চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এ ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল। তিনি এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
৭ জানুয়ারি রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর শুরু হয় গণনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭ জন। আসনটির ১৪৯ ভোট কেন্দ্রের ৯৭৭টি ভোট কক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে আবুল কালাম (৩৫) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যার’ অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২২ ডিসেম্বর রবিবার উপজেলার বিটঘর মধ্যপাড়া নয়ন সরকারের পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরে বিটঘর মধ্য পাড়ার মৃত রূপ মোল্লার বাড়িতে বাসা ভাড়া থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় অলি মিয়ার বাড়িতে কাজ করতে গেলে সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠে। এই অপবাদে জালাল মিয়ার বাড়িতে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বেঁধে রাখা হয়। এই অপমান সহ্য করতে না পারে তিনি সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার খোকন মিয়া বলেন, আবুল কালাম আমার বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন। শুনেছি মোবাইল চুরির অপবাদ দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে। অপবাদ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাধীনতার মূল মন্ত্র ছিল ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না-তা হবে না।’ সমাজতন্ত্র কায়েমের জন্যই দেশ স্বাধীন করেছিলাম। দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ। তাদের সেই ত্যাগের সুফল ভোগ করছে পুঁজিবাদী একটি শ্রেণি।’
নবীনগর উপজেলা কমিউনিস্ট নেতা প্রদীপ সাহার স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর সদর বড়বাজার প্রাঙ্গণে এ সভা হয়।
ডাকসুর প্রথম ভিপি সেলিম বলেন, ‘মাথাপিছু আয়ের হিসাব ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। সেই পরিমাণ টাকা কি আমারা পাচ্ছি? দেশ আজ ঋণগ্রস্ত, মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১ লাখ টাকা। আজ দেশের অর্থ এক শ্রেণির হাতে জিম্মি। ১৬ বছরে দেশ থেকে ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, যা ফেরত আনার কোনো সুযোগ নেই।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে নীতিতে দেশ চালাচ্ছে, তার আগে বিএনপি, এরশাদসহ সব সরকাই একই নীতিতে দেশ চালিয়েছে। তারা দেশকে আজ দেওলিয়াপনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
প্রদীপ সাহার স্মৃতিচারণ করে তাঁর নামে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি সড়ক নামকরণের দাবি জানান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
সিপিবির নবীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি ইসহাকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান তারিখ চৌধুরী, সিপিবির জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ মো. জামাল, সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, প্রয়াত নেতার সহধর্মিণী সবিতা রানী সাহা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নবীনগর উপজেলায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মোঃ আবুল কালামে’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম.মামুনুর অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মোঃ সাইফুল হক, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামিম মোঃ আরিফ (ভিপি), সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক এইচ. এম. বাশার, যুগ্ম আহবায়ক ইবনুল হাসান সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক নাসির সুলতানা আঁখি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজু, উপজেলা বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জুরু, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, পৌর কৃষক দলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মফিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জহির চিশতীসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনে সবসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিতও হন। তবে আমাদের দলের যারা পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদেরকে অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, দেশে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে এবং তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এর বাইরেও অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ৭ জানুয়ারি যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা যেটি তৈরি হয়েছে, এতে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালি আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে কয়েকজন দলীয় নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এরপর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা, মনোনয়নপত্র জমা দেয়া এগুলোর মাধ্যমে আসলে পুরো দেশ নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আছে। এ ডামাডোলের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক সেটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে।
বিএনপি গতকাল বলেছে, কয়েকদিনের মধ্যে সরকারের পতন হবে, এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি এখন দৈব-দূর্বিপাকের ওপর নির্ভর করছে। দেশে তারা এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে হাসির পাত্র করে তুলেছে।
তিনি বলেন, সরকারের পতন নিয়ে তো বহুদিন ধরে বিএনপি দিনক্ষণ ঘোষণা করে। বিএনপি বলে, অমুক দিন সরকারের পতন হবে। গতবছর ৩০ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এ বছর ২৮ অক্টোবরও দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এভাবে ঘোষণাটাই একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এমন যে তারা কোন দৈব-দূর্বিপাকের ওপর নির্ভর করে বলে, অমুক দিন কিছু একটা হবে। যেমনটা, অমুক দিন বৃষ্টি হবে, অমুক দিন বজ্রপাত হবে, অমুক সময়ে সাইক্লোন হবে। বিএনপির ঘোষণাও ঠিক সেইরকম।
বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি থাবার যে কথা বলা হচ্ছে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও বিদেশি থাবা ছিল, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সময়েও বিদেশি থাবা আছে। এখন যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখনও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে, আমাদের সঙ্গে সবার সম্পর্ক চমৎকার।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সাথে মিত্রতা। এ নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি। আমাদের সঙ্গে সমস্ত দেশের ভালো সম্পর্ক। আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই।
এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চিশতি, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী।