চলারপথে রিপোর্ট :
শহরের একটি বহুতল ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের বনিকপাড়া স্টেশন রোড এলাকায়। নগদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।
ওই ভবনের চার নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন মঈন জানান, তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালায়। পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। গত এক সপ্তাহ তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আজ বিকেলে ফোন পান তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এসে দেখেন সব এলোমেলো।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আলমারি ভেঙে নগদ আড়াই লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, একটি ট্যাব, মোবাইলফোন, দুটি ইন্টারনেট রাউডার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
দ্বিতীয়তলা ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হুমায়ুন খালেদ বলেন, ‘আমি পেশায় ঠিকাদার। দুপুরে দাওয়াত খেতে রুমে তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। এসে দেখি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।’
ষষ্ঠতলার এক প্রবাসীর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রসাধনী নিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মনিটরিং করা হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৩ আনন্দঘন পরিবেশে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বরদা রঞ্জন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ডঃ দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলার জেলা ও দায়রা জজ শামীমা আফরোজ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক সোহরাব হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাওঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুবের পরিচালনায় মজলিশপুর ইউনিয়নের উলামা মাশায়েখদের এক আলোচনা সভা ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখের মাওঃ হারুন আল হাবীব, মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ আল আমিন মামুন, মাওঃ মুশাহিদুল ইসলাম, মাওঃ উসমান গণি, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওঃ ইসহাক, মাওঃ জাকির হোসাইন, মাওঃ দেলুয়ার, মাওঃ মুফতী বিল্লাল, মাওঃ সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, মাওঃ এমদাদ, হাফেজ শফিক, হাফেজ আনোয়ার, মাওঃ নাসির, মাওঃ মুক্তার, মাওঃ ফয়সাল আহমেদ সুলতান, মাওঃ ইলিয়াস, মাওঃ শামিম, মাওঃ হাফিজ, মাওঃ মাহমুদ, প্রমুুখ।
আলোচনা সভায় সকলের পরামর্শ ক্রমে মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী কে সভাপতি মাওঃ আল আমিন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুব কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য ইত্তেহাদুল উলামা ত্বলাবা ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: ড: অফিস (পুরাতন কাচারি পুকুরের উত্তর পাড়) প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার এক গুরুত্বপূর্ণ সভা সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি এম. আবদুল বাছেদের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম (নাছু) এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাটি ও মানুষের নেতা, উন্নয়ন ও নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রূপকার মাননীয় সাংসদ (সদর-বিজয়নগর) র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মতি ও অনুমতি সাপেক্ষে জেলার সকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এক বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, (চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)কে সার্বিক সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষক ও ব্যবস্থাপনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- মোঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রদোষ কান্তি দাস, শাহীনুর রহমান, আমীর আহমেদ ভূইয়া, আব্দুল মোতালেব, কামাল উদ্দিন, মোঃ আবু কাউছার, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ আবু নাছার, রোটারিয়ান মোঃ আশরাফ আহমেদ, মোঃ হেদায়েত উল্লা, মাসুকুল আলম, সুজন জীব চাকমা, এনামুল হক, আশরিকা হক মৃধা, ইনামুল হক, এম এ মোনেম, জাহানারা বেগম, মোঃ হিরন খান, মতিয়া চৌধুরী, মোঃ ইসমাইল, মোঃ ফজলুল হক, নিগার সুলতানা, আবেদ হোসেন, শাহ মাহমুদা ইয়াছমিন আক্তার, মোঃ জাফর সাদেক চৌধুরী, মোঃ রকি মিয়া, মুখলেছ সরকার, বিশ্বজিৎ কর্মকার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আবুল কাশেম মাস্টার, মোঃ জামাল উদ্দিন, নাজির আহমেদ ভূইয়া, মোঃ আবু সায়েদ প্রমুখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২২টি সরকারি দপ্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভাশেষে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ।
সভায় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং শনিবার সংগঠনের বার্ষিক বনভোজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পিতার দেওয়া অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলেকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন এ সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার শেরপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম মাদকাসক্ত। মাদকের টাকার জন্য সে প্রায়ই বাড়িতে অত্যাচার করত। সম্প্রতি তার অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। কিছুদিন ধরে সে নেশা করে বাড়ির পাশাপাশি বাইরে মানুষের উপর লাঠি-দা নিয়ে হামলা করতে যায়। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার পিতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন। পরে তাকে পুলিশ দিয়ে আটক করে রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদকাসক্ত আশরাফুলকে তিন মাসের সাজা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোনাব্বর হোসেন জানান, ঐ যুবক মাদকাসক্ত হয়ে অত্যাচার চালাত। তার পিতা এ অভিযোগ করলে তাকে রাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের (৩৬)(৫) ধারায় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সে নিজেও মাদক সেবন ও অত্যাচারের কথা স্বীকার করে।