অনলাইন ডেস্ক :
সরাসরি হজে পাঠানোর ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা কমিয়েছে সৌদি সরকার। ৫০০ জন থেকে ওই কোটা ২৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে যেসব এজেন্সির হজযাত্রী ২৫০ জন হবে তারা এখন সরাসরি হজে লোক পাঠাতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৭ জানুয়ারি শনিবার হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র দেয়। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে আগের মতো বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এ ক্ষুদে বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৩ মে শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না। ’
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন ও মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তনের সম্ভাবনা জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, এই শিক্ষাক্রমে বেশকিছু ইনপুট (সংযোজন-বিয়োজন প্রয়োজনীয়তা) এসেছে। সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। যেসব বিষয় পরিবর্তন করা প্রয়োজন, আমরা অবশ্যই সেগুলো পরিবর্তন করব।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত নিজস্ব বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মূল্যায়ন পদ্ধতি, যেখানে ইতিমধ্যে বেশকিছু ইনপুট এসেছে। ফলে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমেও বেশকিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এই শিক্ষাক্রম যে শতভাগ স্থায়ী, বিষয়টি এমন না। এর আগেও আমরা বলেছি, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা দেখা দেবে, সেগুলো বিচার বিবেচনা করে সংশোধন করা হবে।’
তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, ‘কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট সব দক্ষতা আমরা শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। এতে করে শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। কর্মমুখী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা সাজাতে চাই।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ওড়না নিয়ে বউ সেজে খেলা করতে গিয়ে পেঁচিয়ে পুকুরে ডুবে সাফা নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৭-জুলাই সোমবার উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পুতিন্ন্যার পাড়া এলাকায় এ পানি ডুবির ঘটনা ঘটে। সাফা ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
জানা গেছে, সাফা নিজ ঘরে পাশে ওড়না নিয়ে বউ সেজে খেলা করছিলো। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত ওড়না পেঁচিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলী আকবর ইউনিয়নের পুতিন্ন্যার পাড়া এলাকায় সাফা নামে এক শিশু খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ ২৩ ডিসেম্বর শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটা ভোটও কারচুপির চেষ্টা করা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছ, আমাদের দেশ নিয়ে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করার দাবি আছে বিদেশিদের। প্রার্থীদের সহায়তায় জাতীয় নির্বাচন সফল করতে চাই।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে পক্ষপাতীত্বের কোনো সুযোগ নেই। অনেকে বলেন প্রশাসন সরকারি দলের পক্ষপাতিত্ব করেন। এটা আসলে সঠিক নয়। সবাই সচেতন থাকলে এবং চোখ কান খোলা রাখলে এটা বোঝা যাবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, প্রচারণার সময় কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। নির্বাচন কমিশন থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভোটের মাঠে অনিয়ম করতেই হবে, এই বিশ্বাস থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের বলব সিস্টেমের ওপর আস্থা রাখুন। ভোটারদেরই ভোট দিতে হবে, অন্য কেউ দিয়ে দেবে এটা হবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পাল্টাতে পারে না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারেন ফলাফল।
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সচিব, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনা জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে জেলা শহরের নাগরা আয়শা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক। এ ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জেলার প্রশিক্ষণ অফিসার চন্দন কুমার মহাপাত্রসহ অন্যরা উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন।
এতে জেলার কৃষি অফিসার, উপ-সহকারী, মাঠ অফিসার, কৃষক, জনপ্রতিনিধিসহ মোট ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলার ধান ও বিভিন্ন রবিশস্যসহ মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৭২৮ হেক্টর জমি এবার কৃষি ফলানোর আওতায় আনা হয়েছে।