের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ বোমা হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুইশরও বেশি মানুষ।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলামা ইসলাম- ফজলের (জেইউই-এফ) একটি সম্মেলনে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজুয়ার বিভাগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ২০ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল। পরবর্তীতে নিহতের সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়ায় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ জামাল শাহ জিও নিউজকে জানিয়েছেন, জমিয়ত উলামা ইসলামের দলের নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ হামলা দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জান নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের আইজিপি আখতার হায়াত খান জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছেন এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। বোমা হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সূত্র: জিও নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
চীনে বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ২১ জুন বুধবার রাতে চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে বুধবার রাতে একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় গ্যাস বিস্ফোরণে ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিংজিয়া অঞ্চলের রাজধানী ইনচুয়ানের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণটি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস ট্যাংক লিক হওয়ার কারণে হয়েছে বলে সিনহুয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
সিনহুয়া আরো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে এবং ভাঙা কাঁচের আঘাতে আহত সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আহতদের চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন এবং শিল্পসহ এই ধরনের প্রধান প্রধান সেক্টরে নিরাপত্তা তদারকি জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করা সত্ত্বেও গ্যাস এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে চীনে এই ধরনের দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
এর আগে ২০১৫ সালে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বন্যায় লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে গত দুই দিনে কমপক্ষে ১৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক ডজনের বেশি মানুষ। যে কারণে মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেনগাজিতে রেড ক্রিসের প্রধান কাইস ফাখেরি লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় প্রাণহানির এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। তিনি বলেন, ‘আমরা ভবন ধসের পর অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছি। মৃতের সংখ্যা আড়াইশ জনে পৌঁছাতে পারে শঙ্কা করছি। পরিস্থিতি খুবই বিপর্যয়কর।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দেশটির বেনগাজি, সোসি, আল-বায়দা, আল-মারজ এবং দেরনা শহরে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া গাড়ির ছাদে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন।
সোমবার টেলিফোনে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেরনা শহরের বাসিন্দা আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম এবং ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর দেখতে পাই আমাদের বাড়িতে পানি। আমরা ঘরের ভেতরে রয়েছি এবং বের হওয়ার চেষ্টা করছি।’
নিখোঁজদের মধ্যে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) সাত সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলএনএর মুখপাত্র আহমদ মিসমারি। খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন এই বাহিনী বিভক্ত দেশটির পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।
পূর্ব লিবিয়ার আলমোস্তকবাল টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজ দেখা যায়, প্রবল বন্যায় যানবাহন ভেসে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, উপকূলীয় শহর দেরনায় পানির স্তর বিপৎসীমার তিন মিটার (১০ফুট) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সংসদ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় দেশে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ত্রিপোলির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-বেইবাহও ক্ষতিগ্রস্ত সব শহরে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে ‘দুর্যোগ কবলিত’ এলাকা বলে অভিহিত করেছেন।
দেশটির প্রধান চারটি তেল বন্দর রাস লানুফ, জুয়েটিনা, ব্রেগা এবং এস সিদ্রা শনিবার সন্ধ্যা থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেখানকার দুই তেল প্রকৌশলী রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে এবং কারফিউ জারি করেছে।
সূত্র: রয়টার্স।