চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ৪০তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস-২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ব্যাকরণ স্রষ্টা জেলা সদরের পূর্ব পাইকপাড়ার প্রয়াত অধ্যাপক হরলাল রায় রোডস্থ সংগঠণের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রস্তাবিত বাউল বাড়ি রিসোর্ট এন্ড কমপ্লেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী সারোয়ার লিটন।
আলোচনা সভায় আজ হতে ৪০ বছর পূর্বে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে জেলা দাবীতে ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন, চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতালের দিন রেলওয়ে ষ্টেশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রায় লাখ মানুষের সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ঐ সময়ের ১৯টি মহকুমাকে আনুষ্ঠানিক জেলায় বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার স্মৃতিচারণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফাজ্জল হোসেন জীবন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শামসুল আলম বাবু, এজাজ আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি প্রভাষক মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহিলা সম্পাদক রুমানা আক্তার শ্যামলী, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ আহমেদ খান, এড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংগঠণিক সম্পাদক কামরুল হাসান নান্টু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার, আমির হোসেন ফারুক। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক বশির আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, আনিসুর রহমান রুহেল, হারিছা খাতুন, মোঃ নজরুল আলম।
সর্বশেষে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলু, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র মাতা মরহুমা শামসুন্নাহার খানম, গত বুধবার সদ্য প্রয়াত যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস এর ভাবী বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলী মাসুদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকাস্থ রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসেন।
ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, সবেমাত্র ঘটনাস্থলে আসলাম। আমরা দেখবো কী ত্রুটি রয়েছে এবং তা বোঝার চেষ্টা করবো। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবো এবং সেগুলোর রিডিং নেব। এগুলো নেওয়ার পরে মূলত জানা যাবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫টি আসনের ৬টি টিকেটসহ আমিন মিয়া (৩২) নামের এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আমিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, টিকেট কালোবাজারি আমিন মিয়াকে আন্তঃনগর বিভিন্ন ট্রেনের আসনের টিকেট নিয়ে স্টেশনে উচ্চ দামে বিক্রি করার জন্য ডাকাডাকি করছিলো। সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে ৬টি টিকেটের ১৫টি আসন পাওয়া যায়। আটককৃত আমিন মিয়া স্বীকার করেছেন সে টিকেট কালোবাজারি করেন। তার বিরুদ্ধে আগেও টিকেট কালোবাজারি একটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেছেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম একজন ব্যক্তির জন্য ভবিষ্যত তথা বৃদ্ধকালের স্বয়সম্পূর্ণ জীবনের একটি অংশ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একজন ব্যক্তির ভবিষ্যতে কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে এ চিন্তা করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। তিনি বলেন এটি একটি মহৎ উদ্যোগ।
আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলাধীন মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন কুমার ভট্রাচার্যের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্যে রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন।
প্রধান অতিথি এসময় সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশ গ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতাগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন বলে অবহিত করেন। এসময় তিনি সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় সর্বজনীন স্কীম সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেন মনে করেন।
এসময় সদর উপজেলা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ের শিক্ষক অধ্যক্ষ কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে মাদকের বিষয়টি। আওয়ামীলীগে ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদক বিরোধী পোষ্ট ও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল বাজারে এক পথ সভায়ও মাদকের বিষয়টি তুললেন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাজারে দুধ ও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা কিনবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।
পথসভায় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি গত ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দেয়ার সময় আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে না বলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এ সময় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভ‚ইয়া, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভার পর মোকতাদির চৌধুরী এমপি সিংগারবিল বাজার থেকে বিষ্ণুপুরে যান।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ, স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ছিলেন। গত ১৩ বছরে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।