চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন এসিল্যান্ড। ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ষৌল লোহঘর গ্রামে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী।
বিয়ে বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে কনেকে ফেলে পালিয়ে যায় অতিথিরা। খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে আসেনি বরসহ বরযাত্রীরা। তারা পথ থেকেই ফিরে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তুলাইশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ষৌল লোহঘর গ্রামের প্রবাসী মাসুম তালুকদারের মেয়ে নাদিয়া আক্তারের (১৫) বিয়ে পারিবারিকভাবে কুমিল্লায় ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ে বাড়িতে বর আসার আগেই ছুটে যান প্রশান্ত চক্রবর্তী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু কনের বয়স ১৫ বছর তাই এই বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। কনের মা স্বপ্না খানম মুচলেকা দিয়েছেন প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে তার মেয়ের বিয়ে দেবেন না।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবের দাম্মামে ফয়েজ মিয়া (৫২) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২ টার দিকে নিজ বাসায় স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার লাশ দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ফয়েজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের তারাগন এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তার পরিবারে স্ত্রী,৩ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তার মত্যুর বিষয়টি চাচা মো. মুসলেম মিয়া গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ফয়েজ মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ বছর আগে ফয়েজ মিয়া সৌদি আরব পাড়ি জমান। সেখানে দাম্মাম শহরে তিনি একটি বড় কোম্পানিতে কাজ করতেন। সর্বশেষ ৫ বছর আগে দেশে আসেন তিনি। এবার কোরবানির ঈদের আগে দেশে আসার কথা ছিল তার।
গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর রাত ৯ টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। রাত আনুমানিক ২টার দিকে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তার রুমমেটরা দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুর বিষয়টি সেখান থেকে সকালে তার পরিবারকে জানানো হয়। ফয়েজ মিয়ার মৃত্যুর খবর সকালে বাড়িতে পৌঁছানো হলে পরিবারের আহাজারিতে আকাশ ভারি হয়ে উঠে। স্বামীর শোকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন স্ত্রী। এখন কীভাবে তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাঁচাবেন তা যেন তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। ফয়েজ মিয়ার চাচা মো. মুসলেম মিয়া বলেন, গত ১ সপ্তাহ আগে তার মা মারা যান। ছুটি না পাওয়ায় ফয়েজ বাড়িতে আসতে পারেনি। তাই কোরবানির ঈদের আগে বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুতি নেয়। গতকাল বিকেলে ভাতিজার সঙ্গে সর্বশেষ আমার কথা হয়। সে তার মায়ের নামে একটি জিয়াফত করতে চায়। কীভাবে করলে ভালো হয় সে বিষয়ে অনেক কথা বলেন। কিন্তু সকালে শুনি ভাতিজা আর নেই। এই কথা বিশ্বাস করতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। চাচাতো ভাই মো. আলাউদ্দিন বলেন, ফয়েজ একজন কর্মঠ লোক ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অংকুর কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ৫ম শ্রেণীর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে পৌরশহরের সিরাজালয়ে বিদ্যালয় চত্বর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর হয়ে উঠে বিদ্যালয় চত্বর।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শফিকুল আলম তুরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর এনাম খাদেম, রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রাধাকৃষ্ণ নুনিয়া, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হান্নান খাদেম, সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু, রুবেল আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন, রেলওয়ে জেলা স্কাউটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির লিটন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে অংকুর কিন্ডারগার্টেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এজন্য স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকদের ভূয়শী প্রশংসা করেন বক্তারা। বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদেরকে অভিনন্দন জানান। যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করার জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকে প্রতি অনুরোধ জানান। হতাশ না হয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করার জন্য অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন। এ স্কুল দায়িত্বশীল ভূমিকা
আলোচনা শেষে প্লে গ্রুপ থেকে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়। ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ছাত্রছাত্রীরা।
পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অতিথিকে সম্মাননা স্মারক উপহার দেন প্রতিষ্ঠান প্রধান শফিকুল আলম তুরান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ফারজানা আক্তার, তানিয়া আক্তার, সোনিয়া সুলতানা, আকলিমা আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ.আই সম্রাট খাদেম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে অংকুর কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠিত হয়।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা পাঁচ ছুটি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২৬ এপ্রিল বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে মাছ, রডসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সিদ্ধান্তে গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে সকাল থেকে বন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস জানান, ছুটির সময়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সীমান্ত পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী ও সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রপ্তানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
গতকাল ৮ জুলাই শনিবার বিকেলে একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ১১ টন পেঁয়াজ এসেছে ভারত থেকে।
এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য।
বিডিএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছে। ৯ জুলাই দুপুরে বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকৃত পেঁয়াজের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, বিডিএস করপোরেশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে গত ১২ জুন ১০ টন পেঁয়াজ আসে। দ্বিতীয় চালানে প্রায় এক মাস পর আজ আরও ১১ টন পেঁয়াজ এসেছে। আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ইদ্রিস মিয়াকে মদ পাচারের সময় আটক করেছে র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের একটি টিম।
আটক মো. ইদ্রিস মিয়া আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতান পুর এলাকা থেকে ২৪ বোতল বিদেশী মদসহ তাকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।
এসময় ইদ্রিস মেম্বারের এক সহযোগী মো. সায়মন মিয়াকে ও আটক করা হয়েছে। তারা দুজনেই সীমান্তবর্তী আবদুল্লাহ পুর গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের অধিনায়ক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ২৪ বোতল বিদেশি মদ পাচারের সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্দে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।