চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসী ও তাদেও পরিবারের সদস্যদের আইনী সেবা দিতে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক চালু করেছে জেলা পুলিশ।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রবাসী সহায়তা ডেস্কের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। প্রবাসী এবং তাদের স্বজনরা স্বশরীরে এসে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি হটলাইন নম্বরে ফোন কল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারবেন। দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টাই সহায়তা ডেস্কেও সেবা নিতে পারবেন প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর আগে জেলা পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রেঞ্জ ডিআইজি। এতে তিনজন প্রবাসী সিআইপিকে সম্মাননা জানানো হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবাস বিষয়ক পরামর্শক মোঃ এজাজ মাহমুদ, জেলার প্রবাসী সিআইপি আহমেদ মোত্তাকি, মোঃ তৌফিকুজ্জামান ও মোঃ কাশেম মিয়া। ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রবাসে নিজেদের সমস্যার পাশাপাশি দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সমস্যায় দুশ্চিন্তায় থাকেন। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের এসব সমস্যা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের জন্য পুলিশের সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে। পুলিশের সাথে প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে তাদের আর হয়রাণি হতে হবে না। মূলত পুলিশ ও প্রবাসীদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন রচনা করতেই বাংলাদেশ পুলিশ এই উদ্যোগকে আরো জোরদার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আশা’র এসএমএপি প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২৬ জন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে নিয়ে আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিস (টিএসএস) পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া, আশা কেন্দ্রীয় কার্যালয় ডেপুটি ডিরেক্টর (কৃষি) মোঃ খুরশীদ আলম, আশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ নজরুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার (কৃষি) মোঃ সোহাগ আলম, আশা নরসিংদী জেলা সদর এগ্রিকালচারাল ট্রেইনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
২৬টি ব্রাঞ্চের কর্ম এলাকার আশা’র সদস্যদের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এসএমএপি প্রকল্পের আওতায়, কৃষি, প্রানীসম্পদ ও কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে চলতি অর্থবছরে ৫ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদেরকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে জয় বাংলা কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্ট ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজের সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত সংগীতানুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন, দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস। এতে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল মাইলস, মাকসুদ ও ঢাকা, ওয়ারফেজ, চিরকুট ব্যান্ডের পিন্টু ঘোষ, সংগীতশিল্পী ইমরান ও অপু। একসঙ্গে এক মঞ্চে এত জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ও শিল্পী দিয়ে এতবড় আয়োজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতে এই প্রথম।
দুপুরে দিকে প্রখর রৌদের কারনে মাঠে দর্শক উপস্থিতি কম থাকলেও সন্ধ্যার আগেই দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হয় স্টেডিয়ামটি’। সন্ধ্যা ছয়টায় শিল্পী অপু ‘আলো আলো’ গানটি ধরতেই দর্শকদের হুল্লুড়। ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ গানটি ধরলে শিল্পীর চেয়ে যেন দর্শকদের কণ্ঠে বেশি উচ্চারণ।
জয় বাংলা কনসার্টকে ঘিরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো মাতোয়ারা। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া কনসার্ট চলে কয়েকঘন্টা। শিল্পীদের সঙ্গে দর্শকরাও নেচে গেয়ে কনসার্টকে উপভোগ্য করে তুলেন।
গানের ফাঁকে ফাঁকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু চিত্র আয়োজনকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস ও নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হচ্ছে পাঁচটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। ইতোমধ্যে তিনটি কম্প্রেসর স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুইটি কম্প্রেসর বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্প্রেসরগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডটি অন্যতম বৃহৎ। প্রতিদিন তিতাসের ২৩টি কূপ থেকে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ ক্রমাগত কমছে।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ পিএসআই। ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘এ’ ও ‘সি’- তে দুইটি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। একই কারণে নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডেও একটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘ই’ এবং ‘জি’- তে আরো দুইটি কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কম্প্রেসরগুলো স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জিওবি এবং জাইকা।
বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান সাংবাদিকদের জানান, তিতাস সহ অন্যান্য গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপগুলো ওয়ার্কওভার এবং নতুন কয়েকটি কূপ খনন করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে সামগ্রিকভাবে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
ওয়েলহেড কম্প্রেসর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘাটুরাস্থ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘এ’ লোকেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) উত্তম কুমার সরকার ও কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমি ভরাট করতে গিয়ে একটি সড়কের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এতে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১০০ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক এসব জমিতে ফসলের বীজ বা চারা রোপণ বন্ধ রেখেছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কৃষকরা। ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ রামরাইল ও ঘাটিয়ারা গ্রামের ২০-২৫ জন কৃষক লিখিত আবেদন করেন।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আরমান মিয়া জানান, কালভার্ট-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে জামাল মিয়ার ছয় বিঘা জমি বছরে ৩০ হাজার টাকায় জমা নিয়ে তিনি সবজির চাষ করেন। তবে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় তিনি উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। এতে কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে সমস্যাটি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ইউএনওর কাছে আবেদন দেওয়ার পর কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। প্রশাসন কোনো প্রতিকার না করলে আরেকটি কালভার্ট ভরাটের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
রামরাইল গ্রামের কৃষক সুখলাল, মতিলাল, হীরালাল, দুলাল, নির্মল, চন্দন দেব, পরিতোষ দেব এবং ঘাটিয়ারা গ্রামের সোহাগ মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, হাবিব উল্লাহ, খবির মিয়া, আবু তাহের মিয়াও একই কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ইচ্ছা করেই কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন মালিক। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রামরাইল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের ঘাটিয়ারা গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে কালভার্টটির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হয়। পার্শ্ববর্তী বিলে গিয়ে পড়ে সেই পানি। তবে এক মাস আগে মোতালেব মিয়া বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিটি ভরাট করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জমি ভরাটে বাধা দেওয়ার সাহস করেনি কেউ।
এ বিষয়ে মোতালেব মিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর ছেলে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, এ কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি যায় না। বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কারও প্রয়োজন হলে পাইপ-কালভার্ট নিজ খরচে করবেন।
রামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমার সেলিম বলেন, ইউএনওর নির্দেশে সরেজমিন গিয়ে জমির মালিককে কালভার্টের মুখের মাটি সরিয়ে মোটা পাইপ বসিয়ে দিতে বলা হয়েছে; পানি নিষ্কাশনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।