অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় তেলবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেট থেকে ঢাকা বা চট্টগ্রামের কোন ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়নি। আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকা- চট্টগ্রাম রেল সড়কের মনতলা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের মাস্টার (গ্রেড-৪) গৌর প্রসাদ দাশ।
তিনি জানান, তেলবাহী ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সামান্য ত্রুটির কারণে ট্রেনের পেছনের বগিটি লাইনচ্যুত হয়।
তবে ট্রেনটি তৃতীয় লাইনে আটকা পড়ায় এতে অন্য কোন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। বগিটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। পরে বিকাল ৩টার দিকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার আদর্শ সদর এবং সদর দক্ষিণ উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যম বিজয়পুর ষাটকলোনি এলাকায় বাড়ির পাশে জলাশয়ে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো- ষাটকলোনি এলাকার রওশন আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন (৮) ও মনির হোসেনের ছেলে সায়েম (৭)।
রওশন আলী জানান, দুপুরে তাঁর সঙ্গে ওই জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল ছেলে আরাফাত এবং একই বাড়ির সায়েম। অসাবধানতায় দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়। পরে লোকজন নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের লাশ পাওয়া যায়।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির মরদেহ দাফন করেছে পরিবার।
এদিকে নগরীর উজিরদীঘিতে ডুবে মো. আরাবী নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটির মামা কাজী অনিক ইসলাম জানান, তাঁর বোন ও ভাগনি আরাবী গত সোমবার কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সকালে খেলতে গিয়ে দিঘিতে ডুবে ভাগনির মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, পরিবার আবেদন করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস ১৭ এপ্রিল। হিমোফিলিয়া রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত রোগ, যা বংশানুক্রমে ছেলেদের হয়ে থাকে। শরীরের কোনো জায়গায় আঘাত পেলে বা সামান্য কেটে গেলে স্বাভাবিকভাবে ওই স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে, যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু হিমোফিলিয়া রোগীর ক্ষেত্রে সহজে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না অথবা বিলম্বিত হয়।
১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো রক্ত সংক্রান্ত রোগ হিমোফিলিয়া সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। এছাড়াও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ হিমোফিলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্ক শ্নাবেলকে স্মরণ করার জন্য তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই দিনটি পালিত হয়। তাই হিমোফিলিয়া কী ও কেন এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
হিমোফিলিয়া কী?
দুটি গ্রিক শব্দ হাইমা এবং ফিলিয়া থেকে হিমোফিলিয়া শব্দটি এসেছে। হাইমা অর্থ রক্ত ও ফিলিয়া অর্থ আকর্ষণ। দেহের কোনো অংশে রক্তপাত শুরু হলে সাধারণত সেখানে রক্ত জমাট বাঁধতে থাকে। মেডিকেলের ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে ক্লটিং বলে।
ক্লটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দেহে কোথাও কোনো ক্ষত তৈরি হলে সেই ক্ষতস্থান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে যাওয়াকেই ক্লটিং বলে। যে পদার্থ রক্তক্ষরণে বাঁধা দেয় তাকে ক্লট বলে। কিন্তু কোনো কারণে ক্ষতস্থানে এই ক্লট তৈরি না হলে সেখান থেকে একাধারে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। একজন হিমোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীর দেহে এই ক্লট সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক নয়।
ব্যাপারটি আসলে এমন নয় যে, রোগীর দেহ থেকে অঝোরে এবং খুব দ্রুত রক্তক্ষরণ হতে থাকবে। মূলত একজন হিমোফিলিয়াক (যারা হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত) ব্যক্তির দেহ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
অনেকে হয়তো এখন মনে করছেন যে, এই রোগ হলে হাত, পা, হাঁটু ইত্যাদির কোথাও কেটে গেলেই তা থেকে অনবরত রক্ত ঝরতে থাকবে। ব্যাপারটি তা নয়। দেহের বাইরের কোনো ছোটখাটো আঘাত এখানে খুব একটা চিন্তার বিষয় নয়। আসল চিন্তার বিষয় হলো ইন্টারনাল ব্লিডিং বা দেহের অভ্যন্তরীণ কোনো অংশে রক্তক্ষরণ। এই ধরণের রক্তক্ষরণকে হ্যামোরেজ বলে। এটি মূলত দেখা যায় দেহের ভেতরে কোনো সন্ধি যেমন হাঁটু ও গোড়ালিতে। এছাড়া দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন টিস্যু ও পেশীর মিলনস্থলেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। দেহের ভেতরে এমন রক্তক্ষরণ অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয় এবং আক্রান্ত অংশ বেশ ফুলতে শুরু করে।
হিমোফিলিয়া কেন হয়
মানবদেহে একটি X ও অন্যটি Y ক্রোমোজম থাকলে সে হয় ছেলে (46,XY) আর যদি দুটিই X ক্রোমোজম থাকে তাহলে সে হয় মেয়ে (46,XX)। X ক্রোমোজমে F8 ও F9 নামক জিন থাকে, যা F-VIII ও F-IX নামক ক্লোটিং প্রোটিন তৈরি করে। এই ক্লোটিং প্রোটিন রক্তের সাদা অংশে পরিমাণমতো থাকে। ফলে আপনাআপনি রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। যাদের রক্তে এই ক্লোটিং প্রোটিন কম থাকে, তাদের রক্ত পড়া বন্ধ হয় না অথবা বিলম্বিত হয়। তারাই হিমোফিলিয়ার রোগী।
ছেলেদের দেহে যেহেতু একটামাত্র X ক্রোমোজম থাকে এবং এই একমাত্র X ক্রোমোজম যদি অসুস্থ/defect থাকে, তাহলে F-VIII/F-IX তৈরি হয় না। ফলে ছেলেরাই হিমোফিলিয়ার রোগী হয়। আর মেয়েদের দেহে যেহেতু দুটি X ক্রোমোজম থাকে, তাই একটি X অসুস্থ/defect হলেও অন্য X সুস্থ থাকায় পর্যাপ্ত F-VIII/F-IX তৈরি হয়। তাই সাধারণত মেয়েরা হিমোফিলিয়ার রোগী হয় না, রোগের বাহক হয়।
তবে ১. Lyonisation/inactivation of healthy X chromosome হলে, ২. বাবা রোগী ও মা বাহক হলে অথবা ৩. Turner syndrome (45,XO) হলে মেয়েরাও রোগী হতে পারে। তাই হিমোফিলিয়ার রোগীর সঙ্গে মামাতো, খালাতো প্রভৃতি বোনের বিয়ে হলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই রোগী হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি তিনজন হিমোফিলিয়ার রোগীর মধ্যে অন্তত একজন বংশানুক্রমে সঞ্চারিত না হয়ে নতুনভাবে আক্রান্ত হয়।
হিমোফিলিয়া কত প্রকার?
হিমোফিলিয়া এ এবং বি দুই ধরনের। হিমোফিলিয়া-এ-তে, ফ্যাকফোর-৮ মাত্রা কম বা অনুপস্থিত। হিমোফিলিয়া-বি ফ্যাকফোর-৯ এর ঘাটতি রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষেরই হিমোফিলিয়া-এ আছে। এটি শরীরের ক্রোমোজোম সিস্টেমের অবনতির কারণেও হয়। আর চিকিৎসকদের ধারণা, বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। আর বিশ্বব্যাপী প্রায় চার লাখ মানুষ হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত।
হিমোফিলিয়ার লক্ষণ :
যদি কোনো সাধারণ আঘাত বা ক্ষত থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয় তাহলে বুঝবেন এটি হিমোফিলিয়ার কারণে হয়েছে। এই রোগের ক্ষেত্রে রক্তে প্লেটলেট কাউন্ট, প্রোথ্রোমবিন, প্লেটলেটের অসুস্থতা ইত্যাদি কমে যেতে পারে। এছাড়াও ক্ষতস্থানে বিলম্বিত রক্তপাত হয়। আর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ বা কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়াটাই হিমোফিলিয়ার মূল লক্ষণ। শিশু বয়সেই এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে রক্তক্ষরণ, শরীরের আঘাত লাগলে সেই জায়গাটি নীলচে হয়ে ফুলে যায় অর্থাৎ চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ; মাংসপেশিতে এবং অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণ; হাঁটু, কনুই ও অন্যান্য অস্থি সন্ধি ফুলে যাওয়া; শরীরের কোথাও কেটে গেলে দীর্ঘক্ষণ রক্ত ঝরা; দাঁত তোলার পর বা সুন্নতে খাতনা করার পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া, শিশু হামাগুড়ি দেওয়ার সময় হাঁটুতে কালচে দাগ হওয়া, নবজাতকের নাভি কাটার সময় দীর্ঘক্ষণ রক্তক্ষরণ হওয়া ইত্যাদি।
হিমোফিলিয়ার বংশগতি :
বাবা সুস্থ ও মা বাহক হয় তবে ছেলে সন্তানের রোগী হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% আর মেয়ে সন্তানের বাহক হওয়ার সম্ভাবনা ৫০%। বাবা রোগী এবং মা সুস্থ হয় তবে সব ছেলে সন্তানই সুস্থ হবে এবং সব মেয়ে সন্তানই বাহক হবে। বাবা রোগী এবং মা বাহক হয় তবে ছেলে সন্তানের রোগী হওয়ার সম্ভাবনা ৫০%। আর মেয়ে সন্তানের রোগী হওয়ার সম্ভাবনা ২৫% ও বাহক হওয়ার সম্ভাবনা ২৫%। সুতরাং প্রত্যেক হিমোফিলিয়া পুরুষ রোগী বিয়ে করতে পারবে, তবে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সাধারণত শুধু পুরুষরাই এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং নারীরা এই রোগের বাহক। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নারীরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বাবা রোগী ও মা বাহক হলে মেয়েরাও রোগী হতে পারে। হিমোফিলিয়া রোগীর সঙ্গে আত্মীয় যেমন খালাতো, মামাতো বা ফুপাতো বোনের বিয়ে হলে দুজনেই রোগী হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ-গুরুতর হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত কিছু লোকের মাথায় সামান্য আঘাতের পরে মস্তিষ্কে রক্তপাত হতে পারে। যদিও এটি প্রায়শই ঘটে না, এটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলির মধ্যে একটি যা উঠতে পারে।
কিছু সতর্কতা চিহ্ন এবং উপসর্গ হলো :
* একটি গুরুতর
* চলমান মাথা ব্যাথা
* বারবার বমি হওয়া
* অলসতা বা তন্দ্রা
* দ্বৈত উপলব্ধি
* হঠাৎ আনাড়ি বা দুর্বলতা
* হৃদরোগের আক্রমণ বা কম্পন
পরীক্ষা ও প্রতিরোধ
রক্তের ফ্যাক্টর দুটির পরীক্ষা। রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতা পরীক্ষা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের genetic testing, genetic counseling I prenatal test (amniocentesis) করে অনাগত সন্তান রোগী না বাহক তা নিশ্চিত হয়ে হিমোফিলিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যায়। দেশেই এসব পরীক্ষা করা হচ্ছে।
হিমোফিলিয়া রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করানোর কোনো চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সম্ভব। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে যেমন নিয়মমাফিক, সঠিক ব্যায়াম করে মোটামুটিভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা গেলেও চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিরোধ করাই উত্তম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে বিশেষ সভা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সম্মেলন কক্ষে এ সভা করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বগুড়ায় নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট রোধে সকলে মিলে কাজ করতে হবে। যে সমস্ত কোল্ড স্টোরেজ মালিক এবং ব্যবসায়ীরা সরকারি মূল্যে বাজারে আলু দিচ্ছেন না তাদেরকে আবারো বলা হচ্ছে। এরপরও যদি ন্যায্য মুল্যে আলু না দেয়া হয় তাহলে ওইসব কোল্ড স্টোরেজ মালিক এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজন হলে প্রশাসনের উদ্যোগে আলু কিনে বাজারে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হবে। বগুড়ার বাজারে কোন ভাবেই বেশি দামে আলু, পিয়াজ, ডিম ও সবজিসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করতে দেয়া যাবে না। বাজার সিন্ডিকেট এবং কৃত্রিম সংকট রোধে বগুড়ার প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, টিএমএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক মো, মতলুবর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, কোল্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বগুড়া চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি এনামুল হক দুলাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার ১২টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ সহ অন্যান্য থানার ওসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কোন্ড স্টোরেজ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সভায় বগুড়ার বাজার নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছে না। যারা এখনও কর্মস্থলে যোগ দেননি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের যেসব সদস্য অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের কিছুতেই মাফ করা হবে না।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি আনসার ভিডিপি একাডেমিতে সমাপনী অনুষ্ঠানে খোলা জিপে চড়ে প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ছয়জন বিসিএস কর্মকর্তা ও ৯০৮ জন রিক্রুট সিপাহী সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের জন্য নির্ধারিত মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেন। বিসিএস কর্মকর্তারা দীর্ঘ ১২ মাস মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন। একইসঙ্গে মাস্টার্স অব হিউম্যান সিকিউরিটি (এমএইচএস) কোর্স সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে রিক্রুট সিপাহিরা ৬ ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেন।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের পর অনেক পুলিশ সদস্য আত্মগোপনে চলে যান। আবার উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেননি। পরে নোটিশ দিয়ে তাদের কর্মে ফেরায় পুলিশ সদর দফতর। কিন্তু এমন নোটিশ পেয়ে বেশিরভাগ কাজে যোগ দিলেও এখনো ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে এখনও অনুপস্থিত রয়েছেন বলে গতকাল পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রাতে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পর গত ১ আগস্ট থেকে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ১৮৭ জন কর্মস্থলে যোগাযোগ না করে অনুপস্থিত রয়েছেন।
আজ বাংলাদেশ আনসার একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ সদস্য এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেননি, তাদের আর যোগদান করতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে। এখনও কাজে যোগ দেয়নি এমন পুলিশের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আমরা তাদের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করছি। আপনারাও তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।
সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা জনগণের সুবিধার জন্য দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছে। তাদের একটা ক্ষমতার ভেতর কাজ করতে হবে। আমাদের অন্য বাহিনীতে কিছু স্বল্পতা রয়ে গেছে।
আনসার বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আজ বাংলাদেশ নবজাগরণে উজ্জীবিত। বিগত সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের হতে পারেনি বলেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার সরকার দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দিয়েছেন আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ইয়ামিন ও ফাইয়াজদের মতো হাজারো ছাত্র-জনতা। আপনাদের কাছে আমার চাওয়া, দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনারা নিজেদের সপে দিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও ন্যায্যতার মাপকাঠিতে কাজ করবেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আনসার বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থানা, ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপির থানাগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
আনসার বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর স্বল্পতার মাঝেও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জাতির জরুরি প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বাহিনীটির সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট, উপ মহাপরিচালকবৃন্দ, বাহিনীর পরিচালকরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীর মহাখালীতে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লোহার রড পড়ে ১২ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।
আজ ২৯ মে সোমবার সকালে উড়াল সড়ক থেকে রড পড়ে শিশুটির মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়।রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহত শিশুর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ১২ বছর। পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট ও ফুলহাতা সবুজ গেঞ্জি।
পথচারী আব্দুল কাদির ইমন বলেন, নির্মাণাধীন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে আসা রডটি ওই শিশুর মাথার একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে আনার পরও শিশুটি বেঁচে ছিল। চিকিৎসকেরা জরুরি ব্যবস্থা নেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।
ঢামেকের পুলিশ কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুর মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।