অনলাইন ডেস্ক :
দেশের দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন প্রাথমিকের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের দুধ, ডিম, মৌসুমী ফল, কলা, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কেক ও বনরুটি দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ১৫০টি উপজেলার ১৮ থেকে ১৯ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচদিন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হবে। প্রত্যেক স্কুলে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত টিফিন টাইম চলাকালে শিক্ষার্থীদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের পর তিন বছরের জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৭৫৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন চার হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আসবে ৬৪ কোটি টাকা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, তিনটি ধাপে পর্যায়ক্রমে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার বিতরণের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
সপ্তাহে পাঁচদিন নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করবো। এরমধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমী ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমী ফল দেওয়া হলে সঙ্গে অন্য খাবার থাকবে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় খাদ্যসামগ্রী/স্কুল ফিডিং ক্রয়, পরিবহন ও পরিদর্শন খাতে ব্যয় হবে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পে মোট ২১ হাজার জন টিফিন মিল ম্যানেজার থাকবেন, এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ভেন্ডর পরিবহন, খাদ্য বিতরণ, গোডাউন, সার্ভিস চার্জ ও প্যাকেজিং খাতে ২৮২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। চার লাখ ২০ হাজার অ্যাপ্রন ও রুমাল কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জুন একনেক সভা থেকে বাতিল করা হয় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ছিল ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্প থেকে খিচুড়ি রান্নার ফরমেট বাতিল করা হয়।
তখন একনেক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন খিচুড়ি রান্না করলে বাচ্চাদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে। প্রকল্পের ফরমেট পরিবর্তন করে একদিন দুধ, একদিন ডিম ও একদিন বিস্কুটসহ খাবারে বৈচিত্র্য থাকতে হবে। বাচ্চাদের খাবার দেওয়ার জন্য একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সভা থেকে খাবারের ফরমেট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় আমরা ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিন টাইমে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার দিতে চাই। এতে একদিকে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ হবে অন্যদিকে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার শঙ্কাও থাকবে না।
স্কুল ফিডিং ক্রয়, পরিবহন ও পরিদর্শন খাতে ব্যয় হবে চার হাজার ১৮১ কোটি টাকা। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকল্পে মোট ২১ হাজার জন টিফিন মিল ম্যানেজার থাকবেন, এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। ভেন্ডর পরিবহন, খাদ্য বিতরণ, গোডাউন, সার্ভিস চার্জ ও প্যাকেজিং খাতে ২৮২ কোটি টাকা ব্যয়
প্রকল্পের আওতায় কী ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সপ্তাহে পাঁচদিন নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করবো। এরমধ্যে থাকবে দুধ, ডিম, ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা ও মৌসুমী ফল। যেদিন দুধ দেওয়া হবে, দুধের সঙ্গে বনরুটি থাকবে। যেদিন ডিম দেওয়া হবে, ডিমের সঙ্গে কলা এবং ফর্টিফাইড বিস্কুট থাকবে। মৌসুমী ফল দেওয়া হলে সঙ্গে অন্য খাবার থাকবে। বরিশালে যেমন আমড়ার সময় আমড়া, রাজশাহীতে আমের সময় আম, সঙ্গে দুধ পরিবেশন করা হবে। এভাবে ১৫০টি উপজেলায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিফিনে খাবার দেওয়া হবে।
সরকারি স্কুল ফিডিং কর্মসূচি (ফেইজ-১) নামের নতুন প্রকল্পটি নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন সভা করবে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে এবং এর আগে কেন ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছিল, এ বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা) মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, প্রকল্পের প্রস্তাব আমাদের হাতে এসেছে। সামনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা হবে। সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ টিফিন দেওয়া প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। এ কম্পনের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, ১২টা ৪৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল টাঙ্গাইল। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২।
এর আগে ২৯ আগস্ট সিলেটে একটি ৩ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে।
এছাড়া ১৪ আগস্ট ঢাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ওই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম অঙ্গরাজ্যের করিমগঞ্জ থেকে ১৮ দশমিক ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমনিরহাট জেলার ভূমি কর্মকর্তাদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ভূমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জুম অনলাইন প্লার্টফর্মে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো: জাহিদ হোসেন পনির, উপসচিব সেলিম আহমদ প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট এ রুপান্তরিত করতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন হলে জমির খাজনা প্রদান, নামজারী, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বন্টনসহ বিভিন্ন জটিলতা দূর হবে। তবে ভূমি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাহলে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার সফলতা পাওয়া যাবে। এ প্রশিক্ষণে জেলার ৩৩জন ভূমি কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আজ ১ নভেম্বর বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সহযোগিতা চান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক হয়।
সূত্র জানায়, এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সিইসিকে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সিইসি হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মূলত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি। সেই সঙ্গে শুধু একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ডিসেম্বরে আদালতে অবকাশ থাকবে। সে সময়ে অধস্তন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’ সিইসি বলেন, প্রধান বিচারপতি তাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছেন এবং সৌজন্য বিনিময় করেছেন।
তপশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন শেষে গেজেট হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি পর্যবেক্ষণ করে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন। ওই কমিটিতে সারাদেশে সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারকরা দায়িত্ব পালন করেন। সিইসি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে রেখেছি, যাতে ডিসেম্বর মাসে ওনারা (বিচারকরা) দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতোই দায়িত্ব পালন করবেন।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এমন কোনো আলোচনা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ে এসব কমিটি করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের বিরুদ্ধে আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি সুপারশপে পলিথিনের ব্যাগের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন যতদিন পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ না হয় ততদিন এ অভিযান চলবে? একটি বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার বাস্তব প্রয়োগ শুরু করেছি? একবার বছর দুয়েকের জন্য প্রয়োগ হয়েছিল? মার্কেট মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন প্রায় উঠে গিয়েছিল? তারপর আর মার্কেট মনিটরিং ছিল না, এটা আবার ফেরত এসেছে?
তিনি বলেন, সুপারশপের মালিকেরা এবং তাদের যে অ্যাসোসিয়েশন আছে তারা খুব খুশি মনে এটি (পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ) করতে রাজি হয়েছেন? কারণ, তারা এর বিপদটা বোঝেন? তাদের নিজেদের সন্তানদের জন্যও এটি একটি ভালো কাজ?
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি? যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটা করছি? যেন পলিথিনের শপিং ব্যাগ উঠে যায়? আস্তে আস্তে পাট এবং কাপড় বা পুরনো কাপড় যেগুলো আমরা ফেলে দিই সেগুলোর রি-ইউজ (পুনর্ব্যবহার) করে ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি?
তিনি বলেন, মোট কথা হচ্ছে ক্রমান্বয়ে পলিথিনের শপিং ব্যাগের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দিকে যাওয়া? আমরা সুপারশপ দিয়ে শুরু করেছি? আমরা ক্রমে ক্রমে ঢাকার বাইরে যাবো, এক পর্যায়ে মুদি দোকান ও কাঁচাবাজার থেকে দেশব্যাপী পৌঁছে যাবো?
রিজওয়ানা হাসান বলেন, কাঁচা বাজারের কাজ শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে? সুস্পষ্টভাবে বলা যে, সব ধরনের প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধ না, আমাদের কাজটা হচ্ছে শুধু পলিথিনের শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে?
তিনি বলেন, ময়লার বিনের জন্য যে পলিথিন সেটির ওপরেও আপাতত কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই? কারণ, আমরা এখনো বিকল্পে যেতে পারিনি? এখান থেকে কিছু কিনে নেওয়ার সময় ক্রেতারা পলিথিনের ব্যাগ নেবেন না এবং বাসা থেকেও কোনো পলিথিনের ব্যাগ আনবেন না? যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের ব্যাগ আমরা দেশ থেকে সরিয়ে দিতে চাই?
এ উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান হিসাবে শুধু পলিথিনের ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে? তবে অর্থনীতির একটি বড় জায়গাজুড়ে এটি রয়েছে? রাতারাতি তা বন্ধ করতে পারবো না? কিছু পলিথিন যেগুলো একবার ইউজ করে আমরা ফেলে দিই সেগুলো খালে, নর্দমায় বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে? এগুলো যেন সংবেদনশীল জায়গায় না যায়? আমরা সেন্টমার্টিন থেকে কাজটি শুরু করতে যাচ্ছি? সেন্টমার্টিনের হোটেল মোটেলগুলোকে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে মুক্ত করা হবে?
বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে মনিটরিং হয় না? ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একবার মার্কেট মনিটরিং হয়েছিল? যার ফলে পলিথিনের ব্যবহার কমে এসেছিল? আমরা এখন ক্রমান্বয়ে মনিটরিংয়ের দিকে যাচ্ছি। আমাদের লোকবলের অভাব আছে? সেজন্য সুপারশপ দিয়ে শুরু করেছি? কারণ, এখানে মনিটরিং করা আমাদের জন্য সুবিধার?