চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, কৃষি জমিকে রক্ষার মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়নের পাশাপাশি গ্রামকেও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে তাঁর নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের পুরাতন মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায়ের পর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এসময় গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, নগরের পাশাপাশি গ্রামকে যেন পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়, পরিবেশ বান্ধব ঘর-বাড়ি যেন নির্মান করা হয়, আমি সেই প্রচেষ্টা গ্রহণ করবো।
এ সময় তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে নির্বাচিত করায় নির্বাচনী এলাকার সকল মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আগামীদিনে তাঁর দায়িত্ব পালনে গণমাধ্যম কর্মীসহ দেশবাসীর সহযোগীতা চান। পরে তিনি গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ঘুরে দেখেন ও গ্রামবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু,সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মরণে নির্মিত ‘সৌধ হিরন্ময়’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন করে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, জেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পৌরসভার পক্ষে মিসেস নায়ার কবির শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রাহসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার দেশপ্রেমী মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ১০ জন। আজ ১৫ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা-রাজশাহী মহাসড়কের মুলাডুলি আমতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাসের হেলপার ভরত চন্দ্র সরকার রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সরকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে রাজশাহী থেকে রাব্বি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস পাবনার দিকে যাচ্ছিল। একই সময়ে বিপরীতমুখী দ্রুতগামী একটি ট্রাক নাটোরে দিকে যাচ্ছিল। মুলাডুলি আমতলা অতিক্রমকালে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে বাসের হেলপার নিহত হয়।
পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার স্যানাল বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পাবনার পাকশী হাইওয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, শেষ হবে ১২ মার্চ।
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার এক বিজ্ঞপ্তিতে সময়সূচি জানান।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন নিতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে।
প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে তিনদিন আগে সংগ্রহ করবে।
শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়সমূহ এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দুর্নীতির অভিযোগে আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবু জামালকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখের শিক্ষার্থীরা। পরে জেলা প্রশাসনের দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নাঈমা ও ইশরাত জাহান তৃষ্ণাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আবু জামাল বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ভুয়া বিল তৈরি করে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করেছেন। অথচ এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শতাধিক ছাত্রীদের কাছ থেকেও ৬০০ টাকা হারে নেন তিনি। এ ঘটনা জানাজানি ও বিষয়টি প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে এক নৃত্য শিক্ষকের চাকরি চলে যায়। বিদ্যালয়ের তহবিল তছরুপ করতে অফিস সহকারী হরিশঙ্কর চক্রবর্ত্তী অবসর নেওয়ার পরও তাকে বেআইনিভাবে বহাল রেখেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে আরো অভিযোগ করে বলেন, ঝাড়ুদার মিনা রানী দাসের চাকরি স্থায়ী করতে তার কাছ থেকে দেড়লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবু জামাল। সেই টাকা এখনো ফেরত দেননি। ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়। পরে ইউএনওর অফিসে অভিযোগ দিলে প্রধান শিক্ষক ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে এমনটাই জানালেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষক আবু জামালকে তার কক্ষে অবস্থান করার সময় শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেন। এসময় তারা তার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্লোগান দেন। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা আসেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে প্রধান শিক্ষককে বের হতে দেননি শিক্ষার্থীরা।
এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইকরামুল হক নাহিদ ও নুশরাত জাবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রধান শিক্ষক আবু জামালের বিষয়ে তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন। পরে দুপুর ২টার দিকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আবু জামাল বলেন, তদন্তে সব প্রমাণ হবে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দাতা সদস্য লতিফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দিবসে অংশ নিতে বিদ্যালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিজয় দিবসেও ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আলাদাভাবে ৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়। যা প্রমাণ হওয়ার পর সেই টাকা স্কুল ফান্ডে রেখে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইকরামুল হক নাহিদ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের পাঠানো হয়। সেখান থেকে উনাকে (প্রধান শিক্ষক) আমরা নিয়ে আসি।’