চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৯ শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক সংগঠন মাওলানা আবু আহমদ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩ শতাধিক পরিবারে এবং দুপুরে আশুরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আরো ৩ শতাধিক পরিবারের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে বিগত ২৫ ডিসেম্বর আরো ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু আহমদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকর সঞ্চালনায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি দিন বই পড়ায় ২২ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
নাসিরনগরে সর্বাধিক দিন বই পড়লে পুরস্কার দেওয়ার প্রথা অব্যাহত রেখেছে এই উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালিকা বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, শাহ-সামিয়া, নুসরাত সোহা, লামিয়া আক্তা ও ইস্পা আক্তার।
১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে আদ্রিতা। ১১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে ইসরাত তানিশা।
বালক বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায়, স্নেহাল গোপ পান্না, চৌধুরী আনাস ও আব্দুল গফফার। ১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে সৌভিক রায়, সপ্তদীপ কুন্ডু ও অনির্বান দাস।
১২ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাইব্রেরিতে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি বই যারা পড়ছে তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন (সংগ্রাম) ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থ বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ও শেয়ার। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। তার স্ত্রীর কোনো নগদ টাকা ছিল না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নগদ ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা আছে এবং তার স্ত্রীর আছে ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা।
২০১৮ সালে সংগ্রামের বন্ড ও ঋণপত্রের শেয়ার ছিল এক কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে ছিল দেড় লাখ টাকার শেয়ার। কিন্তু এবারের হলফনামা অনুযায়ী সংগ্রামের শেয়ার হোল্ডিং ৪ কোটি ও শেয়ার এক কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টাকা হয়েছে। তার স্ত্রীর শেয়ার হোল্ডিং দেড় লাখের স্থলে গত ৫ বছরের দাঁড়িয়েছে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার। এছাড়া ২০১৮ সালে সংগ্রামের স্ত্রীর কোনো স্বর্ণালঙ্কার না থাকলেও গত পাঁচ বছরে ১০০ তোলা স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সংগ্রামের অন্য বিনিয়োগ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার ৮০০টাকা। এবারের হলফনামায় তার অন্য মূলধন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৯ টাকা ও অন্য বিনিয়োগ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা।
এছাড়া ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দায় ছিল ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৮ টাকা। এবার নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার মার্জিন লোন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ টাকা ও অফিস ভাড়া বাবদ দায় ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৮ টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিলের ইজারা নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামনে আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসন আমাদের লিজের ৮২৮ একর জলাশয় বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় ছোয়াব মিয়া ও তার লোকজন বিলে আমাদের মাছ ধরতে দেয়না। বিলে থাকা আমাদের ঘর ও মাছ ধরার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চন্দ্র দাসের অভিযোগ, এই বিলে মাছ ধরতে না পারি তাহলে আমাদের কয়েক হাজার পরিবার না খেয়ে থাকতে হবে। আমাদের বাপ-দাদার পেশা মাছ ধরা। সেই পেশা যদি না থাকে তাহলে এদেশে কেমনে থাকুম। অভিযুক্ত ছোয়াব মিয়া জানান, আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে মাছ শিকার করছে তারা। বাধা দিলে উল্টো আমাদের ফাঁসানোর হুমকি দেয়। নিজেদের ঘর ও কিছু পুরনো জাল পুড়িয়ে আমাদের উপর দায় চাপাতে এই নাটক সাজিয়েছে।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে।
নাসিরনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউল সারোয়ার বলেন, জেলা প্রশাসন প্রায় ৮২৮ একর জলমহাল তিন বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু জায়গা ব্যক্তিমালিকানা আছে। তবে উভয় পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বসেছি। কিন্তু কোন পক্ষই ছাড় না দেওয়ায় তার সমাধান হয়নি।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের বলেন, জেলেরা আদালতে একটি মামলা করেছে। তদন্ত করা হবে। আইন-শৃঙ্খলা যেন বিনষ্ট না হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ আছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হরিপুর ও পূর্বভাগ ইউনিয়নে ২৮ একরের বিল হুরল ফিসারী জলমহালের ইজারা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে নাসিরনগর জেলে পল্লীতে। এ নিয়ে স্থানীয় জেলে পল্লীর লোকজন ও অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। জেলে পল্লীর বাসিন্দাদের দাবি, সরকার থেকে ন্যায্য মূল্যে ইজারা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। চলতি ১৪৩১ বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে ১৪৩৬ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত প্রতি বছর ছয় লাখ ৪৮ হাজার একশত ১৫ টাকা মূল পরিশোধ করার শর্তে তিন বছরের জন্য ইজারা নেয় ‘জেঠাগ্রাম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’।
স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ছোয়াব মিয়ার নেতৃত্বে কিছু লোক রাতের আধাঁরে বিলে থাকা জেলেদের ঘর ও মাছ ধরার জাল পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতে ২৭ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ চন্দ্র দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় আগস্টে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২০ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া ইস্পা আক্তার। ১১ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ইসরাত সানিয়া আক্তার। বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া স্নেহাল গোপ পান্না, তন্ময় সরকার, সৌমিক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, পৃথিবী দাস সূর্য্য, আব্দুল গফফার মাহুদী, সৌভিক রায়, আরিয়ান ইসলাম সোহান ও ওমর ফারুক। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া সপ্তদীপ কুন্ডু। ২২ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ক্বারি মো. আব্দুল্লাহ।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোন পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। সেটিতে পাঠক একেবারে ছিলো না। পাঠক বাড়ানোর লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।