ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সময় বেঁধে দিল ইসি

রাজনীতি, 29 December 2023, 328 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ২ জানুয়ারির মধ্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

banner

আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সারা দেশে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। সে প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত তারিখ প্রেরণ করে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার। মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে ইসি।

Leave a Reply

ওজন কমানোর ৫টি উপায়

অনলাইন ডেস্ক : ডায়েট ও জিম আরই ওজন কমানোর একমাত্র Read more

রাহাত ফতেহ আলীর কনসার্টে উপস্থাপনা করবেন…

অনলাইন ডেস্ক : আজ ২১ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও Read more

ভারতের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট : জয়নুল…

অনলাইন ডেস্ক : সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোনো মানে হয় Read more

উপদেষ্টা হাসান আরিফের ইন্তেকাল

অনলাইন ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল Read more

নবীনগরে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে Read more

সাদপন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

চলারপথে রিপোর্ট : ইজতেমা ময়দানে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর সাদ পন্থীদের Read more

আখাউড়ায় কিন্ডার গার্টেন মেধা বৃত্তি পরীক্ষা…

চলারপথে রিপোর্ট : আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত’ এই প্রতিপাদ্যে Read more

নবীনগরে সাঈদ ফাউন্ডেশনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর Read more

রেইনবো প্রি-স্কুল এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী…

চলারপথে রিপোর্ট : কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১শত কেজি গাঁজাসহ ২ জন…

চলারপথে রিপোর্ট : র‌্যাবের পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা Read more

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে বাধা দেয়া…

অনলাইন ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ Read more

সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা পেলেন তিশা

গত এক বছরের প্রচারিত সকল কনটেন্টের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত Read more

বাড়াবাড়ি করলে আন্দোলন ফেলা হবে বঙ্গোপসাগরে: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 18 July 2023, 1142 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার নগরীর পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে প্রথমে জমায়েত ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর পর সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি নিউমার্কেট মোড় ও লালদীঘির পাড় হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

banner

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইদানীং কিছুদিন পর পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রামে আসছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সংগঠন। যদি বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসারে ফেলে দেওয়া হবে। কেউ রক্ষচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। দেশে সংবিধান মেনে নির্বাচন হবে। আমাদের দেশ চলবে আমাদের আইনে। কারও প্রেসক্রিপশনে নয়। বিএনপির অনেক আশাই ছিল– যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তারা কিছু বলেনি। এ জন্য তারা (বিএনপি) হতাশ।

হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর অনেক মানুষকে দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন।

তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে তাদের (বিএনপি) হাঁটা কর্মসূচি, দৌড় কর্মসূচি থাকে। তবে রাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধরনা দেয়। সঙ্গে থাকে তাদের নারীনেত্রী রুমিন ফারহানা। তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছে, এভাবে ধরনা দিয়ে আর লাভ নেই। তাই মির্জা ফখরুল কথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্ব এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক সঞ্চালনা করেন।

নিষ্ঠুর একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে বদ্ধপরিকর সরকার: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি, 21 July 2023, 466 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধীদলহীন নিষ্ঠুর একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে বদ্ধপরিকর। তবে তাদের এই সাধ কোনোদিন পূরণ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়, তারা বহু মত, পথ ও বিশ্বাসের ঐতিহ্যকে কখনোই ধুলিস্যাৎ হতে দেবে না।

banner

আজ ২১ জুলাই শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভবনের মালিক পক্ষের তালা লাগিয়ে দেওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীদের পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। সরকার দেশকে বিরোধী দলশূন্য করতে এখন মাঠে নেমেছে। আর এজন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং প্রতিবাদী জনগণের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশব্যাপী আতঙ্কের বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ সমালোচনা করতে সাহসী না হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভবনের মালিক পক্ষ কর্তৃক তালা লাগিয়ে দেওয়াসহ ভবনে প্রবেশের সময় পুলিশ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় তা আবারও প্রমাণিত হলো।

বিএনপি নেতাদের গলায় হতাশার সুর : তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতি, 25 August 2023, 435 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
খুনের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের উত্থান হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যের নির্মমভাবে হত্যা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তাদের উত্থানই হয়েছে খুনের মাধ্যমে।

banner

আজ ২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কুপি, চেরাগ বাতি চেনে না। কারণ দেশে এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।

ঢাকায় ইতোমধ্যে মেট্রো রেল চালু হয়েছে। এ ছাড়া অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প চলমান। অথচ মির্জা ফখরুল বলেন- দেশে উন্নয়ন হয়নি।

বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ইদানীং লক্ষ করছি বিএনপি নেতাদের গলায় হতাশার সুর।

কারণ তারা ভেবেছিল তাদের সব চাওয়া পূর্ণ করে নির্বাচন হবে। তারা বিদেশিদের সাপোর্ট পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। কারণ শেখ হাসিনার প্রতি সব দেশের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে এ দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ যে স্কুল মাঠে শোকসভা করছি, এই স্কুল থেকে পড়ালেখা করে তৎকালীন মন্ত্রিত্ব করেছেন প্রভাষ চন্দ্র লাহিড়ী। এ অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়া ও সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষ।

তিনি বলেন, সকাল থেকে এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। তার পরও মানুষ যেভাবে শোকসভায় সাড়া দিয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় এবারও আওয়ামী লীগে গণজোয়ার আসবে। এ দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যত দিন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে না পারব তত দিন আমরা ক্ষমতায় থাকব।

শোকসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য জিন্নতুন নেছা তালুকদার, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক, বাঘার পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যান, বাঘা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 2 July 2024, 345 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

banner

এ উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। গত ১ জুলাই সোমবার বিকেলে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। পরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণমানুষের নেতা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কমিটি নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় তিনি জানান, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের অধিনস্থ সব অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে তৃণমূলে আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনকে শক্তিশালী করা হবে।

অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, ‘আগামী দিনে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকেই সরকার বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে।’

শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন-২, ডা. মো. আবু সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুল আলম খোকন, তাসলিমা সুলতান খানাম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন ও শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে: আইনমন্ত্রী

রাজনীতি, 15 April 2023, 784 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই আইনের সঠিক ব্যবহার এবং আইনটি জনবান্ধব করার চেষ্টা চলছে। এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

banner

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের টিমের সঙ্গে আমাদের দেশের একটি টিম (লেজিসলেটিভ সচিবকে প্রধান করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে) করে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা করে তারা একটি টেকনিক্যাল নোট পাঠিয়েছে।’

টেকনিক্যাল নোট -এর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারা বাতিল করতে বলছে, কিন্তু সেটি আমার পক্ষে সম্ভব না। স্পষ্ঠভাবে বলতে চাই, আমাদের বাস্তবতায় ২১ ধারা প্রয়োজন রয়েছে; যা আলোচনায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ওই আইনের অধীনে বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের রক্ষাকবচের কথাও উঠে এসেছে, সেটি অবশ্যই আমরা হাইলাইট করব।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাখ্যার কথা বলছেন, এই যে ধারাগুলো এবং কিছু টেকনিক্যাল ধারা; এগুলোর একটি সুবিধা আছে। সুবিধাটা হচ্ছে, এই যে ধর্মীয় অনুভুতি, স্বাধীনতা এগুলোর বিষয়ে অপরাধের বিষয়টি আগে দণ্ডবিধিতে ছিল; এমন বহু (আদালতের) রায় আছে। যেখান থেকে ব্যাখ্যাগুলো নেওয়া যায়। আমি মনে করি, প্রশিক্ষণে (আইন প্রয়োগের বিষয়ে) জোর দেওয়া উচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মামলাতে এ ধরনের ব্যাখ্যা আছে। এক্ষেত্রে যারা মামলা তদন্ত করেন এবং যারা মামলা করেন, আইনজীবীরা এই ব্যাখ্যার বিষয়ে কাজ করতে পারবেন।’

আলোচকদের উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আপনারা বলতে পারেন যদি ব্যাখ্যাটি জানেন, তাহলে আইনের মধ্যে আনছেন না কেন? এর উত্তর হলো যদি সেসব (ব্যাখ্যা) আইনের মধ্যে আনা হয়, তাহলে আইনটি অনেক বড় হয়ে যাবে। সেজন্যই আইনের ব্যাখ্যার বিষয়টি বিচার বিভাগের ওপর দেওয়া হয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য যে আজকে এসব ব্যাখ্যার জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না, বই খুললেই পাওয়া যায়। এসবই প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধান্ত।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, সেটা যে রকম চলছে তাতে কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এই আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে, যা আপনারা সবাই স্বীকার করছেন। কিন্তু একটা গোষ্ঠী আছে, যারা এই আইনটিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রচার করে। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি, তারা এই আইন নিয়ে জনগণের কাছে যায় না। তারা ওয়াশিংটন ডিসি, ব্রাসেলস এবং জেনেভাতে গিয়ে বলে এই আইনটা খারাপ। তারা এখানে বলে না। কারণ তারা জানে যে, এখানে বললে হালে পানি পাওয়া যাবে না। আমি বলব, এই আইনটি সংখ্যালঘুদের আঘাত রোধের জন্য নয়, এটি সারা দেশের জনগণের জন্য।