চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে পন্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন।
প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, জানুয়ারি মাসে সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌর এলাকার ৪৯৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬শত ১৮ জন কার্ডধারী মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
পৌর এলাকার মেড্ডা উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের লোকজন যাতে সঠিকভাবে এই পণ্য পায় সেজন্য তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ করার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. শাহবুদ্দিন চুপ্পুকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে উল্লেখ করে পদত্যাগের দাবি জানায় তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পৌর এলাকার প্রধান সড়ক ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন-শিক্ষার্থী বায়েজিদুর রহমান সিয়াম, বোরহান উদ্দিন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন, যেন এখনো তিনি প্রধানমন্ত্রী আছেন। দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রপতি অপসারণে প্রয়োজনে সংবিধান মানা হবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২৭ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের আলী আহাদের ছেলে।
ফজলুর রহমান ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বিকেলে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে দিন দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুর রহমান বলেন, সকালে বাসা থেকে জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য রিকশায় করে রওনা দেই। বাসার একটু সামনে পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোড আসিফ টিউটোরিয়াল অ্যান্ড হাই স্কুলের সামনে গেলে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা হাইয়েক্স মাইক্রোবাসে থাকা তিনজন আমার রিকশা গতিরোধ করে। পুলিশের ড্রেস পরা একজন ও বাকী দুজন তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার নাম জানতে চায়। আমার সঙ্গে অবৈধ জিনিস আছে বলে জোড় করে গাড়িতে তোলে। উঠতে না চাওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে। চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। আমার সঙ্গে থাকা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগসহ তারা আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমারে অনেক ভয় ভীতি দেখিয়ে জেলা শহরের পীরবাড়ি এলাকার একটু সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী পানের টংয়ের দোকানদার আলিয়া বেগম ও সেন্টু মিয়া জানান, পুলিশি পোশাক থাকায় ঝামেলা হতে পারে ভেবে কেউ এগিয়ে যাইনি। পরে জানতে পারি তারা পুলিশ ছিলো না। তারা পুলিশের পোশাক পড়া ছিনতাইকারী। দিন দুপুরে এমন ঘটনায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আশপাশে থাকা সব সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। শিগগিরই রহস্য উৎঘাটন করতে পারবো বলে আশা করছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ী ফজলুল হকের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূলহোতা সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ এনায়েত উল্লাহ ও দক্ষিণ পৈরতলার রশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ আকাশ মিয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পাইকপাড়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী ফজলুল হককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে তাকে মারধোর করে তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ফজলুল হককে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন। বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশের একাধিক টিম ও ডিবি পুলিশ।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ঘটনার মূলহোতা এনায়েত উল্লাহকে নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণদী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে ২ হাজার ইউরো উদ্ধার করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাইক্রোবাসের চালক মোঃ আকাশ মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার বাড়ি থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত কালো রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে বলেন, ছিনতাইকারীরা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের নৈশ প্রহরী এরশাদের মাধ্যমে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ভাড়া করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আসামীরা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফজলুল হকের পূর্ব পরিচিত। প্রধান আসামী এনায়েত উল্লাহ এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডায় বসবাস করতেন। তারা আগে থেকেই জানতেন ট্রাভেল ব্যবসায়ী ফজলুর রহমানের কাছে হুন্ডিসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর টাকা থাকে।
ছিনতাইকারীরা তাদের সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, ফজলুল হক টাকা নিয়ে কখন বের হবেন। এই তথ্য অনুযায়ী তারা আগে থেকে উৎপেতে থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। পুলিশ বাকী দুই আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ও বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ, ব্যবসায়ীয় ফজলুল হক ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে।
এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুল হক জানান, জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য তিনি বুধবার সকালে বাসা থেকে রিকসাযোগে রওনা দেন। তিনি বাসা থেকে বের হয়ে পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোডের সামনে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা মাইক্রোবাস থেকে তিন জন আমার রিকসা গতিরোধ করে। এদের মধ্যে এক জন ছিলো পুলিশের ড্রেস পড়া ও বাকী দুই জন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার নাম জানতে চায়।
নাম বলার সাথে সাথে তারা বলে আমার সাথে অবৈধ জিনিস আছে বলে জোড় করে আমাকে মাইক্রোবাসে তুলে। পরে তারা আমাকে বেধরক মারধর আমার সাথে থাকা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগসহ নিয়ে আমাকে পীরবাড়ি এলাকার গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আয়াশ আহমেদ ইজাজ (২৩)। তিনি শহরের কলেজপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের স্নাতক উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ইজাজ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সদ্য সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) পক্ষে কাজ করেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস প্রতীক) বিজয়ী হওয়ার খবরে সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি কলেজপাড়া এলাকার খান টাওয়ারের সামনে এলে আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার বন্ধুরা তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের কর্মী আয়াশ আহমেদ ইজাজ গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আটকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।