চলারপথে রিপোর্ট :
গত ৩০ ফেব্রুয়ারি বসেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। আইন অনুযায়ী প্রথম অধিবেশনেই নির্বাচনে বিজয়ী দল বা জোটগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে ৫০টি সংরক্ষিত আসন বন্টন করা হয়। সাধারণত ৬ আসনের বিপরীতে কোন দল বা জোট একটি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। আসন সমঝোতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
নির্বাচনে ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে বিজয়ী হয় আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা এবং ২টি আসনে বিজয়ী হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীগণ। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন (কলার ছড়ি) প্রতীকে বিজয়ী হন।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে এমরামুজ্জামান আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেনকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। ইতিমধ্যেই নতুন মন্ত্রী সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দু’জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনের পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা ও গুঞ্জন। কে হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হতে প্রায় ৭/৮ জন মহিলা নেত্রী ঢাকায় দৌড়ঝাপ করছেন।
এরা হলেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সদ্য সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জোবেদা খাতুন পারুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, নব্বই এর রাজপথ কাঁপানো নেত্রী মিসেস মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ ও এমবি কানিজ, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শামীমা চৌধুরী বিথি, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমা বেগম প্রমুখ।
মিনারা বেগমঃ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান মিনারা বেগম স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি। তার পিতা মরহুম আবু তাহের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার কমিশনার ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যোগ দেন।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদঃ শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. ইকবাল আজাদের স্ত্রী। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইকবাল আজাদ ঘাতকদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে শিউলী আজাদ রাজনীতিতে যোগদান করেন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারো তিনি প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।
বিউটি কানিজঃ বিউটি কানিজ ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর) শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক শিক্ষা ও প্রক্ষিশণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এমবি কানিজ জানান, তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
শামীমা চৌধুরী বিথিঃ শামীমা চৌধুরী বিথি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য, তিনি ইডেন মহিলা কলেজ শাখার (১৯৯১-১৯৯২) সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শামীমা চৌধুরী বিথি জানান, তিনি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতঃ অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাপ্তাহিক গতিপথ’র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সাবেক মহিলা সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
রুমা বেগমঃ-রুমা বেগম নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র- সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার স্ত্রী। তার পিতা লে. গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমা বেগম ও তার স্বামী নাজির মিয়া দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। রুমা বেগম জানিয়েছেন তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
ঢাকা।।
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আজ আয়োজিত গণসমাবেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি, দলীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে এবং গুলিতে নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগরসহ প্রতিটি মহানগরে বিক্ষাভ ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এছাড়া ১০ দফা আদায়ের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, ৯৬ এর আলোকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি পেশ করেন খন্দকার মোশাররফ। এ ১০ দফা আদায়ের কর্মসূচিতে আগামী দিনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা ও তার প্রতি বিশ্বনেতাদের আস্থা বিএনপি নেতারা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ১৯ মে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই বিশ্বব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদেরকে সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। যাদের বুদ্ধি, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সাথে বোধশক্তি আছে তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন ও শ্রবণশক্তিহীন এবং তার সাথে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেলেন সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
‘সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’- বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সাথে কো-স্পন্সর হয়েছে একাত্তরটি দেশ। এরপরও কি কারও বলা উচিত- জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কেমন? এটি বলার কোনো প্রয়োজন নেই।’
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কিছু নয়।’
এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ব অঙ্গনে যাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, বিশ্ব অঙ্গনে সে যাতে তার যোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা নিকেতন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শেখাতে হবে কীভাবে জীবন গড়তে হবে, কীভাবে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে হবে, কীভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কীভাবে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে, তাহলেই সেটি বিশ্ববিদ্যালয়। না হয় সেটির নাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া শ্রেয় নয়। আমি জানি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটি করা হয়। সেটিকে যদি আরো বিস্তৃত করা হয় তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হবে তাদেরকে সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।’
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পাঁচটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরিবর্তন করা হয়েছে একটি আসনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের পরিবর্তে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্যান্য মনোনীত প্রার্থীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান আলম সাজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি. তাজুল ইসলাম।
এদিকে, মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত তাই তার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর যদি তিনি সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।
আজ ১১ জুন রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ল রিপোর্টার্স ফোরাম’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
দশবছর পর জামাত ঢাকায় সমাবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে অনুমতি দেওয়ার মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অতএব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করুন।
অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামাতের বিচার করার জন্য যথেষ্ট তথ্যপত্র রয়েছে। তবে তারা বিচারে যতক্ষণ পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে অপরাধী দল হিসেবে বলা যাবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।
আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও ফোরামের অন্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচ প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।
জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।