অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কিনেছেন ১৫৪৯ জন নারী। সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন উপলক্ষে মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে দলটি। ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, গত তিন দিনে মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
এসময় প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেল কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনের সময় কত সংখ্যক প্রার্থী ছিল সেটা কি মনে আছে? চৌদ্দশ’র বেশি ছিল। তখন সিট ছিল ৪৩টা, এখন ৪৮টা। ৫টা বেশি আছে।
তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক যে চর্চা, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে যতটুকু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ভেতরেই হয়। আমরা নিয়ম কানুন মেনে সবকিছু করে থাকি। ভুল ত্রুটি হয় না তা নয়, কারণ পারফেক্ট পৃথিবীতে কেউ নয়। এছাড়া আমরাই এদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলি না, নিজেদের ঘরে চর্চা করি। আর বিএনপি সেটা করে না। তাদের কনফারেন্সও হয় না কত বছর।
গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য আওয়ামী লীগের ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। শেষদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। বিপরীতে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গতকাল দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। এ থেকে মোট আয় হয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়।
প্রথম দিন বিক্রি হয়েছিল ৮১০টি ফরম। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে দু’টি বাসের চাপায় এক কাঠমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। আজ ২২ জুলাই শনিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম-আব্দুর রহিম (৫৫)। তিনি যশোরের শার্শা থানার শ্যামলা গাছি এলাকার মৃত মোন্তাজ মোড়লের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার এস আই সুরুজ্জামান ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের ভাড়া বাসায় থেকে এলাকার ফার্ণিচারের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন আব্দুর রহিম। শনিবার সকালে তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় কালিয়াকৈরগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই পরিবহনের অপর একটি বাসের সঙ্গে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুর রহিম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
তারা জানান, ঘটনার সময়ে হেলপার দিয়ে বাসটি দ্রুতগতিতে চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় বাসটি পথচারী রহিমকে ধাক্কা দিয়ে অপর বাসের সঙ্গে চাপা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস ও নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হচ্ছে পাঁচটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। ইতোমধ্যে তিনটি কম্প্রেসর স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুইটি কম্প্রেসর বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্প্রেসরগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডটি অন্যতম বৃহৎ। প্রতিদিন তিতাসের ২৩টি কূপ থেকে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ ক্রমাগত কমছে।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ পিএসআই। ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘এ’ ও ‘সি’- তে দুইটি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। একই কারণে নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডেও একটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘ই’ এবং ‘জি’- তে আরো দুইটি কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কম্প্রেসরগুলো স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জিওবি এবং জাইকা।
বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান সাংবাদিকদের জানান, তিতাস সহ অন্যান্য গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপগুলো ওয়ার্কওভার এবং নতুন কয়েকটি কূপ খনন করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে সামগ্রিকভাবে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
ওয়েলহেড কম্প্রেসর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘাটুরাস্থ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘এ’ লোকেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) উত্তম কুমার সরকার ও কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫জন। আর সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন করে। আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে এই সম্মেলন। সম্মেলন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটে নির্বাচিত হবেন নেতা। আলোচনার বিষয় হচ্ছে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন। ভোটে নেতা নির্বাচন হবে বলে প্রার্থীরা গত দু’দিন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কাউন্সিলরদের দুয়ারে ছুটেছেন। ৭৮১ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। এনিয়ে সরগরম সদরে বিএনপি’র রাজনীতি। সভাপতি প্রার্থীরা হচ্ছেন এডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা (রিকসা), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন (মোটর সাইকেল), নুরুল হাসান আলম (গরুর গাড়ি), মো: শামীম মোল্লা (প্রাইভেটকার), শাহআলম (ঘোড়া)। সাধারণ সম্পাদক পদের ২ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন (মোরগ) ও রাহিম উদ্দিন রায়হান (ঘোড়া), সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী মো: সালাউদ্দিন (আনারস) ও শাহানুর ইসলাম (আম)। গত ২৯ নভেম্বর জেলা বিএনপি সদর উপজেলা বিএনপি’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। পরদিন থেকে শুরু হয় মনোনয়ন বিতরণ। ৫ ডিসেম্বর ছিলো প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ। এরপরই গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীরা দিনরাত এক করে ছুটতে শুরু করেন কাউন্সিলরদের কাছে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাক্তার আবদুর রহমান ভূইয়া বলেন-এডভোকেট তারিকুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন এ দু’জনকেই আমরা আশা করছি। তারাই সবার কাছে জনপ্রিয়। সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম বলেন, সম্মেলন নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশ। দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর পর আউটডোরে এমন একটা সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা চাই কর্মীরা প্রাণভরে তা উপভোগ করুক। নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন হোক।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আলমগীর হোসেনও নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা বলেন, দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে জয়ী হব ইনশাল্লাহ।
এডভোকেট রুমা এরআগেও সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। আর আলমগীর সদর উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান সদস্য সচিব।
জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন- সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম অধিবেশন। যদি প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌছে তাহলে আর দ্বিতীয় অধিবেশন হবেনা। আমরা শুধু নাম ঘোষণা করে দেব। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিম ভূইয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, চা শিল্পের সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক রয়েছে যার অর্ধেকের বেশি নারী শ্রমিক। নারী পুরুষ উভয় শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো শিল্পের প্রাণ হচ্ছে শ্রমিক। আর তাদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৩য় বারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ জুন রবিবার মৌলভীবাজারের চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘৩য় জাতীয় চা দিবস উদযাপন ও ১ম জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের চা বোর্ডের প্রথম বাঙালী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাইয়ে মন্ত্রী সভার বৈঠকে ৪ জুনকে “ জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ৩য় বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
মস্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজরদারি এবং নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশের চা শিল্প আজ টেকসই ও মজবুত অবস্থানে এসেছে। গুণগতমান সম্পন্ন চা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
চায়ের বাজারে ঠিকে থাকতে হলে চা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটিয়ে বিশ্ব বাজারে ব্রাডিং করতে চায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে চা শ্রমিক ও চা বাগান মালিকদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং চা শ্রমিকরা তা মেনে নিয়েছেন।
প্রতি বছর দেশে চায়ের চাহিদা ৫-৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু চা উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি পায় না। এ জন্য চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
চা শিল্পের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং এর অংশীজন হিসেবে চা বাগান মালিক, চা উৎপাদনকারী এবং প্যাকেজিং বিপণন কোম্পানিসহ চা শিল্পে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংগঠনকে প্রদেয় ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ চা শিল্পের বিকাশ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে অনুপ্রাণিত করবে। মন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি, বিপণন প্রক্রিয়ায় আধুনিকায়ন এবং সর্বোপরি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি চায়ের নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার পথ তৈরি করতে হবে। সে জন্য নতুন নতুন ব্যান্ডিং এর খুবই প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইপ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা বোর্ড।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক জেলা আ’লীগ, কামরান টি রহমান সভাপতি বাংলাদেশীয় চা সংসদ, মো. জসিম উদ্দিন সভাপতি এফবিসিসিআই, শাহ মঈনুদ্দিন হাসান সভাপতি টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ।
চা শিল্পে অবদানের জন্য জাতীয় চা দিবসে প্রথম বারের মতো ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশের চা শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানী/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩” প্রদান করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ বছর প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হয়।
দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যাপী চা মেলা উন্মুক্ত ছিল। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠী, চা-বাগান মালিক ও ব্যবস্থাপকসহ চা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘জাতীয় চা পুরস্কার প্রাপ্ত ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হলো: (১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান
(২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান
(৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রতায়ন চা উৎপাদনকারী-মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট (পঞ্চগড়)
(৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান- জেরিন চা বাগান
(৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি:
(৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি:
(৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)-উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় স্মার্ট মাদ্রাসা বিনির্মাণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার বিকালে ভাঙ্গার ইকামাতেদ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদরাসা চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবু ইউসুফ মৃধার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন, মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান, ভাঙ্গা উপজেলা একাডেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রহ্লাদ বিশ্বাস, কাউলিবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।
সভায় মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।