অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত এখন জেলার মানুষদের কাঁপিয়ে তুলছে। দিনভর সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও সন্ধ্যা নামলেই পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শীতের দাপটে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ। হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের। একই সঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বালাই। প্রতিনিয়ত বয়স্ক থেকে শুরু করে নারী-শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা বলছেন ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলে নিজেদের আরো সচেতন হতে হবে।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে দুজন করে রোগী। ৮টি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ওয়ার্ডে। তারা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের কেউ জ্বর, ঠাণ্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা। ভর্তিকৃত রোগীদের কিছুটা উন্নতি হলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে আসছেন নতুন নতুন রোগী। এতে করে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন থেকে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র এখন একই রকম। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্কদের তুলনায় উদ্বেগজনক হারে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘন ঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ তাদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব ইজতেমায় এবার টঙ্গীর তুরাগ তীরের পাশাপাশি নদীর পশ্চিম পার ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে মূল প্যান্ডেল হচ্ছে। টঙ্গীর মূল মঞ্চের পাশাপাশি দিয়াবাড়িতে আরেকটি মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। তবে টঙ্গীতে অবস্থিত মূল মঞ্চ থেকে দিয়াবাড়ি মঞ্চে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বয়ান প্রচারিত হবে। কিন্তু ইজতেমা ময়দানের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হবে পৃথকভাবে।
অতিরিক্ত মুসল্লির ভিড় সামলাতে ও দুর্ভোগ কমাতে এই আয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ঘুরে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের বয়ান মঞ্চের জিম্মাদার হাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘এবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের মূল বয়ান মঞ্চের পাশাপাশি উত্তরার দিয়াবাড়িতে আরেকটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চের বয়ান আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দিয়াবাড়ি মঞ্চে সরবরাহ করা হবে।
সেখান থেকে দিয়াবাড়ি মাঠে মুসল্লিরা বয়ান ও আখেরি মোনাজাতে শরিক হবেন। তবে প্রতিবছরের মতো এবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হবে এবং দিয়াবাড়িতে আলাদাভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হবে।’
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, ‘আগামীকাল বিকেলে টঙ্গীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করে বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।’
তিনি বলেন, ‘এবার বিশ্ব ইজতেমায় ১০৫টি খিত্তা থাকবে। টঙ্গীর মূল মঞ্চে ৭২টি, টঙ্গীর তুরাগ তীরের পশ্চিম পারে ১০টি ও উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ি মাঠে ২৩টি খিত্তা থাকবে। দিয়াবাড়িতে এবার নতুনভাবে মাঠ প্রস্তুত করায় বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে। দিয়াবাড়িতে ৬০ একর জায়গার মাঠ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় মাঠ। দিয়াবাড়ি ময়দানে আটটি গভীর নলকূপ, ১৪টি বড় চৌবাচ্চা ও দুই হাজার ৫০০ টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে।’
দিয়াবাড়ি ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মাওলানা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার প্রধান সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান সাহেব। আমি দিয়াবাড়ি ময়দানের জিম্মাদার।’
দিয়াবাড়ি ময়দানের প্রস্তুতি কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ময়দান প্রস্তুত করার কাজ চলছে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে দুটি ময়দান করা হয়েছে। তবে টঙ্গীর ময়দানের মূল মঞ্চ থেকে বয়ান সরবরাহ করে দিয়াবাড়িতে শোনানো হবে। আখেরি মোনাজাতও বয়ানের মতো সরবরাহ করা হবে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ দুই ময়দানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
আয়োজকরা বলছেন, টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে ১০ লাখ, তুরাগ নদীর পশ্চিম পারে এক লাখ ও দিয়াবাড়িতে দুই লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১১ সালে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আর এবারই প্রথম দুটি ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইউএনওর বোন পরিচয়ে হতদরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ, চাকরিসহ নানান সরকারি অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নাসিমা আক্তার স্বপ্না নামে এক নারী।
এ ঘটনায় প্রতারক স্বপ্নাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী হতদরিদ্র নারীরা।
অভিযুক্ত প্রতারক নাসিমা আক্তার স্বপ্না আদিতমারী টিএনটি পাড়ার নুর ইসলামের মেয়ে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রামীণ হতদরিদ্র বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করার প্রতিশ্রুতিতে সেলাইসহ নানান প্রশিক্ষণ ও মাসিক ১০ হাজার করে সম্মানী দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি দুই/তিন হাজার করে কয়েকশ নারীর কাছ থেকে টাকা নেন নাসিমা আক্তার স্বপ্না। একই সঙ্গে তাদের মহিলা বিষয়ক, সমাজসেবা, সমবায় ও যুব উন্নয়ন দফতরের বিভিন্ন সরকারি ভাতাসহ নানান সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চার/পাঁচ হাজার করে টাকা আদায় করেন তিনি। নাসিমা আক্তার স্বপ্না নিজেকে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বোন পরিচয় দিয়ে গ্রামীণ নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন।
প্রথমদিকে নিজেকে ইউএনওর বোন পরিচয় দিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আদিতমারী মহিলা উন্নয়ন সংস্থার ব্যানার ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ চালু করেন। যা দেখে গ্রামীণ নারীরা সত্য বলে মেনে নিয়ে তার প্রতারণার ফাঁদে পা বাড়ান। এভাবে পুরো উপজেলায় জাল বিস্তার করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন নাসিমা আক্তার স্বপ্না।
চার/পাঁচ মাস আগে স্থানীয়রা বিষয়টি ইউএনওকে মৌখিকভাবে জানালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে স্বপ্নার প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেন। পরে প্রতারক স্বপ্না কৌশলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিজ বাড়ি আদিতমারী হ্যালিপ্যাড এলাকায় স্থানান্তরিত করেন। এরই মাঝে প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ নেওয়া নারীদের প্রশিক্ষণের তিন মাস মেয়াদ শেষ হলেও সম্মানী পাননি। ফলে সম্মানী নিয়ে নারীদের সঙ্গে কয়েক দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে স্বপ্নার। প্রতিবাদকারী নারীদের শায়েস্তা করতে স্বপ্নার রয়েছে নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী।
এতেই শেষ নয়, অনেক বেকার নারীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে চার/পাঁচ লাখ করে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন স্বপ্না। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে স্বপ্না সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নিকট আত্মীয় পরিচয় দিতেন বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
চাকরি, সরকারি অনুদান বা প্রশিক্ষণের ভাতা না পেয়ে একপর্যায়ে ভুক্তভোগীরা তার প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও প্রতারক স্বপ্নার প্রতারণা বন্ধ না হওয়ায় ফুঁসে ওঠেন নারীরা।
প্রতারিত ও ভুক্তভোগী শত শত হতদরিদ্র নারী ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে প্রথমে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে থানার গেটে মানববন্ধন করে প্রতারক স্বপ্নার গ্রেপ্তার দাবি করেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে নারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদিতমারী ইউএনও অফিস ঘেরাও করে দ্রুত প্রতারক স্বপ্নার গ্রেপ্তার দাবি করেন। এ সময় একই দাবিতে ইউএনওকে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, প্রশিক্ষণে সম্মানী ও সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা বলে স্বপ্না ইউএনওর বোন ও মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছে টাকা নেন। ইউএনওর বোন জন্যই স্বপ্না মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অফিস করেছিলেন। এটাই আমাদের বলে প্রতারণা করেছিলেন। ইউএনওর বোন ছাড়া সরকারি অফিসে তার প্রশিক্ষণ হত না। এটা ভেবে আমি টাকা দিয়েছি। এছাড়া অভিযোগ দিয়েও যখন তার প্রতারণা বন্ধ হয়নি। তখন আমরা ভেবেছি, হয়ত স্বপ্না ইউএনও এবং মন্ত্রীর আত্মীয় হবে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নাসিমা আক্তার স্বপ্নাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রশিদা বেগম বলেন, আদিতমারী মহিলা উন্নয়ন সমিতি স্বপ্নার মায়ের। চার মাস আগে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে তার মাকে এ ব্যানার ব্যবহারে নিষেধ করা হয়। পরে তারা ব্যানার ছাড়াই এসব প্রতারণা করছে। তাদের কোনো ফান্ড বা প্রজেক্টও নেই। এটা তাদের প্রতারণা বলে মনে হয়েছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিআর সারোয়ার বলেন, স্বপ্না প্রতারণা করতে আমার বোন বলে পরিচয় দিতে পারে, কিন্তু বোন তো দূরের কথা তাকে আমি চিনিও না। প্রতারণা একটি ফৌজদারি অপরাধ। তাই ভুক্তভোগীদের মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা আজ ১৩ অক্টোবর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি দেশবাসীকে দেখার আহ্ববান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। বৃহস্পতিবার সিনেমাটর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেন। এ সময় তাঁর পাশে বসা ছিলেন বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভও।
সিনেমা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে কী বলেছেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের আরিফিন শুভ জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মনে করেছে আমি তুলে ধরতে পেরেছি, আমি পেরেছি কি না সেটা ভাবার বা প্রয়োজন আমি দেখি না। যাঁর বাবার চরিত্র করেছি তার মনে হয়েছে আমি পেরেছি। যিনি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, একজন কন্যার যদি তাঁর বাবাকে নিয়ে মনে হয়, আমার বাবার চরিত্র এ সুন্দর করেছে। উনি রীতিমতো আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে করছে? কীভাবে করলা এত সুন্দর করে?’
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কিছু বলার আছে কি না এমন প্রশ্নে আরিফিন শুভর উত্তর, ‘আমার তিন বছরের চেষ্টা সিনেমায় দেওয়া আছে। মানুষ দেখুক সেটার জন্য অপেক্ষা, নতুন করে কিছুই বলার নেই।’
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারা দেশের ১৫৩ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার একটি চরিত্রে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ শতাধিক অভিনেতা কাজ করছেন সিনেমাটিতে।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুট শুরু হয়। সিনেমাটিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ ও হালুয়াসহ আন্তঃজেলা অজ্ঞান ও মলমপার্টি দলের এক দম্পতিসহ ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার তাদেরকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসাড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে ফ্লাইওভার ব্রীজের নীচ থেকে আটক করা হয়। বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন।
আটককৃতরা হলো- জামালপুরের ইসলামপুর থানার চিনারচর নামাপাড়া এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে শহর আলী (৪৩), শহর আলীর স্ত্রী ও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বাইটেঙ্গী বরাব বাজার এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার মেয়ে মানছুরা আক্তার জিমি (৩০), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার জামালপুর এলাকার মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে নূর ইসলাম (৪৫) ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার গোপালগঞ্জহাটের সোনামিয়ার ছেলে মুকুল মিয়া (৪২)। তারা সবাই কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, বৃহষ্পতিবার ভোরে আন্ত:জেলা অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টি দলের কয়েক সদস্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ফ্লাইওভার ব্রীজের নীচে অবস্থান নিয়ে চেতনানাশক বিভিন্ন দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে পথচারী ও বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে এক দম্পতিসহ চারজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে কথিত চেতনানাশক হালুয়ার ১৮টি পোটলা এবং রিভোট্রিল, মাইলাম, ইপিক্লোন ও ডাইজোপান সহ চেতনানাশক ঘুমের বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বংশ পরম্পরায় এ পেশাটি চালিয়ে আসছিল গ্রেফতারকৃত শহর আলীও তার পূর্ব পুরুষেরা। তার দাদা, বাবা ও চাচারাসহ পূর্ব পুরুষেরাও এ পেশায় নিয়োজিত ছিল। বংশ পরম্পরার ঐতিহ্য এ পেশাটিকে টিকিয়ে রাখতে পূর্ব পুরুষদের পর উত্তরসূরী হিসেবে শহর আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে ধরে রেখেছিল। শহর আলী এ পর্যন্ত অর্ধ সহস্রাধিক লুটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘জুলাই-আগস্ট গণহত্যায়’ ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র দেশে শহীদ হয়েছেন ৮৭৫ জন মানুষ। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথযাত্রায় বিএনপির ভূমিকা, অবদান ও প্রত্যাশা’ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণকে বারবার ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। এ দেশের স্বাধীনতাকে যখনই গ্রাস করেছে স্বৈরতন্ত্র, প্রতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বাকশালের পর বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বৈরশাসনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
‘সেই ধারাবাহিকতায়, ১৬ বছরের স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে চূর্ণ করে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আবারও মুক্তির স্বাদ পায়, গণতন্ত্রের পথ সুগম করে। অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার রয়েছে, যাদের বছরের পর বছর ধরে ত্যাগের মহিমায় আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। ’
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন মানুষ, যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দেশজুড়ে শহীদ সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর এ বিশাল অংশ যে বিএনপিরই নেতা-কর্মী, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পোশাক শ্রমিক কিংবা রিকশাচালক, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র; বাম কিংবা ডান আদর্শের অনুসারী; সব মত ও পথের রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তি হতাহতের পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রাণের মূল্য ও রক্তের মর্যাদা সমান। আর তাই সমান গুরুত্বের সঙ্গেই প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তালিকা। নিশ্চিত করতে হবে সুবিচার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যে জাতীয় ঐক্য আমরা দেখতে পাই, তা কিন্তু হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটি মূলত অবৈধ সরকারের অত্যাচার-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন, বঞ্চনা-অবজ্ঞা এবং শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নেমে আসে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। যাতে গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল নয়, বিএনপির উদ্দেশ্য ছিল সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানে সাংগঠনিকভাবে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে ফ্যাসিবাদের পতনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর তাই বিএনপির যে ৬০ লাখ সদস্যের নামে ফ্যাসিবাদের সময় মিথ্যা মামলা হয়েছে, তার সুবিশাল অংশ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের যড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়ায়। ফলে যার-যার অবস্থান থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসে বিএনপি ও সমমনা সব রাজনৈতিক দল, তথা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিসমূহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে নির্মমভাবে হত্যা করে পুলিশ। একই দিন চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরামকেও হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডগুলোতে সমগ্র বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, বেগবান হয় আন্দোলন।
বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে ১৬ বছর ধরে আওযামী লীগের বিচারবহির্ভূত হত্যা, গায়েবি মামলা ও নৃশংস নিপীড়ন দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এর ফলস্বরূপ জাতিসংঘসহ স্বীকৃত মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ায়। তৃণমূলের স্পন্দন ও গণমানুষের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে, অবিরাম জুলুম-অবিচারের মাঝেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য অবিচল সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকে। সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবদানে গড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের ঐক্যকে ধারণ করে গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তির বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে।
‘বাংলাদেশের জনগণের এ বিজয় শুধুই দেশের মালিকানা ফিরে পাওয়ার বিষয় নয়। বরং এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার প্রতিশ্রুতি, যা অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। ’
তিনি বলেন, বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস, গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যথাতুর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধূর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ, পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয়বিদারক হাহাকার, আর কারাগারে বন্দী ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা। তাদের সবার ১৬ বছরের রক্ত, শ্রম ও অশ্রু দিয়ে প্রতিটি পরিবারের ক্ষোভ, ক্রোধ ও অব্যক্ত বিস্ফোরণ বুকে ধারণ করে চলমান ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। বস্তুত ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ এক হাজার ৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ, এবং মামলা দেড় লাখ—এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়, বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যুক্ত ছিল, গণতান্ত্রিক প্রতিটি ব্যক্তি, দল, সংগঠন ও গোষ্ঠী- তাদের সবার আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি না দিলে তা হবে ইতিহাসের প্রতি অবিচার। সব শ্রেণি-পেশা-মতের মানুষের অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে জনগণের লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সেই পথযাত্রায় ও রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে গড়ে তুলতে হবে একটি নিরাপদ ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিফলন ঘটবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।