চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণের উদ্দেশে নিজ হাতে চিঠি লিখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। দুই পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তাঁর আমলে হওয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়। ইতিমধ্যে লিফলেট আকারে ওই চিঠি বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
চিঠির শুরুতেই তিনি সদর ও বিজয়নগর উপজেলাবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি কতটা সফল হয়েছেন সেটা জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তবে যেহেতু মানুষ, ভুলত্রুটি হতেই পারে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, এ আশা রইল।’ করোনাকালীন তিনি ও স্ত্রী অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরামহীন প্রচেষ্টায় সদর ও বিজয়নগরের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা আজ দৃশ্যমান।’ চিঠিতে তিনি দুই উপজেলাতে হওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেন।
চিঠির শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহর রহমত আর আপনাদের ভালোবাসা আমার জীবনের পাথেয়। আপনাদের দোয়া চাই, খেদমত করার সুযোগ চাই। ভালো থাকুন সকলে। মঙ্গল হউক আপনাদের।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। খোদা হাফেজ।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সালাম ভাটপাড়া মাদরাসার ২০০১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৪ বছরের ফারেগীন ছাত্রবৃন্দের পুণর্মিলনী উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার মিলনায়তনে সকাল ৮টা থেকে তিলাওয়াতে কুরআনের মাধ্যমে শুরু হলে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা ইমরান খাঁন (শাহপরান) ও হাফেজ মুফতি বেলায়েতুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে শত শত হাফেজের উস্তাদ হা. বেলাল হোসাইন বলেন, আজ তোমাদেরকে এভাবে একত্রে এক প্লাটফর্মে দেখে আমি অনেক আনন্দিত, অনেক উৎফুল্ল। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা যেমন আনন্দিত হয়, আমি তারচেয়েও বেশি আনন্দিত আজ। সময়ের পালাবদলে যদিও তোমরা বিদায় নিয়ে দেশের দিগন্তে ছড়িয়ে আছো,কিন্তু তোমরা সবসময় আমার মন মস্তিস্কে বসবাস করো। তোমাদের সফলতার কথা শুনলে, জানলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। তোমাদের আজকের আয়োজন আমাকে খেদমত জীবনের স্বার্থকতা উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে দাওয়াতি মেহমান, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য বৃন্দ ও ছাত্র সহ অত্র জামিয়ার সকল উস্তাদগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রায় দেড় শতাধিক ফারেগীন হাফেজদেরকে পাগড়ি ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। অত্র মাদরাসার সকল উস্তাদদেরকেও হাদিয়া প্রদান করা হয়েছে।
সবশেষে উস্তাজুল হুফফাজ হা. বেলাল হোসাইনকে সকল ছাত্রদের পক্ষ থেকে উমরাহর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা নিয়ে শহরে র্যালি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধারা
সকাল ১০টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
পরে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বাঙ্গালী বীরের জাতি এর প্রমান করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। সীমান্তবর্তী অনেক জেলা মুক্ত হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত হয়। ওইদিন শহরের পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিন পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেশে এখন নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে আসবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি ধ্বংসাত্মক ও নাশকতা করছে। তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে সরকারের কিছুই হবেনা, বিএনপি নিজেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের আয়োজনে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা।
এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে।
৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রæমুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দু’শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।
এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়।
৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা আজ ৮ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ কামরুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক মোঃ আরজু, জেলা হোটেল এন্ড রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাংবাদিক নিয়াজ মোঃ খান বিটু, শিহাব উদ্দিন বিপু, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, মোশাররফ হোসেন বেলাল, মোজাম্মেল চৌধুরী, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হোটেল রেস্তোরার কিচেনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
সভায় বক্তারা শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরায় ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, বরফকল ও আইসক্রীম ফ্যাক্টরীগুলোতে নিয়মিত অভিযান, শহরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে পশু জবাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত কসাইখানা ও গবাদি পশু জবাইয়ের আগে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দাবি জানান।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সু-স্বাস্থ্যের জন্যই নিরাপদ খাদ্য দরকার। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে হোটেল রেস্তোরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, শিশু খাদ্যের বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।